রাজনীতি
চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা ফখরুলের
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি নেতা জানান, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চীনা রাষ্ট্রদূতের বারিধারার বাসায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউকে খসরু
এতে আরও বলা হয়, উভয় পক্ষ পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২১ আগস্ট গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অতীতের মতো এবারও বাংলাদেশ ও জনগণের প্রতি চীনের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি আশ্বাস দেন যে, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবে চীন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বন্ধ করায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রশংসা করল বিএনপি
৭ মিনিট আগে
কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ঋণ পরিশোধ করতে হবে: মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হলে আল্লাহভীরু লোকদের হাতেই দেশের নেতৃত্ব তুলে দিতে হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মাদারীপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জেলা মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরওয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশকে গুম-খুনের রাজ্যে পরিণত করেছিল। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আলেমদেরকে জেলে পুরে হত্যা করেছে। তারা গোটা দেশকে বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছিল।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘এই দুঃশাসন থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন সময় আন্দোলন ও সংগ্রাম হয়েছে। অবশেষে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করেছে।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের কিছু বক্তব্যে কষ্ট লাগে: নজরুল ইসলাম খান
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা যে স্বপ্ন নিয়ে জীবনের বিনিময় দেশকে মুক্ত করেছে আমাদেরকে সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলে আইনের শাসন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত দেড় যুগ একটি বর্বর জাহিলি যুগ পার করে এসেছি। সে যুগে আমাদের অধিকার ছিল না, গণতন্ত্র ছিল না। ধর্মীয় অধিকার ছিল না। আইনের শাসন ছিল না। অর্থনৈতিক অধিকার ছিল না। আমাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও খাবার ছিল না। নিরন্ন মানুষের আহাজারি এবং বস্ত্রহীন মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল।’
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শেখ পরিবারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিম্মি হয়ে জাহিলিয়াতের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ ও তার বীর সাথীরা ফ্যাসিবাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে বিজয়ী করেছে। প্রয়োজন হলে আরও লক্ষ আবু সাঈদ রক্ত দিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নব্য ফ্যাসিবাদের মোকাবিলা করবে।
পরওয়ার আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল, কিন্তু করতে পারেনি। শেখ হাসিনা নিজেই নিঃশেষ হয়ে গেছে।
মাদারীপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ হামিদুর রহমান আযাদ, জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে দুরুত্ব নয়, সুসম্পর্ক রয়েছে জামায়াতের: ডা. তাহের
১৪ মিনিট আগে
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বন্ধ করায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রশংসা করল বিএনপি
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কয়েকটি শূন্যরেখায় ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রশংসা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এই প্রশংসা করেন।
রিজভী বলেন, পলাতক ও পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে ভারতের কাছে 'বিক্রি করে দিয়েছেন।' তিনি প্রতিবেশী দেশের কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন।
লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে জাতীয়তাবাদী রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই। ভারত কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই সীমান্তে জোরপূর্বক কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে, বিজিবি ও জনগণ প্রথমবারের মতো তা প্রতিহত করেছে।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার প্রভুরা বিশ্বাস করতেন তারা সহজেই বাংলাদেশের জনগণকে বশীভূত করতে পারবেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দিল্লির সাউথ ব্লক কখনোই বাংলাদেশের মানুষের দেশপ্রেমের গভীরতা ও তীব্রতা বিবেচনা করেনি।
তিনি বলেন, ‘তারা ভেবেছিল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হবে। কিন্তু ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা বুঝতে পারেনি যে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও গাবতলী থেকে লাখ লাখ মানুষ জেগে উঠে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারে।’
রিজভী বলেন, ভারত ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই স্বাধীন দেশের সীমান্তের প্রায় ১৬০টি স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে, কারণ শেখ হাসিনা তাদের সেই সুযোগ দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত ইতোমধ্যে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি বেড়া দিয়েছে, মাত্র ৮৮৫ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া বাদ রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন, চুক্তি ও আলোচনা অনুযায়ী সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, কিন্তু তারা (ভারত) এসব চুক্তি ও বিধিবিধানের কোনোটিরই তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাট সীমান্তসহ বিভিন্ন স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চলছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
রিজভী বলেন, ভারতের এমন অন্যায় পদক্ষেপকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণও এবার বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার শাসনামলে এ ধরনের দৃষ্টান্ত হতে দেননি। ‘ফ্যাসিবাদ, নির্মমতা, নৃশংসতার মাধ্যমে তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতের সেবক হিসেবে দেশের স্বার্থ চরিতার্থে কাজ করেছেন।’
তিনি স্মরণ করেন, শেখ হাসিনা প্রায়শই বলতেন তার দলের অনেক সদস্যকে কেনা যায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না। তিনি বলেন, 'আপনাকে (হাসিনা) আগে কেনা যাবে। ভারত আপনাকে প্রথম কিনেছে... এজন্য আপনারা ভারতকে নিজের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গৌরবকে পদদলিত করে অসম কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেশ কয়েকটি শূন্যরেখা এলাকায় ভারতের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
সীমান্ত সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ ধরনের নির্মাণ রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে লালমনিরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁও ও দহগ্রামসহ পাঁচটি স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউকে খসরু
৪ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চলছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন দ্য ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এমন তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে ‘
‘হাসপাতালে ভর্তির পরেই খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি করানো হয়েছে। এতে তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে,’ বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
আরও পড়ুন: লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তার চিকিৎসা চলছে।
লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
৬ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউকে খসরু
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারকে বিএনপি বলেছে, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ইইউ দূতের বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে যে আলোচনাগুলো হওয়া দরকার, সেগুলোই হয়েছে। কবে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ভাবনা কী, অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে ভাবনাগুলো কী কী— সেগুলো বৈঠকে আলোচনায় এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি রোডম্যাপ সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, এ বছরের ভেতরেই নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
‘অন্য কোনো ভাবনার দিকে না গিয়ে সরাসরি জাতীয় নির্বাচনের দিকে গিয়ে, দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখতে হবে। অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দেশ বেশি দিন চলতে পারে না।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক সরকারের রাজনৈতিক ওয়েট থাকে না। তাদের মবিলাইজেশন প্রসেস থাকে না, জনগণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকে না। জনগণের কাছ থেকে কোনো ফিডব্যাকও তারা পায় না। এ কারণেই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যত তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব, সেদিকে আমরা জোর দিয়েছি।’
সংস্কারের বিষয়ে খসরু বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে যেটি আলোচনা হয়েছে, সেটি হলো— যেসব বিষয়ে আমরা ঐক্যমতে যেতে পারব, সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সেগুলোর ব্যাপারে সময় নেওয়ার কোনো কারণ নেই। আর যেগুলোর বিষয়ে ঐক্যমত হবে না, সেগুলো আগামী নির্বাচনে প্রতিটি দল জনগণের কাছে নিয়ে যাবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে সংসদে এসব বিষয় তোলা হবে, তর্ক-বিতর্ক হবে এবং সেগুলো অনুমোদন করা হবে।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান আছে তা অব্যাহত থাকবে কিনা?— উত্তরে বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বিএনপির অর্থনৈতিক সফলতা নিয়ে লক্ষ্যের কথা আমরা বলেছি। আগামী দিনে দেশের অর্থনীতিকে এই খাদ থেকে তু্লে আনার জন্য বিএনপি ইতোমধ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া এই সরকারের সময় যদি এমন কোনো কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয় যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক, সেটি অবশ্যই আমরা সমর্থন করব।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়ি প্রবেশ করে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাদের সাক্ষাৎ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশের নির্বাচনি রোডম্যাপ, প্রয়োজনীয় সংস্কার, অর্থনীতি ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
১ দিন আগে
বিএনপির সঙ্গে দুরুত্ব নয়, সুসম্পর্ক রয়েছে জামায়াতের: ডা. তাহের
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো ধরনের দুরুত্ব নেই, বরং সুসম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের রাজনীতি হবে ইতিবাচক এবং সব দলই ইতিবাচক হবেন— এটা আমরা আশা করি। সুতরাং বিএনপি যে ঐক্যের কথা বলেছে, তাতে জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। আমি মনে করি, উনারা সঠিক কথা বলেছেন।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘এখন যারা রাজনীতি করছে, অর্থাৎ ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছি, যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বৈষম্য দূর করতে পারবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি আমরা এখন যে পদ্ধতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি, তার চাইতে তুলনামূলক ভালো বলে মনে করি। বিশ্বের প্রায় ৬২-র অধিক দেশে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে এবং এই পদ্ধতিকে আমরা সফল হিসেবে দেখছি। এই পদ্ধতির নির্বাচনের বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের মতকে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।’
‘আমরা দেখেছি ৫০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত ব্যাক্তির কাছে ৪৯ হাজার ভোটার পাওয়া ব্যক্তির মূল্য থাকে না। কারণ ওই ফলাফল তখন শূন্য হয়ে যায়। পিআর পদ্ধতিতে সারা দেশে যে ভোট পায় সেই ভোটের হার নির্ধারণ করে প্রতিনিধিত্ব আসে।’
এই রাজনীতিক বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে যে দলের ভোটের হার বেশি থাকবে, তাদের প্রতিনিধিত্ব বেশি আসবে। একইসঙ্গে আরেকটি প্রশ্ন আসছে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ নিয়ে। সেটাও সকলে একমত হলে বিবেচনায় আনা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
বাংলাদেশের তিন দিকে প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে ভারত। জামায়াতে ইসলামী যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহেল পররাষ্ট্রনীতি কী ধরনের হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি এবং সেটি খুবই পরিস্কার। সমতা, অধিকার ও আমাদের নিজস্বতার স্বীকৃতির ভিত্তিতে আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। আমরা মনে করি প্রত্যেক দেশ তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমে পরিচালিত হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও আমাদের নীতি একই রকম।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘মানুষ যেন দেখে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগের প্রথা আর নেই; মিথ্যাচার, লুটপাট, অত্যাচার ও দখলের রাজনীতি নেই। আমরা জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখাব। এক মহান বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা ঘরে ঘরে একটি ইতিবাচক সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে চাই।’
জামায়াত কারও ওপর কোনো মত চাপিয়ে দেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদেশে নারীদের সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হবে। অমুসলিমরা নিরাপদে তাদের সম্পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।’
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে ডা. তাহের বলেন, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে, ইতিহাস কোনো জালেমকে ক্ষমা করে না, ফ্যাসিবাদ ফিরে আসে না। আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছি আর আল্লাহ তাকে দেশত্যাগ করিয়েছেন।
কর্মী সম্মলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, চাঁদপুর জেলা আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সাবেক আমির মাওলানা আব্দুর রহিম পাটোয়ারী, নায়েবে আমির অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাও. আবুল হোসাইন।
সভাপতিত্ব করেন শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম।
২ দিন আগে
টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেল ফের চালু করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে নতুন করে দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দেওয়াকে সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক না বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এতে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসার খরচ বাড়বে যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
‘সরকার তার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বাড়াবে, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে নেমে না যায় এবং তাদের ভোগান্তি যাতে না বাড়ে, সে বিষয়টি সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের গণবিরোধী লুটেরা অর্থনৈতিক নীতি ও বিদেশে সীমাহীন অর্থপাচারের ফলে সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তের জীবন ইতিহাসের সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে। মহামারি করোনায় নিঃস্ব হয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়েছিল অনেক পরিবার যারা আর শহরে ফিরতে পারেনি। অথচ সরকারি মেগা প্রজেক্টে বিদেশ থেকে কর্মী এনে কাজ করানো হয়েছিল।’
‘আবার বাংলাদেশের বেকার শ্রমিক বসতভিটা, কৃষিজমি ও হালের গরু বিক্রি করে বিদেশে কাজ করতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে। কারণ, বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর খাতে তৈরি হয়েছিল সিন্ডিকেট। গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে নারী শ্রমিক ন্যায্য মজুরি ও বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছেন। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত তার কষ্টের কথা বলতে না পেরে হয় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, নাহয় দেশেই মানবেতর জীবন বেছে নিতে হচ্ছে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালে এই মধ্যবিত্ত, এই গার্মেন্টস শ্রমিক, এই সাধারণ মানুষ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিল। তাদের প্রত্যাশা ছিল, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর ন্যূনতম জীবনযাপনের উপকরণগুলো সহজলভ্য হবে, ভেঙে যাবে লুটেরার সিন্ডিকেট, বৃদ্ধি পাবে তাদের ক্রয়ক্ষমতা, ফিরে পাবেন তাদের আত্মমর্যাদা।’
‘গরীব জনগণ যাতে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে, সেজন্য ট্রাকে করে তেল, ডাল ও চাল বিক্রয় করে টিসিবি। এটি একটি অবমাননাকর প্রক্রিয়া। আমরা দেখেছি, এই দেশের নাগরিক কীভাবে ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে ৫-১০ টাকা কমে চাল, ডাল ও তেল কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এই ধরনের প্রান্তিক মানুষদের রাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যূনতম যে অধিকার, ট্রাক সেল বন্ধ ঘোষণার মাধ্যমে সেটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণের প্রতি কতটা দায়হীনতা অনুভব করলে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা আমরা কল্পনা করতে পারি না।’
অবিলম্বে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি সংক্রান্ত অধ্যাদেশগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে টিসিবির ট্রাক সেল এই মুহূর্তে চালু করার আহ্বান জানান আখতার।
এ সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিকল্প হিসেবে কিছু প্রস্তাবও তুলে ধরেন তিনি। জাতীয় নাগরিক কমিটির এই সদস্য সচিব বলেন, প্রত্যক্ষ করের আওতা বাড়াতে হবে ও কর জাল সম্প্রসারণ করতে হবে যা সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনমানের ক্ষতি করবে না।
তার মতে, ‘প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে অবশ্যই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান কর কাঠামোয় যে সীমাহীন দুর্নীতি হয় তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিলে রাজস্ব আয় বাড়বে।’
বিগত সরকার ১৫ বছরে বিদেশে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে বলে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সেগুলো দেশে ফেরত আনার জন্য সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে আহ্বান জানান তিনি।
২ দিন আগে
কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সশস্ত্র ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের ছেলেরা উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সাফল্য এনে দিয়েছে। এখানে আমাদের কোনো বিভেদ নেই। দুর্ভাগ্যক্রমে দেশের কিছু মানুষ আজকে বিভিন্নভাবে এই ঐক্যে কিছু ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি সে চেষ্টা সফল হবে না। আমরা অবশ্যই সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে নতুন করে নির্মাণ করার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। হঠকারিতা করে, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে, ভুল পদক্ষেপ নিয়ে সেই সম্ভাবনাকে বিনষ্ট না করি— সেটা আমাদের সবসময় লক্ষ রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। আমরা সেটাকে একসঙ্গে লড়তে (মোকাবিলা করতে) চাই। সবাই মিলে এই সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই। সবাই এক সাথে হয়ে যদি দানবকে, ফ্যাসিস্টকে সরাতে পারি, তাহলে আমরা কেন পারব না একটা নতুন সম্ভাবনার রাষ্ট্র নির্মাণ করতে?’
আরও পড়ুন: জামায়াতের কিছু বক্তব্যে কষ্ট লাগে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি সবসময় রাষ্ট্রীয় সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ আছে তারা একটু বোঝানোর চেষ্টা করেন আমরা সংস্কারের আগেই নির্বাচন চাই বা নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছি। বিষয়টা তেমন না। আমরা যেটা বলছি, নির্বাচন কেন দ্রুত চাই? এই কারণে দ্রুত চাই যে, নির্বাচনটা হলে আমাদের শক্তি আরও বাড়বে। সরকার থাকবে, সংসদ থাকবে। যে সংকটগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঁচ মাস পরে এসে অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন আমাদের অর্জন কী? অর্জন হচ্ছে আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে নিঃসংকোচে, নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদে বড় বিজয়।’
গণআন্দোলন সফল করতে এবি পার্টিও বড় ভূমিকা রেখেছে বলে স্বীকার করেন তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম খুব কমই সফল হয়। সশস্ত্র ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের ছেলেরা উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সেই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমরা একটা ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আজকে একটা পরিবেশ এসেছে। যে পরিবেশে আমরা আবার বাংলাদেশকে নতুন করে নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি, কথা বলছি। আমরা যেন এই পরিবেশটা, এই স্বপ্নটাকে নষ্ট করে না দেই।’
‘আমাদের এখন যেটা প্রয়োজন, সমস্ত প্রভোকেশনের (উসকানির) পরও আমরা যেন আমাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে তরুণদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। এখানে আমাদের কোনো বিভেদ নেই।’
২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা এবং আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারবে কিনা, তা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সময় আসলে দেখা যাবে কোন কোন দলের নিবন্ধন থাকে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সময় আসলে দেখা যাবে। সেজন্য কাজ করছে সিইসি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারক নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অনেকে একদিনে নির্বাচন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে একদিনে সব নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব না।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম’র মাধ্যমে হবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময় অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য কাজ করছি। যা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে দিয়ে হবে। এবার নির্বাচনে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম।
আরও পড়ুন: নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
২ দিন আগে