খেলাধুলা
ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
হাজারো সংকটের মাঝেও কীভাবে লক্ষ্যে অটল থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তা-ই যেন দেখিয়ে চলেছেন হান্সি ফ্লিক। একের পর এক খেলোয়াড়ের চোট এবং ক্লাবের আর্থিক সংকটে নতুন খেলোয়াড় না পেয়ে একাডেমি লা মাসিয়া থেকে যুবাদের মূল দলে এনে জোড়াতালি দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়ে চলেছেন এই জার্মান কোচ। অথচ এমনই তার দলের পারফরম্যান্স যা কোটি বার্সাভক্তকে ভুলিয়ে দেয়— দলটি ঠিক কতটা সংকটের মধ্যে সময় পার করছে। আর তেমনই এক স্মরণীয় ম্যাচ তিনি উপহার দিলেন রবিবার রাতেও।
সবশেষ কয়েক ম্যাচ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আসার মাঝে দানি অলমো ও পাউ ভিক্তরের নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা, রোনালদ আরাউহোর দল ছাড়ার গুঞ্জন— সব মিলিয়ে ঝটিকাসংকুল সময়ের মাঝে কে ভেবেছিল, এই বার্সেলোনা সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করা রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করবে? তাও আবার শেষের অন্তত ৪০ মিনিট দশজন নিয়ে খেলে? অথচ মাঠের খেলায় সেটিই বাস্তবতা হয়ে ধরা দিল। আর হাজারো সমস্যার মাঝে লাল-নীল জার্সির মায়ায় পড়া বিশ্বব্যাপী কোটি কুলেরের হৃদয় বিগলিত করা একটি রাত উপহার দিল দলটি।
পড়তে পড়তে অনেকেরই হয়তো চোখ ভরে উঠবে, কিন্তু মরুর বুকে যে বিজয়গাঁথা বার্সেলোনা রচনা করল, তা কি এসব উপমার তুলনায় কম কিছু?
৪ ঘণ্টা আগে
রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
আর্থিক সংকটে পড়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে না পারা নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের স্বীকার হলেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। আর তাতে ম্যাচের শেষের ৩০ মিনিটের বেশি সময় একজন খেলোয়ড় কম নিয়ে খেলেও চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫ গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। অবশ্য জয়ের পথে দুটি গোল হজমও করতে হয়েছে তাদের।
এই হারে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে বার্সেলোনাকে এ বছর আর ছোঁয়ার প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হলো রিয়াল মাদ্রিদের (১৩)। অপরদিকে, জিতে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিল (১৫) ব্লাউগ্রানা খ্যাত দলটি।
এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তারপর কোথায় যেন হারিয়ে যায় দলটির সমন্বয়, সেইসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের রক্ষণভাগও। আর দলীয় প্রচেষ্টা, সতীর্থদের দারুণ বোঝাপড়া আর নির্ভুল ফিনিশিংয়ে একের পর এক গোল করতে থাকে কাতালান জায়ান্টরা।
এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। এরপর ৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লেভানডোভস্কির গোলে প্রথমবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তারপর ৩৯ ও ৪৮তম মিনিটে রাফিনিয়ার জোড়া গোল ও প্রথমার্ধের যোগ করা দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো বালদের গোলে ব্যাবধান ৫-১ করে ফেলে তারা।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর ৬০তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন রদ্রিগো। এরপর বার্সেলোনা রক্ষণে মনোযোগ দিলে আর গোল করা হয়ে ওঠে না কোনো দলেরই। ফলে ৫-২ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দুবারের দেখায় দুবারই বড় ব্যবধানে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাল বার্সেলোনা। গত ২৭ অক্টোবর লা লিগায় সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত প্রথম এল ক্লাসিকো ৪-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে প্রথম শিরোপা জেতালেন হান্সি ফ্লিক। সেইসঙ্গে দুটি এল ক্লাসিকোতে ডাগআউটে থেকে দুটিই জিতলেন এই জার্মান কোচ।
বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি)। কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ওই ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নামবে কাতালানরা। একদিন পর সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘বাদ পড়ার পর’ জ্বলে উঠলেন লিটন, রেকর্ড বই এলোমেলো
বাংলাদেশের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ার পরদিনই চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং উপহার দিলেন লিটন কুমার দাস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। আর তাতেই এলোমেলো হয়ে গেছে বিপিএলের রেকর্ড বই।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২৫৪ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়েছে ঢাকা।
এদিন টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ২৪১ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। ৬৪ বলে আটটি ছক্কা ও ছয়টি চারের সাহায্যে ১০৮ রান করে তানজিদ ফিরে যাওয়ার পর দুই বলে একটি ছক্কায় ৭ রান করেন সাব্বির হোসেন। অপর প্রান্তে মাত্র ৫৫ বল মোকাবিলা করে ৯টি ছক্কা ও ১০টি চারের সাহায্যে ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন লিটন।
এটি টি-টোয়েন্টিতে লিটনের প্রথম সেঞ্চুরি। আর তানজিদের তার সঙ্গে ২৪১ রানের এই জুটি বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর ফলে ২০১৭ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইলের অবিচ্ছিন্ন ২০১ রানের জুটি ভেঙেছেন ঢাকার দুই ওপেনার।
এছাড়া ৪৪ বলে শতরান স্পর্শ করে বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে গড়েছেন লিটন। এর আগের রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের দখলে। ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে এতদিন তিনিই ছিলেন বিপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশি ব্যাটার। তবে সব মিলিয়ে বিপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদের দখলে। ৪০ বলে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব রয়েছে তার।
শুধু তা-ই নয়, বিপিএলের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বেশি রানের পুঁজি। এই রেকর্ড গড়ার পথে ঢাকা ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্সের করা ২৩৯ রানের পুঁজিকে পেছনে ফেলেছে। ফলে জিততে হলে ইতিহাস সৃষ্টি করেই ম্যাচটি জিততে হবে রাজশাহীকে।
২৩ ঘণ্টা আগে
সাকিব-লিটনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ দল ঘোষণা
আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে এই সিরিজে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অভাব অনুভব করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এর আগে এই দুই ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ভিন্ন পরিস্থিতির কারণে তারা বাংলাদেশ দলে থাকতে পারছেন না।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তামিম জানান, বাংলাদেশের হয়ে আর মাঠে নামছেন না তিনি।
এদিকে অবৈধ বোলিংয়ের অভিযোগে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসিবি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে বোলিং পরীক্ষাতেও সাকিবের বোলিং বৈধ হয়নি। যার ফলে তিনি বোলার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন না।
এমন পরিস্থিতিতে বিসিবিও নিশ্চিত করেছিল যে, সাকিব কেবল ব্যাটার হিসাবে খেলতে পারবেন, তবে নির্বাচকরা তাকে মাঠে না নামানোর সিদ্ধান্ত নেন।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন দাসকেও বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। কম পারদর্শী ব্যাটার বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের ফর্মের উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আর ২৭ ফেব্রুয়ারি একই ভ্যেনুতে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আবারও পরীক্ষায় ফেল, সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞা বহালই থাকছে
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ বাংলাদেশ স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা।
আরও পড়ুন: বিপিএল: জাকিরের ভূমিকায় ৩ উইকেটে ঢাকাকে হারাল সিলেট
১ দিন আগে
আবারও পরীক্ষায় ফেল, সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞা বহালই থাকছে
ইংল্যান্ড থেকে পরীক্ষায় ফেল করে গত মাসে চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্সে দ্বিতীয়বার বোলিং অ্যাকশন পুনর্মূল্যায়নের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে তাতেও লাভ হয়নি এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের।
দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও পাস করতে পারেননি তিনি। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে নিষিদ্ধই থাকছেন সাকিব।
এ বিষয়ে বিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাকিবের ওপর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনস্থ প্রতিযোগিতায় বোলিং করার নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। গত মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে শ্রী রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে পুনর্মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যতদিন না পুনর্মূল্যায়ন মানে পরীক্ষায় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন ঠিক পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন তার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে গেল। ১২ জানুয়ারির মধ্যে আইসিসিতে দলের সদস্যদের তালিকা পাঠাতে হবে সব দেশকে। সেক্ষেত্রে শুধু ব্যাটার হিসেবে সাকিবের বাংলাদেশ দলে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের বিকল্প কে?
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সময় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বার্মিংহামের লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে আইসিসি অনুমোদিত কেন্দ্রে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি।
তবে প্রথমবারের সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি উল্লেখ করে ইসিবি জানায়, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি বোলিং করতে পারবেন না।
আইসিসির বিধি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বোলিংয়ের অযোগ্য হয়ে পড়েন সাকিব। আর সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ফের পরীক্ষা দেন এই অলরাউন্ডার।
দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই নিয়েছিলেন সাকিব। গল মারভেলসের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার দলটির নেটে বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর প্রস্তুতি নেন। সেখানে বিভিন্ন অ্যাকশনের ভিডিও ফুটেজ দেখে কাজ করেন। এছাড়া পাকিস্তানি স্পিন বোলিং কিংবদন্তি সাকলাইন মুশতাকও তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবুও বোলিং অ্যাকশন ঠিক করতে পারলেন না তিনি।
অবশ্য, চাইলে শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন সাকিব। এর মধ্যে বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। অ্যাকশন ঠিক হলে যদি পরীক্ষায় পাস করেন, তবে বোলিংয়ের ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা উঠবে তার।
১ দিন আগে
বিপিএল: জাকিরের ভূমিকায় ৩ উইকেটে ঢাকাকে হারাল সিলেট
জাকির হাসানের ২৭ বলে ৫৮ রানের সুবাদে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবারের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে তিন উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
ঢাকার লিটন দাস ৪৩ বলে ৭৩ ও মুনিম শাহরিয়ার ৫২ রান করলেও জাকিরের ৫৮ রানের কারণে ঢাকা পড়ে যান তারা।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান তোলে ঢাকা। সাব্বির রহমানের ১০ বলে ২৩ ও থিসারা পেরেরার ৯ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস শেষ দিকে এগিয়ে যায়।
সিলেটের হয়ে রাহকিম কর্নওয়াল ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিল রাজশাহী
জবাবে সিলেট ব্যাট করতে নামলে ইনিংসের প্রথম বলেই রাহকিম কর্নওয়াল শূন্য রানে আউট হয়ে যান। জর্জ মুন্সি (৮ বলে ১১) ও অ্যারন জোন্সের (৮ বলে ১৪) গুটিয়ে গেলে চতুর্থ ওভারে সিলেটের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪২
এরপর সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় রান তাড়া করতে নেমে জয়ের হাল ধরেন জাকির হাসান। দশম ওভারে তার আউট, সিলেটের স্কোর ৫ উইকেটে ১০৯, অল্প সময়ের জন্য গতি পাল্টে দেয়।
তবে অধিনায়ক আরিফুল হক দায়িত্ব নেওয়ার আগে রনি তালুকদার ২০ বলে ৩০ ও জাকের আলী ১৭ বলে ২৪ রান করে সিলেটকে চাপে রাখেন।
আরিফুল ১৫ বলে চারটি চার ও একটি ৬ নিয়ে ২৮ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে শেষ ওভারে সিলেটের জয় নিশ্চিত করে।
ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ফরমানউল্লাহ ও শুভম রঞ্জন।
এবারের মৌসুমে এটি সিলেটের প্রথম জয়। অন্যদিকে ঢাকা এখনও জয়ের উল্লাস করতে পারেনি। তারা এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচেই হেরেছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
২ দিন আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’
এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের চমকে দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। তবে নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।
আজ ফেসবুক পোস্টে তামিম লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’‘অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর সামনে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।’
তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই।’
‘তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’
এই ক্রিকেট তারকা আরও বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়।’
‘ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি— তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে,’ বলে শেষ করেন তিনি।
২ দিন আগে
খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিল রাজশাহী
চিটাগাং কিংস ও ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিপিএলের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে অপরাজিত থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে খেই হারাল খুলনা টাইগার্স। খুলনাকে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারের পর আবারও জয়ে ফিরেছে দুর্বার রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
এদিন টস জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান খুলনা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে রাজশাহী।
দলের হয়ে ২৯ বলে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন রায়ান বার্ল। এছাড়া ইয়াসির আলী ২৫ বলে ৪১ এবং মোহাম্মদ হারিস, জিসান আলম ও আকবার আলী যথাক্রমে ২৭, ২৩ ও ২১ রানের ইনিংস উপহার দেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: তাসকিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি জয়ে রাঙাল রাজশাহী
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় খুলনা। জিশান আলমের অফস্পিনে উইলিয়াম বসিস্তো একবার লেগ বিফোরের আবেদন থেকে বেঁচে গেলেও পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ৭ বলে মাত্র ১ রান করে তাসকিনের বলে আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক মিরাজ।
২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন নাইম শেখ আর আফিফ হোসেন। এ সময় রান তোলার গতি একেবারেই পড়ে যায়। ১৭৯ রানের লক্ষ্য থাকলেও ২৮ বল খেলে ২৪ রান করে আউট হন নাইম আর ৩০ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিফ।
তারা যখন ফিরে যান তখন জয়ের জন্য ৭ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ৮৯ রান। আর রান রেটের পাহাড় মাথায় নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে একের পর এক বাকি উইকেটগুলো হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস।
দলের হয়ে আফিফ ও নাইমের ইনিংসদুটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। এছাড়া শেষদিকে ১৫ বলে ১৮ রান করেন নাসুম।
রাজশাহীর ৭ বোলারের সবাই এই ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট গিয়েছে রায়ান বার্ল, তাসকিন আহমেদ ও সোহাগ গাজীর ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দুর্বার রাজশাহী: ১৭৮/৫ (বার্ল ৪৮*, ইয়াসির ৪১, হারিস ২৭; নাসুম ২/২০)।
খুলনা টাইগার্স: ১৫০/১০ (১৯.৩ ওভার) (আফিফ ৩৩, নাইম ২৪, অঙ্কন ১৮; বার্ল ২/১৩, তাসকিন ২/৩০)।
ফলাফল: দুর্বার রাজশাহী ২৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রায়ান বার্ল।
৩ দিন আগে
সহজ জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ধীরগতির ফুটবল ম্যাচে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই অনুমিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখার সুযোগ মিলল ফুটবলভক্তদের।
সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাড়েমেড়ে প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কোনো উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি দুই দল। তবে তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
৬৩তম মিনিটে খানিকটা ভাগ্যের জোরে রিয়ালের গোলের খাতা খোলেন জুড বেলিংহ্যাম। ডান পাশ দিয়ে চমৎকার এক আক্রমণে উঠে মায়োর্কার বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের দিকে ব্যাক পাস দেন ভিনিসিয়ুস। তা থেকে দূরের পোস্টে শট নিলে রদ্রিগোর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গোলে শট নেন এমবাপে, তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় মায়োর্কা গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা বেলিংহ্যাম পেয়ে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে হতাশ হয় মায়োর্কা।
গোল খাওয়ার পরও সমতায় ফিরতে তেমন জোর চেষ্টা ছিল না দলটির। এর মাঝে সুযোগ তৈরি অব্যাহত রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা প্রতিহত করতেই সময় যায় মায়োর্কার খেলোয়াড়দের।
আরও পড়ুন: বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
এমতাবস্থায় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হলে ১-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে অতিরিক্ত যোগ করা ৬ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে এমবাপের শট প্রতিহত করতে গিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্ত। আর বল জালে জড়িয়ে গেলে আত্মঘাতী গোলের গ্লানিতে পুড়তে হয় তাকে।
এর দুই মিনিট পর গোল পেয়ে যান রদ্রিগোও। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল থেকে গোল আদায় করে নিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন তিনি। এতে দলকে ফাইনালে নেওয়ার পাশাপাশি গোল করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সেদিন জিতলে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশে বসবে রিয়াল (১৩)।
গত মৌসুমেও সুপার কাপে এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। সেবার বার্সাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্তমান লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাধারীরা। টানা দ্বিতীয়বার ফের ফিরতে চলেছে সেই একই ফাইনাল।
৩ দিন আগে
টানা ৩ উইকেট পতনের পর ৬ বলে ৩০ রান, রংপুরের অবিশ্বাস্য জয়
শেষ দুই ওভারে যখন ৩৯ রানের প্রয়োজন, সেখানে ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ইফতিখার আহমেদ দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে রংপুরের সমর্থকদের মনে অনেকটা আশার সঞ্চার করলেও পরের তিন বলে তিন উইকেট পড়ে গেলে আশার সেই বেলুনর চুপসে যায়। এরপর শেষ ওভারে নুরুল হাসান সোহান যা করলেন, তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না।
শেষ ওভারে যখন ২৬ রান প্রয়োজন, তখন ব্যাট হাতে অভাবনীয় কায়দায় জ্বলে উঠলেন তিনি। প্রথম চার বলে ৬, ৪, ৪ ও ৬ হাঁকানোয় শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে হাঁকালেন ৪ আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন রংপুর রাইডার্সের নাবিক সোহান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে বরিশাল। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত খেলে জয় নিশ্চিত করে সোহানের দল।
এ নিয়ে ৬ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতল রংপুর। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে বরিশালের দ্বিতীয় হার এটি। দুই দলের প্রথম দেখাতেও বরিশালকে হারিয়েছিল রংপুর। ওই ম্যাচটি তারা জেতে ৮ উইকেটে।
আরও পড়ুন: বরিশালকে হেসেখেলে হারিয়ে রংপুরের জয়যাত্রা অব্যাহত
গত কয়েক ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা অ্যালেক্স হেলস এদিন শুরুতেই আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায় রংপুর, যার প্রভাব পড়ে তাদের রানরেটে। তবে অষ্টম ওভার থেকে লক্ষ্য তাড়ায় মনোযোগী হয় তারা।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে ২২ রান করে (১৯ বলে) সাইফ হাসান সাজঘরে ফিরলে ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে ১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন তৌফিক খান। ২৮ বলে ৩৮ রান করে তিনিও ফিরে গেলে আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহের সঙ্গে ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ইফতিখার।
এরপর ১৭.৫তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ইফতিখার ফিরে গেলে পরের ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে লক্ষ্য একরমক বাগে নিয়ে আসেন খুশদিল। কিন্তু পরের বলে তিনি আউট হয়ে গেলে তার পরের দুই বলে জাহান্দাদ খান শেখ মেহেদী ও সাইফউদ্দীনকেও ফিরিয়ে দিলে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। আর সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের অভাবনীয় গল্প লিখে বরিশালের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন সোহান।
রংপুরের হয়ে ২৪ ও ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ করে রান করেন যথাক্রমে খুশদিল ও ইফতিখার; তৌফিক করেন ৩৮ আর ৭ বল খেলে অধিনায়ক সোহানের রান ৩২।
অপরদিকে, বরিশালের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন জাহানান্দ খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল: ১৯৭/৫ (কাইল মেয়ার্স ৬১*, শান্ত ৪১, তামিম ৪০; কামরুল ২/৪৭, আকিফ ১/১৬)।
রংপুর রাইডার্স: ২০২/৭ (খুশদিল ৪৮, ইফতিখার ৪৮, তৌফিক ৩৮, সোহান ৩২*; জাহান্দাদ ২/৪৮)।
ফলাফল: রংপুর রাইডার্স ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নুরুল হাসান সোহান।
৪ দিন আগে