বিশ্ব
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অস্থির জ্বালানির বাজার, ভারতসহ ৩ দেশ বিপদে
নতুন করে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় বিপদে পড়েছে চীন ও ভারত। এতে করে এই দুই দেশকে জ্বালানি তেল আমদানিতে খুঁজতে হবে বিকল্প বাজার। অন্যদিকে তেল বিক্রির বড় বাজার হারালে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে রাশিয়ার জন্য।চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ক্ষমতা ছাড়ার আগমুহূর্তে এটি বাইডেন প্রশাসনের রাশিয়ার অর্থনীতিতে সর্বশেষ আঘাত বলে অভিমত ব্যবসা বিশ্লেষকদের।রাশিয়ার তেল উৎপাদনকারী প্রধান দুটি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম এবং সারগেটনেফটগ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বড় ক্ষতি হয়েছে ১৮৩ তেলবহনকারী ভেসেল জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায়।যেসব জাহাজের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, এর বড় একটি অংশ চীন-ভারতে জ্বালানি তেল পরিবহন করে। ২০২২ সালে জি-৭ দেশগুলো তেলের দাম বেধে দিলে রাশিয়া বাজার ধরতে বেছে নেয় এশিয়াকে। এদিকে সস্তায় তেল কিনতে পারায় রাশিয়া হয়ে উঠেছে চীন-ভারতের মুনাফার বড় বাজার।নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত জাহাজগুলো ২০২৪ সালে মোট ৫৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রফতানি করেছে, যা দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানির ৪২ শতাংশ। রফতানি হওয়া এ তেলের ৩০০ মিলিয়ন ব্যারেলই গিয়েছে চীনে এবং বাকিটা ভারতের বাজারে।বাণিজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান কেপলারের বিশ্লেষণ বলছে, রুশ জ্বালানি তেলের বাণিজ্যে এটা বড় রকমের ধাক্কা। সমুদ্রে রাশিয়ার তেল বহনকারী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিকল্প খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত ভুগতে হবে দেশটিকে।এদিকে রুশ তেলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। সর্বশেষ ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়েছে, যা নতুন বছরে সর্বোচ্চ।গেল বছর প্রথম ১১ মাসে ভারত ৩৬ শতাংশ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। একইসময়ে চীনের ২০ শতাংশ জ্বালানি তেলের জোগানদাতা ছিল রাশিয়া, যা আগের বছরের থেকে ২ শতাংশ বেশি।হঠাৎ করে রাশিয়ার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞায় ভারত-চীনকে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার দিকে ঝুঁকতে হবে। রাশিয়া ও ইরানের তেল সরবরাহ কমে আসায় মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। এতদিন ভারত-চীন রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনতে পারলেও এবার বেশি দামে বিকল্প বাজারমুখী হওয়া ছাড়া দেশ দুটির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।এরইমধ্য সরবরাহ কমায় জ্বালানি তেলের বাজারে আবারও শঙ্কা জেগেছে অস্থিরতা সৃষ্টির। তেলের দাম বেড়ে গেলে তার প্রভাব প্রতিটি পণ্যের ওপর পড়বে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
১৯ মিনিট আগে
পূর্ণ স্বাধীনতা চায় গ্রিনল্যান্ড
যুক্তরাষ্ট্র বা ডেনমার্ক, কারও অধীনে থাকতে চায় না গ্রিনল্যান্ড। সংকটকালীন এই সময়ে নিজেদের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করেছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মেত এজেদ।
সম্প্রতি ডেনিশ সরকারের সঙ্গে এক সম্মিলিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন এজেদ।
ডেনমার্কের স্বায়ত্ত্বশাসিত দ্বীপভূমি গ্রিনল্যান্ড বহুদিন ধরে নিজেদের স্বাধীনতার দাবি তুলে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছা প্রকাশের পর থেকে নতুন করে ফের নিজেদের স্বাধীনতার দাবি তুলল অঞ্চলটির অধিবাসীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসীরা জানান, ইউরোপীয় ফ্রি শিক্ষা ও চিকিৎসার সুবিধা পান তারা। আমেরিকা যত শক্তিশালীই হোক নাগরিক সুবিধার দিক থেকে তারা ইউরোপের তুলনায় নিঃসন্দেহে পেছনে। তাই আর যা-ই হোক নাগরিক সুবিধা হারাতে চান না দ্বীপটির অধিবাসীরা।
ডেনিশরা এতদিন গ্রিনল্যান্ড এবং এর সংস্কৃতিকে বৈষম্যের চোখে দেখেছে। এমনকি ডেনিশ চিকিৎসক দিয়ে গ্রিনল্যান্ডের নারীদের অজ্ঞাতসারে বন্ধ্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে সেখানকার অধিবাসীরা।
কোন প্রক্রিয়ায় গ্রিনল্যান্ড স্বাধীনতা পাবে সে ব্যাপারে ধারণাও দিয়েছেন এজেদ। গ্রিনল্যান্ডের মানুষের ওপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণভোটের মাধ্যমে দেশটির স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আসতে পারে বলে মত তার।
এদিকে, ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডে নিজের সমর্থন বাড়াতে ঘুষ দিয়ে আমেরিকার পক্ষে স্লোগান দেওয়াচ্ছে— এমন অভিযোগ তুলেছে কয়েকটি রুশ মিডিয়া। মাত্র ৫৬ হাজার মানুষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপের ভবিষ্যৎ।
তবে অনেকেই বলছেন, এ যাত্রায় ট্রাম্পের উসকানিতে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হয়ে গেলে সেটি হবে মন্দের ভালো।
১ দিন আগে
লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানলে মৃত্যু বেড়ে ১৬
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। হতাহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছে লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির চিকিৎসা পর্যবেক্ষকরা। তারা বলেছেন, এখনো হতাহতদের ঘটনার তদন্ত চলছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে করোনারের কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন প্যালিসেডস ফায়ারে এবং ১১ জন ইটন ফায়ারের।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে নিহতের সংখ্যা ছিল ১১ জন ছিল। লাশগুলো খুঁজে পেতে কুকুরের মাধ্যমে তল্লাশি চালানোয় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
লোকজনের কাছ থেকে নিখোঁজদের বিষয়ে তথ্য পেতে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
দমকলকর্মীরা সম্ভাব্য শক্তিশালী বাতাস ফিরে আসার আগে ছড়িয়ে পড়া দাবানল বন্ধ করতে প্রাণপন চেষ্টা করেছিল। কারণ এটি বিশ্বখ্যাত জে পল গেটি যাদুঘর এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে দাবানলের আগুনকে ছড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে নতুন করে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা বাড়ির মালিকদের আরও বিপদে ফেলেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের অদূরে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং অন্যান্য সেলিব্রিটিদের আবাসস্থল ম্যান্ডেভিলি ক্যানিয়নেও আগুন নিয়ন্ত্রণে তীব্র লড়াই করছিল দমকলকর্মীরা। এই এলাকায় হেলিকপ্টারগুলো আগুন নেভাতে নিচে নেমে এসে পানি ফেলেছিল।
পাহাড়ের ঢাল ঘন ধোঁয়ায় আছন্ন হওয়ায় মাটিতে থাকা দমকলকর্মীরা ফুসে ওঠা আগুনকে নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পাইপ ব্যবহার করেছিলেন।
এক ব্রিফিংয়ে ক্যালফায়ার অপারেশনের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান লিটজ বলেন, শনিবার মূল গুরুত্ব থাকবে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের অদূরে গিরিখাত এলাকায় জ্বলতে থাকা আগুন নিয়ন্ত্রণের।
আরও পড়ুন: দাবানলে ভস্মীভূত লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূল
লিটজ বলেন, 'আমাদের সেখানে বেশি পরিমাণে জোর দিতে হবে।’
কাউন্টি সুপারভাইজার লিন্ডসে হোরভাথ বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলস অঞ্চলটি ‘অকল্পনীয় আতঙ্ক ও হৃদয়বিদারক আরেকটি রাত ছিল এবং প্যালিসেডস ফায়ারের উত্তর-পূর্ব সম্প্রসারণের কারণে আরও বেশি অ্যাঞ্জেলসের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।’
হালকা বাতাস আগুনে ঘি ঢালছে। তবে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে দিয়েছে যে, শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাস - দমকলকর্মীদের নেমেসিস - শিগগিরই ফিরে আসতে পারে। এই বাতাসটি মূলত দাবানলকে নরকে রূপ দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে। এটি শহরের আশেপাশের পুরো এলাকাকে মিশিয়ে দিয়েছে। এই এলাকায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
আগুনটি ইন্টারস্টেট ৪০৫ -এর উপর দিয়ে হলিউড হিলস এবং সান ফার্নান্দো ভ্যালির ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১২ হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত, নিহত ১১
১ দিন আগে
আট মাস আগে প্রেমিকাকে খুন, প্রেমিকের ফ্রিজে মিলল লাশ
প্রেমিক সঞ্জয় পতিদারের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন প্রেমিকা পিংকি প্রজাপতি। বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করায় গত বছর জুন মাসে পিংকিকে খুন করে ফ্রিজে লাশ লুকিয়ে রাখেন সঞ্জয়।
এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ বলছে, ফ্রিজ খুলে প্রতিবেশীরা লাশ দেখতে পান। অর্ধগলিত লাশের শরীরে ছিল শাড়ি আর সোনার গহনা।
বাড়ির মালিক ধীরেন্দ্র শ্রীবাস্ত বলেন, প্রতিবেশীরা কয়েকদিন ধরে ফ্ল্যাটটি থেকে উৎকট গন্ধ পাচ্ছিল। পরে দরজা ভেঙে ফ্রিজ খুলে এ দৃশ্য দেখে রীতিমতো সবাই হতবাক।
পুলিশ জানায়, সঞ্জয় ২০২৩ সালের জুন মাসে এই বাসা ভাড়া নিয়েছিল। লাশ দেখে মনে হচ্ছে ২০২৪ সালের জুন মাসে পিংকিকে খুন করে এতদিন ফ্রিজে লুকিয়ে রেখেছিল সে। ঘটনা ঘটানোর পর কালেভদ্রে এখানে আসতেন সঞ্জয়।
ধীরেন্দ্র বলেন, শুরুতে পুরো ফ্ল্যাট ভাড়া নিলেও পরে দুই রুম রেখে বাকিটা ছেড়ে দেন সঞ্জয়। বহুদিন ধরে সঞ্জয় না ফেরায় বুধবার থেকে তার রুমের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। এরপরই ফ্রিজ থেকে পচা মাংসের উৎকট গন্ধ আসতে শুরু করে।
এ ঘটনার ঘন্টাখানেকের মধ্য মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নী থেকে সঞ্জয়কে আটক করেছে পুলিশ।
২ দিন আগে
যুদ্ধ বন্ধে এক টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্যতা বিশ্ব রাজনীতিতে সর্বজনবিদিত। এই সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এক দিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব—নির্বাচনী প্রচারণায় এমন কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। শপথের পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকেও ট্রাম্পও বলেন, পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের আয়োজন চলছে।
তবে কখন এই বৈঠক হবে, সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। ফ্লোরিডায় মার-আ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি (পুতিন) বসতে চেয়েছেন, আমরা আয়োজন করছি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা দেশগুলো ঠেকাতে পারবে না: পুতিন
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত এবং আগ্রহীও বটে পুতিন। আলোচনার টেবিলে বসতে কোনো ধরণের শর্ত আরোপ করা হবে না। এটি হবে নিঃশর্ত এবং পরিচ্ছন্ন আলোচনা।’
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ জানুয়ারি শপথের পর পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প। সেখানে মস্কো-কিয়েভ সংঘাত নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করা হবে।
সমস্যা সমাধানে পুতিন আগ্রহী জানিয়ে পেশকভ বলেন, দুপক্ষের সদিচ্ছাই এ আলোচনা হবে। পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলমান সমস্যা নিরসনের পথ বের হয়ে আসবে।
এর আগে চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, শপথের ৬ মাসের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভকে শান্তি চুক্তিতে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কিলোগ বলেন, ১০০ দিনের একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব হবে।
যদিও কোন প্রক্রিয়ায় যুদ্ধ বন্ধ হবে—তেমন কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি ট্রাম্প। এদিকে পুতিনের ভাষ্য, রাশিয়ার দখল করা ভূমি থেকে ইউক্রেন নিজেদের বাহিনী সরিয়ে নিলে ও ন্যাটো যুদ্ধে প্রভাব খাটানো বন্ধ করলে ত্বরিৎ গতিতে সমাধান সম্ভব।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ‘প্রস্তুত’ পুতিন
২ দিন আগে
রাখাইনে জান্তা বাহিনীর হামলায় কয়েক ডজন নিহত
চলতি সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলায় কয়েজ ডজন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এমন খবর দিয়েছে।এমন এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যখন দেশটির গৃহযুদ্ধ চার বছরে পড়তে যাচ্ছে। রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বেসামরিক ছায়া সরকার ও আরাকান আর্মি যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তারাও কয়েক ডজন নিহত হওয়ার কথা বলেছেন।বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে ইয়ানবি শহরতলির কিয়াউক নি মো গ্রামে হামলা চালায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিমান। এতে প্রায় ৫০০ বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়, নিহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি।শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘের বিবৃতি ও মিয়ানমারের জাতীয় সরকার এমন তথ্য দিয়েছে।তবে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন চালানোর কথা অস্বীকার করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলছে—‘তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’কিন্তু ২৬ মুসলিম গ্রামবাসীর নাম প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি, যারা সামরিক বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১২ জন।২০২১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচি সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপরেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা চলছে।এদিকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে সবপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।যেসব প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থা দেশটির বিমান বাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহ করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধজ্ঞা দিতে আহ্বান জানিয়েছে ব্লাড মানি ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র মুলান। তিনি বলেন, যখন এই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা যাবে, তখনই কেবল জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ হবে।মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎপর অ্যাকটিভিস্টদের জোট হচ্ছে ব্লাড মানি ক্যাম্পেইন।
২ দিন আগে
দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১২ হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত, নিহত ১১
লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকায় ছড়িয়ে পড়া দাবানলে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ১২ হাজার ভবন। এতে বাস্তুচ্যুতও হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া সান ফ্রান্সিসকোর চেয়েও বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী দাবানলের শিখা।
শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাসের কারণে গত মঙ্গলবার দাবানলটি শুরু হয়ে এটি বৃহস্পতিবার দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পূর্বাভাসকারীরা সতর্কতা জারি করলেও এই সপ্তাহান্তের শেষের দিকে বাতাস আবার বাড়তে পারে।
শহর ও কাউন্টি কর্মকর্তারা শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, তারা প্যালিসেডে আগুন ৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু, আলতাডেনার আগুন মাত্র ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
অল অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয়ের তথ্যমতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এসহ হতাহতের মধ্যে উপকূলে প্যালিসেডস ফায়ারে পাঁচজন এবং ইটন ফায়ার ইনল্যান্ডে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
যদিও সঠিক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। বেসরকারি সংস্থা অ্যাকুওয়েদার ধারণা দিয়েছে যে, ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫ কোটি থেকে ১৫০ কোটি ডলার হতে পারে। যদিও সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও কোনে সরকারি পরিসংখ্যান দেয়নি।
এই দাবানলে বাড়ি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, চার্চ ও মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাতাসের মান এবং বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। সরকার বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপও নিয়েছে। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও লুটপাট বন্ধে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছে। ইতোমধ্যে লুটপাটের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে ভস্মীভূত লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূল
২ দিন আগে
ট্রাম্পকে নিয়ে এবার কানাডা-মেক্সিকোর রসিকতা
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিশ্বনেতারা এক ধরনের রসিকতায় মেতেছেন। ফ্রান্স-জার্মানির পর ট্রাম্পের রাষ্ট্রের সীমারেখা বাড়ানো নিয়ে মুখ খুলেছে কানাডা এবং মেক্সিকো।
কানাডা একীভূত করা তো দূরের কথা উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের দুই অঙ্গরাজ্য- আলাস্কা এবং মিনেসোটা কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন কানাডার অন্তারিও রাজ্যের প্রধান ডগ ফোর্ড।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফোর্ড বলেন, আলাস্কা আর মিনেসোটা কিনে নেওয়া যেমনি বাস্তবতার নিরিখে অবাস্তব, একইভাবে ট্রাম্পের কানাডা একীভূত করার বাসনাও নিতান্তই অলীক।
ট্রাম্পের এ ধরনের প্রস্তাবকে রসিকতা বললেও একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের ওপর কানাডার তীক্ষ্ম নজর থাকবে বলেও জানান এই রাজ্যপ্রধান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
ট্রাম্পের অতিরিক্ত রাজস্ব আরোপের হুমকি প্রসঙ্গে ফোর্ড বলেন, বাণিজ্যিক দিক থেকে কানাডা একমুখীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল না। প্রতিদিন ৪৩ লাখ ব্যারেল তেল কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের বড় একটি যোগান আসে কানাডা থেকে।
বাণিজ্যের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অসহযোগিতামূলক আচারণ করলে সেটি কারও জন্য কল্যাণকর হবে না বলে জানান তিনি।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের জবাবে কানাডার সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, কোনো সময়েই কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হবে না। দুই দেশের অধিবাসীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখারও ওপরও জোর দেন তিনি।
এদিকে ট্রাম্পের গালফ অব মেক্সিকোর নাম বদলে গালফ অব আমেরিকা রাখার প্রস্তাবের জবাবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম উল্টো প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্পকে। যুক্তরাষ্ট্রের নাম বদলে আমেরিকা মেক্সিকানা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
নিজের প্রস্তাবের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে ক্লাউডিয়া বলেন, সতের শতকে আমেরিকান এই ভূমিকে মানুষ আমেরিকা মেক্সিকানা নামেই ডাকতো। এখন থেকে চাইলে পুরোনো সেই নাম আবার চালু করা যায়। শুনতেও এই নাম ভালো লাগে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
৪ দিন আগে
গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্স-জার্মানির
ডেনমার্কের কাছ থেকে গায়ের জোরে গ্রিনল্যান্ড কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর এবার নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে ইউরোপের দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও জার্মানি। ইউরোপীয় মাটিতে কোনো আঘাত এলে তা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। জার্মানি ও ফ্রান্সকে বলা হয় ইউরোপের চালিকাশক্তি।
গ্রিনল্যান্ড হস্তান্তর করা না হলে ডেনমার্কের ওপর অতিরিক্ত রাজস্ব চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট। এবার গায়ের জোরে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি কেড়ে নিতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
গ্রিনল্যান্ড দখল করতে কোনো সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা হবে না; এমন নিশ্চয়তা দেবেন কিনা, প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আমি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। ৬০০ বছর ধরে এটি ডেনমার্কের অংশ হয়ে আছে। ৫৭ হাজার জনসংখ্যার দেশ গ্রিনল্যান্ডে আছে স্বায়ত্তশাসন। ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চেয়ে আসছেন দ্বীপদেশটির প্রধানমন্ত্রী।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজ বলেন, ছোট কিংবা বড়—প্রতিটি দেশের সীমান্তের ক্ষেত্রে অলঙ্ঘনীয় নীতি রয়েছে। সেটা মেনে চলতে হবে।
এদিকে ট্রাম্পের হুমকির ঘটনায় কড়া জবাব দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ নয়েল ব্যারট। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ব্যারট বলেন, ইউরোপের সীমান্তে কেউ আক্রমণ করলে তা বরদাশত করা হবে না। মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ শক্তিশালী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্য একে অন্যের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিশ্বের যে দেশই হোক, তার শক্তিমত্তা যতই হোক; ইউরোপের দিকে আঙুল তুললে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারট।
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশদের সম্পত্তি। স্বায়ত্তশাসিত এ ভূমি দূরবর্তী সীমানা আইনে ইউরোপেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করলে সেটি হবে ইউরোপ আক্রমণের নামান্তর।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ আক্রমণের মতো সিদ্ধান্ত নিবে না বলে মনে করেন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকে থাকতে এখন থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাকে গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর দিকে ঠেলে দেবে সেটা তিনি ভাবতেও পারেন না বলে জানিয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন।
গ্রিনল্যান্ডে অনেকেই ডেনমার্ক থেকে স্বাধীন হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ডেনিশ রাজা এখনও দ্বীপটিতে জনপ্রিয়। এক স্থানীয় অধিবাসী বলেন, ‘তিনি (রাজা) জনপ্রিয়। সুতরাং, তিনি স্পষ্টতই ডেনিশ-গ্রিনল্যান্ড সম্পর্ক রক্ষায় সহায়ক হতে পারবেন।’
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাসমুসেন বলেন, আমরা পুরোপুরি স্বীকার করি যে, গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আদৌ নেই।
রাসমুসেন অবশ্য সাংবাদিকদেরকে এও বলেছেন যে, চীন ও রাশিয়ার তৎপরতার কারণে আর্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়াটা বাস্তব। আমি মনে করি না যে আমরা পররাষ্ট্রনীতির সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ নিশ্চিত করতে আমরা কীভাবে আরও সহযোগিতা করতে পারি তা নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমরা প্রস্তুত।
৪ দিন আগে
গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়া কিংবা বিক্রি করতে রাজি না হলে অতিরিক্ত রাজস্ব চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের হুমকির কড়া জবাব দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ নয়েল ব্যারট।বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে ব্যারট বলেন, ইউরোপের সীমান্তে কেউ আক্রমণ করলে তা বরদাশত করা হবে না। মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ শক্তিশালী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্য একে অন্যকে রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।বিশ্বের যে দেশই হোক, তার শক্তিমত্তা যতই হোক; ইউরোপের দিকে আঙুল তুললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারট।ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে ব্যারট বলেন, গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশদের সম্পত্তি। স্বায়ত্তশাসিত এ ভূমি দূরবর্তী সীমানা আইনে ইউরোপেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করলে সেটি হবে ইউরোপ আক্রমণের নামান্তর।যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ আক্রমণের মতো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে মনে করেন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকে থাকতে এখন থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।গত মাসে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন দাবি করেন। এর আগেও ২০১৯ সালে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।কিন্তু গতবারের মতো এবারও ডেনিশদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি ট্রাম্প। শপথের আগেই ট্রাম্পের এ ধরনের কার্যক্রম ক্ষেপিয়ে তুলছে ইউরোপকে। কূটনীতিবিদরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প এ ধরণের চিন্তা পোষণ করলে চিড় ধরবে ইউরোপ-আমেরিকার এতদিনের বন্ধুত্বে।
৫ দিন আগে