আজকের খবর - 13-05-2025
চিকিৎসার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সরকার চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর শহিদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী (১২-১৩ মে) সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ চিকিৎসার পরিবেশ নিরাপদ, জনবান্ধব ও অনুকূল করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করা জরুরি।’
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ। আপনাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সরাসরি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় তিনি স্বাস্থ্যসেবাকে আরও জনমুখী করার জন্য কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। যেমন: পোস্টমর্টেম সেবা থানা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করা এবং গ্রামে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সম্মানী-ভাতা বৃদ্ধি করা। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে জনগণ দ্রুত সেবা পাবে এবং জনদুর্ভোগ কমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি সিভিল সার্জনদের থানা বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে অংশীদার হয়ে মাদক পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ করতে আহ্বান জানান।
চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের কিছু অভিযোগও রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন না বা পূর্ণ সময় থাকেন না। এসব অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা স্বাস্থ্যখাতের জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।’
প্রশ্নোত্তর পর্বে উপদেষ্টা সিভিল সার্জনদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সিভিল সার্জনরা এ সময় জেলা হাসপাতালগুলোর কেপিআই স্থাপনার স্বীকৃতি, জেলা পোস্টমর্টেম সেন্টারের আধুনিকীকরণ এবং সিভিল সার্জনদের জন্য গানম্যান দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। উপদেষ্টা এসব দাবির বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আবদুল হামিদের দেশত্যাগে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী প্রমুখ।
১৩ মিনিট আগে
নিখোঁজের ২ দিন পর ভুট্টাখেতে মিলল যুবকের অর্ধগলিত লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের আদমকুড়ি মাঠের একটি ভুট্টাখেত থেকে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ১টার দিকে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত শামসুল মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে উঠল নিখোঁজ দুই ভাইয়ের লাশ
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে ভুট্টাখেতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর দিলে আলমগীরের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
২৯ মিনিট আগে
আপিলের জন্য জোবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা হাইকোর্টের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। এই মামলার আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে তার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জোবাইদা রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
কায়সার কামাল জানান, সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে। এ ছাড়া, আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ফিরোজার পথে খালেদা, জোবাইদার ১৭ বছর নির্বাসনের অবসান
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
পরে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট করা এই মামলার রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। ওই রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে এই মামলায় জোবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সাজা স্থগিত চেয়ে জোবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন জোবাইদা রহমান। এরপর থেকে লন্ডনেই ছিলেন তিনি।
সেখান থেকে ৬ মে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৭ বছর পর দেশে ফেরেন জোবাইদা রহমান।
দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনটি আজ (মঙ্গলবার) কার্যতালিকায় উঠলে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি ফিরে পেতে চলেছেন ডা. জোবাইদা
৩২ মিনিট আগে
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পরিবেশবান্ধব ব্যবসা মডেল গ্রহণ জরুরি: সুইডিশ রাষ্ট্রদূত
ক্রেতাদের চাহিদা টেকসই পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়েছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে সুইডেনের বড় বড় ব্র্যান্ড, জলবায়ু ইস্যুতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস।
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পণ্য সরবরাহকারীদের পরিবেশবান্ধব ব্যবসা মডেল গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।’
সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত ‘সাসটেইনেবল ফ্যাশন প্ল্যাটফর্মের চতুর্থ উচ্চপর্যায়ের নীতিগত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে পোশাক খাতে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সহযোগিতা জোরদার করাই ছিল সংলাপের মূল লক্ষ্য।
রাষ্ট্রদূত উইকস নিজেই এ সংলাপের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সুইডেনের বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো টেকসই ব্যবসায়িক মডেল। বাংলাদেশে এই দৃষ্টিভঙ্গি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে, যেখানে এইচঅ্যান্ডএম গ্রুপ, আইকেয়া ও লিন্ডেক্স-এর মতো সুইডিশ ব্র্যান্ডগুলো পরিবেশগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রূপান্তরের ‘গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে’: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে, যা সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তৈরি করে।
এই পদ্ধতি শুধু অপারেশনাল ঝুঁকি কমাবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে, জলবায়ু লক্ষ্যে অবদান রাখবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৬) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদীয়মান দায়িত্বশীল ব্যবসা নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখবে।
প্রযুক্তি স্থানান্তর, নীতিনির্ধারণী সংলাপ এবং যৌথ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই রূপান্তরকে সহায়তা করতে সুইডেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রতিযোগিতা টিকিয়ে রাখা ও শক্তিশালী করা সম্ভব।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার নিয়ে প্রতিযোগী বিভিন্ন খাতের মধ্যে টেকসইভাবে পানি বণ্টনের জন্য নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে। আরএমজি শিল্পকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কোন কোন মন্ত্রণালয় থেকে কী ধরনের নীতিগত সহায়তা চায় এবং দ্রুততম সময়ে ভূগর্ভস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহারের ওপর একটি কার্যকর ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন জরুরি।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘পানি ব্যবস্থাপনায় কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে যাতে শিল্প, কৃষি এবং সাধারণ জনগণের পানির প্রয়োজন পূরণ হয়—এবং এই ভারসাম্য বজায় রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিষ্কার পানি নিশ্চিত করা যায়।’
এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল শিল্প খাতে, সরকারি নীতিতে এবং সরবরাহ চেইনে টেকসই পানি ব্যবহারের চর্চা উন্নয়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের একত্র করা।
এটি ব্যবসায়িক স্বার্থ, নীতিগত সমাধান এবং বিস্তৃত উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে সমন্বয় তৈরির মাধ্যমে প্রতিযোগিতা, সঙ্গতি ও পরিবেশগত সততা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ উইং) মো. ফজলুর রহমান, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার তুষার মোহন সাধু খান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন স্তরে উন্নীত হবে: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
সাসটেইনেবল ফ্যাশন প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে সুইডিশ দূতাবাস, বিজনেস সুইডেন, এইচঅ্যান্ডএম গ্রুপ, আইকেয়া, লিন্ডেক্স, নর্ডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআই), সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এসবিবিসি) এবং সুইডিশ এনার্জি এজেন্সির (এসইএ) একটি যৌথ উদ্যোগ।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে সুইডিশ পক্ষগুলোর টেকসই কার্যক্রমকে একটি প্ল্যাটফর্মের অধীনে আনা এবং বাংলাদেশ-সুইডেন অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করাই এই নীতিনির্ধারণী সংলাপের লক্ষ্য। এটি ইউনিসেফের সহায়তায় আয়োজন করা হয়।
৩৯ মিনিট আগে
আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে অন্যদের বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না, সরকারের আশ্বাস
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও অন্য রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না। এতে কারো বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না, সবাই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে, সোমবার (১২ মে) আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ সম্পর্কিত বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। ওই আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগকে পরিপূর্ণ নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই আহতের অবস্থান কর্মসূচি
তবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এই আইন কিংবা প্রজ্ঞাপন ক্ষুণ্ন করবে না বলে বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে সরকার।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনানুগ বিশ্লেষণ বা মতামত দেওয়ার অধিকার এই প্রজ্ঞাপনে হরণ করা হয়নি।
অন্তবর্তী সরকার জানায়, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হামলা গুম, খুন, অমানবিক নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
এসব অপরাধের অভিযোগে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের ফৌজদারি আদালতে অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে গেল ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হামলা ও উসকানি দেওয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নিষিদ্ধ করায় নেতিবাচক আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করে না সরকার: প্রেস সচিব
এতে এই সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গতকালের প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটে বিপুল ইয়াবা ও ২ কেজি গাঁজা জব্দ, ২ জন আটক
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাজাসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) উপজেলার পারুয়া লামাপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১ হাজার ৬০০টি ইয়াবা, দুই কেজি গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের ফয়েল পেপার আটরিল জব্দ করা হয়। এছাড়া মাদক বিক্রির নগদ ৯ হাজার ২০০ টাকাও উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ৯৩৮০ ইয়াবা জব্দ, আটক ১
আটক দুজন হলেন— ওই এলাকার বাসিন্দা রহমত আলী ও ইসাক আলী।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আটক দুজন কোম্পানীগঞ্জ থানা হাজতে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
পাবনায় চরমপন্থি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুর গ্রামে বাবুল শেখ ওরফে লগা (৪০) নামের এক চরমপন্থি নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোরের দিকে ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুরের একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাত ১২টায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লগা কোলাদী বিজয়রামপুরের হোসেন শেখের ছেলে। তিনি সর্বহারা দলের নেতা ছিলেন।
বাবুল শেখ ওরফে লগা হত্যা, ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি পাবনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যার মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ খানের বিশেষ ক্যাডার ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ, বাবা-মাসহ গ্রেপ্তার ৩
স্থানীয়রা জানান, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুর এলাকার সেউলি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এই লগা সর্বনিম্ন অর্ধশত মানুষকে গলা কেটে হত্যা করেছে। তার কাজই ছিল মানুষ হত্যা। এজন্য সে এক সময় ক্রসফায়ারের আসামি ছিল। দুবলিয়া বাজারে বাবা-ছেলেকে সে নিজেই হত্যা করেছিল। মানুষকে হত্যা করাই তার নেশা ও পেশ ছিল।
বর্তমানে এলাকায় গরু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন। পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।’
১ ঘণ্টা আগে
পোষার জন্য খাঁচায় আটকে রাখা হয় মেছো বিড়াল, পরে উদ্ধার
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার জগতপুর উত্তরপাড়ায় একটি মেছো বিড়াল আটক করেছে গ্রামবাসী। সোমবার (১২ মে) বিকালে ফসলি জমি থেকে ধাওয়া করে এটিকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগৎপুর উত্তর পাড়া থেকে এই মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধার করে লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে নেওয়া হয়েছে। সেখানে এটিকে অবমুক্ত করা হবে।
সোমবার জগতপুর গ্রামের নুরুন্নবী বলেন, ‘বিকালে বাড়ির পাশের ফসলি জমির আইলে ঘাস কাটছিলাম। এ সময় মেছো বিড়ালটিকে কয়েকজন ধাওয়া করে আটক করে। পরে কবুতরের খাঁচায় বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখা হয়। বর্তমানে এটি আমার ভাই অলি উল্যার ঘরে রয়েছে।’
অলি উল্যাহ বলেন, ‘শখের বসে কবুতরসহ বিভিন্ন পাখি পালন করি। গ্রামবাসীরা মেছো বিড়ালটি ধরে আমার কাছে দিয়েছে। এটিকে নিয়মিত খাবার দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মেছো বিড়ালসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ ভ্যান
সরকারি কোনো সংস্থা না নিলে অথবা আইনি বাধা না থাকলে মেছো বিড়ালটিকে স্থায়ীভাবে আমার কাছে রাখতে চাই বরে জানান তিনি।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, ‘একটি মেছো বিড়াল জগতপুর গ্রামে খাঁচায় বন্দি আছে জানতে পেরে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
শেষ জীবিত মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
হামাসের কাছে জিম্মি সর্বশেষ জীবিত মার্কিন সেনা সদস্য এডেন আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১২ মে) তাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করে হামাস।
বিনাশর্তে আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়াকে গাজা যুদ্ধ অবসান ও বাকি জিম্মিদের ঘরে ফেরানোর জন্য হামাসের ‘সদিচ্ছা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, রেড ক্রসের কাছে আলেকজান্ডারকে হস্তান্তর করার পর হেলিকপ্টারে করে তাকে তেলআবিবের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় দেশটির সেনাবাহিনী।
পরে আলেকজান্ডারের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। হাসপাতালে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত হন তিনি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী ২১ বছর বয়সী আলেকজান্ডার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে তাকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। তার প্রায় ১৯ মাস পর গতকাল (সোমবার) তিনি পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজায় পুনরায় ইসরায়েলের হামলার শুরুর পর এই প্রথম কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ জীবিত মার্কিন জিম্মিকে আজ মুক্তি দিতে পারে হামাস
আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়নি, যদিও হস্তান্তরের জন্য কিছু সময় লড়াই বন্ধ রেখেছিল। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নবায়নসহ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের পর তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা অব্যাহত রাখার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে হামাস। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনকে অনুরোধ করছি যেন তারা এই নির্মম যুদ্ধের অবসানের জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।’
সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় গতি আনতে আগ্রহ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ট্রাম্প।
রবিবার (১১ মে) নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, হামাসের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের প্রচেষ্টার প্রতি সদিচ্ছার একটি পদক্ষেপ।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাকি জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও তেল আবিবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি বৈঠক করেছেন। এ সময় আলেকজান্ডারের মুক্তিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এদিকে, গাজায় অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজা দখল করে সেখানকার জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে আবারও স্থানচ্যুত করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: ‘আত্মসমর্পণের’ শর্তে দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করল হামাস
তাছাড়া গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। এই অবরোধ তুলে না নিয়ে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ইসরায়েলের এই পদক্ষেপে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি অনাহারের মুখে পড়েছেন বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এই রাষ্ট্র পুনর্গঠন আলোচনা: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন বা সংস্কারের আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সঙ্গে আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন বা সংস্কারের লক্ষ্যে আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই আকাঙ্ক্ষা উন্মুক্ত হয়েছে।’
আলোচনায় আরও অংশ নিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ইতিহাসের এমন একটা মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হয়েছি, যখন একটি গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের মাধ্যমে সব নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং সে অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করছি।’
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে, এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা কেমন হবে—তা নির্দেশ করবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্ট সরকারের পলায়নের পর এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: আলী রীয়াজ
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি - সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে আলোচনায় দলটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন এবং সহকারি সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ২৩ মার্চ সিপিবি ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার বিষয়ক তাদের প্রস্তাবনা জমা দেয়৷ সে প্রেক্ষিতে দলটির সাথে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। এরইমধ্যে সিপিবিসহ ৩২টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে