এশিয়া
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অস্থির জ্বালানির বাজার, ভারতসহ ৩ দেশ বিপদে
নতুন করে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় বিপদে পড়েছে চীন ও ভারত। এতে করে এই দুই দেশকে জ্বালানি তেল আমদানিতে খুঁজতে হবে বিকল্প বাজার। অন্যদিকে তেল বিক্রির বড় বাজার হারালে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে রাশিয়ার জন্য।চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ক্ষমতা ছাড়ার আগমুহূর্তে এটি বাইডেন প্রশাসনের রাশিয়ার অর্থনীতিতে সর্বশেষ আঘাত বলে অভিমত ব্যবসা বিশ্লেষকদের।রাশিয়ার তেল উৎপাদনকারী প্রধান দুটি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম এবং সারগেটনেফটগ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বড় ক্ষতি হয়েছে ১৮৩ তেলবহনকারী ভেসেল জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায়।যেসব জাহাজের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, এর বড় একটি অংশ চীন-ভারতে জ্বালানি তেল পরিবহন করে। ২০২২ সালে জি-৭ দেশগুলো তেলের দাম বেধে দিলে রাশিয়া বাজার ধরতে বেছে নেয় এশিয়াকে। এদিকে সস্তায় তেল কিনতে পারায় রাশিয়া হয়ে উঠেছে চীন-ভারতের মুনাফার বড় বাজার।নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত জাহাজগুলো ২০২৪ সালে মোট ৫৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রফতানি করেছে, যা দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানির ৪২ শতাংশ। রফতানি হওয়া এ তেলের ৩০০ মিলিয়ন ব্যারেলই গিয়েছে চীনে এবং বাকিটা ভারতের বাজারে।বাণিজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান কেপলারের বিশ্লেষণ বলছে, রুশ জ্বালানি তেলের বাণিজ্যে এটা বড় রকমের ধাক্কা। সমুদ্রে রাশিয়ার তেল বহনকারী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিকল্প খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত ভুগতে হবে দেশটিকে।এদিকে রুশ তেলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। সর্বশেষ ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়েছে, যা নতুন বছরে সর্বোচ্চ।গেল বছর প্রথম ১১ মাসে ভারত ৩৬ শতাংশ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। একইসময়ে চীনের ২০ শতাংশ জ্বালানি তেলের জোগানদাতা ছিল রাশিয়া, যা আগের বছরের থেকে ২ শতাংশ বেশি।হঠাৎ করে রাশিয়ার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞায় ভারত-চীনকে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার দিকে ঝুঁকতে হবে। রাশিয়া ও ইরানের তেল সরবরাহ কমে আসায় মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। এতদিন ভারত-চীন রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনতে পারলেও এবার বেশি দামে বিকল্প বাজারমুখী হওয়া ছাড়া দেশ দুটির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।এরইমধ্য সরবরাহ কমায় জ্বালানি তেলের বাজারে আবারও শঙ্কা জেগেছে অস্থিরতা সৃষ্টির। তেলের দাম বেড়ে গেলে তার প্রভাব প্রতিটি পণ্যের ওপর পড়বে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
৬ মিনিট আগে
আট মাস আগে প্রেমিকাকে খুন, প্রেমিকের ফ্রিজে মিলল লাশ
প্রেমিক সঞ্জয় পতিদারের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন প্রেমিকা পিংকি প্রজাপতি। বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করায় গত বছর জুন মাসে পিংকিকে খুন করে ফ্রিজে লাশ লুকিয়ে রাখেন সঞ্জয়।
এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ বলছে, ফ্রিজ খুলে প্রতিবেশীরা লাশ দেখতে পান। অর্ধগলিত লাশের শরীরে ছিল শাড়ি আর সোনার গহনা।
বাড়ির মালিক ধীরেন্দ্র শ্রীবাস্ত বলেন, প্রতিবেশীরা কয়েকদিন ধরে ফ্ল্যাটটি থেকে উৎকট গন্ধ পাচ্ছিল। পরে দরজা ভেঙে ফ্রিজ খুলে এ দৃশ্য দেখে রীতিমতো সবাই হতবাক।
পুলিশ জানায়, সঞ্জয় ২০২৩ সালের জুন মাসে এই বাসা ভাড়া নিয়েছিল। লাশ দেখে মনে হচ্ছে ২০২৪ সালের জুন মাসে পিংকিকে খুন করে এতদিন ফ্রিজে লুকিয়ে রেখেছিল সে। ঘটনা ঘটানোর পর কালেভদ্রে এখানে আসতেন সঞ্জয়।
ধীরেন্দ্র বলেন, শুরুতে পুরো ফ্ল্যাট ভাড়া নিলেও পরে দুই রুম রেখে বাকিটা ছেড়ে দেন সঞ্জয়। বহুদিন ধরে সঞ্জয় না ফেরায় বুধবার থেকে তার রুমের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। এরপরই ফ্রিজ থেকে পচা মাংসের উৎকট গন্ধ আসতে শুরু করে।
এ ঘটনার ঘন্টাখানেকের মধ্য মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নী থেকে সঞ্জয়কে আটক করেছে পুলিশ।
২ দিন আগে
রাখাইনে জান্তা বাহিনীর হামলায় কয়েক ডজন নিহত
চলতি সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলায় কয়েজ ডজন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এমন খবর দিয়েছে।এমন এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যখন দেশটির গৃহযুদ্ধ চার বছরে পড়তে যাচ্ছে। রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বেসামরিক ছায়া সরকার ও আরাকান আর্মি যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তারাও কয়েক ডজন নিহত হওয়ার কথা বলেছেন।বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে ইয়ানবি শহরতলির কিয়াউক নি মো গ্রামে হামলা চালায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিমান। এতে প্রায় ৫০০ বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়, নিহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি।শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘের বিবৃতি ও মিয়ানমারের জাতীয় সরকার এমন তথ্য দিয়েছে।তবে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন চালানোর কথা অস্বীকার করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলছে—‘তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’কিন্তু ২৬ মুসলিম গ্রামবাসীর নাম প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি, যারা সামরিক বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১২ জন।২০২১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচি সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপরেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা চলছে।এদিকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে সবপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।যেসব প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থা দেশটির বিমান বাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহ করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধজ্ঞা দিতে আহ্বান জানিয়েছে ব্লাড মানি ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র মুলান। তিনি বলেন, যখন এই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা যাবে, তখনই কেবল জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ হবে।মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎপর অ্যাকটিভিস্টদের জোট হচ্ছে ব্লাড মানি ক্যাম্পেইন।
২ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় অগ্রাধিকার দিতে হবে: ইউএনএইচসিআর
মানুষের প্রাণ রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক হেই কিয়ুং জুন বলেন, ‘প্রাণ রক্ষাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
এমন এক সময় তিনি এ মন্তব্য করলেন যখন প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কয়েক সপ্তাহ সাগরে নৌকায় ভেসে থাকার পর সম্প্রতি এসব দেশে পৌঁছান নারী ও শিশুসহ ৪৬০ রোহিঙ্গা।
এর মধ্যে ৩ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় ১৯৬ জন ও ৫ জানুয়রি ২৬৪ রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার তীরে ভিড়েন। সাগরপথে এই দুঃসহ যাত্রায় অন্তত ১০ রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে। সপ্তাহ তিনেক আগে শ্রীলঙ্কায় মাটিতে নামেন আরও ১১৫ রোহিঙ্গা। এ সময়ে ১০ জনকে তারা সাগরেই হারিয়ে আসেন।থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে পাঠানো এক বার্তায় হেই কিয়ুং জুন বলেন, ‘এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সরকার এই ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আশ্রয় দিতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য। তাদের রক্ষায় এসব সরকার ও স্থানীয় প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
নিজ দেশ মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে তারা এসব দেশে পাড়ি জমান। এই সময়ে সাগর শান্ত থাকায় জীবনের ঝুঁকিও তুলনামূলক কম থাকে।
গত বছর ৭ হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা সাগরপথে নৌকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ২০২৩ সালের তুলনায় যা ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় অন্তত সাড়ে ৬ শ’ রোহিঙ্গা মারা গেছেন কিংবা নিখোঁজ হয়েছেন।
এই বিপজ্জনক নৌযাত্রায় শিশুদের অংশগ্রহণও বাড়ছে; মোট যাত্রীর ৪৪ শতাংশই তারা। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর ৩৭ শতাংশ বেশি শিশু মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরইমধ্যে নারীদের সংখ্যাও বেড়ে প্রায় এক তৃতীয়াংশ হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, গত বছর নতুন একটি প্রবণতা যুক্ত হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে ভয়াবহ বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন। এমনটি আগে কখনও দেখা যায়নি।
এর কারণ হিসেবে ইউএনএইচসিআরের ধারণা, দেশ থেকে পালানোর জন্য বর্ষা মৌসুমকেই নিরাপদ মনে করেন রোহিঙ্গারা।
সাগরেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাবাহী নৌকা
হেই কিয়ুং জুন বলেন, ‘যদিও নিজেদের সীমান্ত ও নিয়মবহির্ভূত চলাচল নিয়ন্ত্রণের বৈধ অধিকার আছে দেশগুলোর— বিশেষ করে চোরাচালান ও মানবপাচাররোধে। কিন্তু এসব পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে মানুষের অধিকারেরও নিশ্চয়তা থাকা দরকার।’
‘তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে আমরা দেশগুলোকে আহ্বান জানাব যাতে জীবিতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।’
ইউএনএইচসিআর বলছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক বেশি রোহিঙ্গা দেশটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যেতে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন।
নিয়মবহির্ভূত নৌচলাচল নিয়ন্ত্রণে দেশগুলোর পারস্পরিক পরিকল্পনা ও সহযোগিতা দরকার, যা এরইমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরাম বালি প্রসেসে নেওয়া হয়েছে।
চোরাচালান, মানবপাচার ও আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতায় ২০০২ সালে বালি প্রসেস গঠন করা হয়। আর শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করে সমুদ্রপথের সুরক্ষায় জোর দিতে দেশগুলোকে উৎসাহিত করছে ইউএনএইচসিআর।
৫ দিন আগে
তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫, আহত ১৩০
তিব্বতের কাছে হিমালয়ের উত্তরাঞ্চলীয় পাদদেশে ছয় দশমিক আট মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান ও ভারতের বিভিন্ন ভবনেও এই কম্পনের ঝাঁকুনি লেগেছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়েছে। এটির উৎপত্তিস্থল এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তর প্রবেশপথ টিংরি কাউন্টি, যা পর্বতারোহীদের জন্য জনপ্রিয় ও পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট থেকে আশি কিলোমিটার দূরে।
১০ কিলোমিটার গভীর থেকে ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা ভূমিকম্প নেটওয়ার্কস সেন্টার। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, এটির মাত্রা ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ।
চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, এতে তিব্বতীয় অঞ্চলের অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জন। তবে এর বাইরে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় ও ইউরেসিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশ, নেপাল ও উত্তর ভারতে প্রায়ই ভূমিকম্প হচ্ছে।
পর্বতারোহীদের জন্য শীতকাল কোনো জনপ্রিয় মৌসুম না। নেপাল জানিয়েছে, তিব্বত সীমান্তের সাতটি পাহাড়ি জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রাণ কিংবা সম্পদহানির ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে তিনটি শহর ও ২৭টি গ্রাম আছে। এগুলোর মোট লোকসংখ্যা ৬৯০০ জন।
শিগেইস বিভাগের টিংরি কাউন্টিতেই অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। টিংরির চাংসুও শহরে টংলাই এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। শিগেইস বিভাগের লোকসংখ্যা প্রায় আট লাখ।
শিগেইস বিভাগের কেন্দ্রীয় শহর শিগেইস তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, এটি শিগাৎসি নামেও পরিচিত। লাসা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপমশ্চিমের এ শহরটি তিব্বতের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর এবং পাঞ্চেন লামার বাসস্থান। ভূমিকম্পে হিমালায় পর্বতমালার নিকটবর্তী এই শহরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৬ দিন আগে
চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ শিজাংয়ে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৬২ জন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ৯টা ৫ মিনিটে জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া হতাহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে।
এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এই হার ৬ দশমিক ৮ বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের কিছু অংশ
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত অঞ্চলে। যেখানে ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে। এটি হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোর উচ্চতাকেও প্রভাবিত করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের আশপাশের গড় উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ২০০ মিটার (১৩ হাজার ৮০০ ফুট)। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের চারপাশের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) এবং এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিগাজে থেকে ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্পে বাসিন্দারা চমকে উঠেন। তারা তাদের বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, গত ১০০ বছরে এই অঞ্চলে ৬ বা তারও বেশি মাত্রার ১০টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
সূত্র: সিনহুয়া ও অন্যান্য
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের কিছু অংশ
৬ দিন আগে
হীরা, পান্না আর জহরতে ঘুরে দাঁড়াবে আফগান অর্থনীতি!
এতদিন পপি ফুল চাষ ও আফিম উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল ছিল আফগানিস্তানের অর্থনীতি। কিন্তু আফিম নিষিদ্ধের পর এবার বিকল্প হিসেবে খনিজ ও রত্ন সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছে দেশটির তালেবান সরকার।
মার্কিন বাহিনী আফগান ছেড়েছে বছর তিনেক হলো। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে আফগানিস্তানের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে তালেবান সরকারের তত্ত্বাবধানে।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব বলছে, শুধু আফিমই ছিল দেশটির জিডিপির ৮ শতাংশ। তালেবান সরকার আফিম নিষিদ্ধ করায় কৃষকরা প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। চাকরি হারিয়েছে এই চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরইমধ্যে আফগানিস্তানে আফিম চাষ কমেছে ৯৫ শতাংশ। অর্থনৈতিক এ ঘাটতির সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশি সাহায্যের অপ্রতুলতা। ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত তালেবান এবং দেশটির তৎকালীন সরকারের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র অবকাঠামোগত উন্নতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১৪৩ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছে নিজেদের মদদপুষ্ট সরকারকে। এখন এসব সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প রাস্তা দেখতে হচ্ছে তালেবান সরকারকে।
ভৌগলিকভাবে আফগানিস্তান খনিজ সম্পদ এবং রত্নমণিতে পরিপূর্ণ একটি দেশ। মার্কিনিরা ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ আহরণে বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। কিন্তু লাগাতার নিরাপত্তা ঝুঁকি, সরকারি দুর্নীতি, মন্দ অবকাঠামো এবং একের পর এক তৎকালীন আফগান সরকারের নীতিগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এবার তালেবান সরকার নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে। আফগানিস্তানের খনিজ খননে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক, কাতার, চীন, রাশিয়া এবং ইরান। এরইমধ্যে উজবেকিস্তানের একটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে জ্বালানি তেল উত্তোলনের চুক্তি করেছে দেশটির জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়। চীন তাদের নতুন সিল্ক রোডের পরিকল্পনায় আফগান অর্থনীতির ওপর আলাদাভাবে জোর দিচ্ছে।
আফগানিস্তানের পাঞ্জসির প্রদেশ সবুজ পান্নার জন্য বিখ্যাত। প্রদেশটিতে পান্না উত্তোলন এবং এর ওপর রাজস্ব নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে সরকার। তালেবান সরকার বলছে, শুধু পান্না না; রুবি, নীলকান্তমণি, স্বর্ণ, তামা এবং লোহার মতো খনিজ উত্তোলনেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চুক্তি এবং বিনিয়োগের পাশাপাশি এরইমধ্যে লাইসেন্স প্রদান শুরু করেছে তালেবান সরকার। সবুজ পান্না উত্তোলনে এ পর্যন্ত ৫৬০টি লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। একইভাবে রুবি উত্তোলনেও দেওয়া হচ্ছে লাইসেন্স।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবনুযায়ী, গত দুই বছরে আফগানিস্তানের প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৬ শতাংশ। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বর্তমান সরকার খনিজ সংক্রান্ত যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কার্যকর হলে দেশটির অর্থনীতির চাকা ঘুরতে সময় লাগবে না বলে মত বিশ্লেষকদের।
১ সপ্তাহ আগে
নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি, মহামারীর আতঙ্ক
নতুন আতঙ্ক দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) দৌরাত্ম্য বেড়েছে চীন ও জাপানে। এরইমধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।পাঁচ বছর হলো করোনাকাল পার হয়েছে। এবার নতুন মহামারী নিয়ে বার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই শঙ্কা, ২০২৫ সালে ফের করোনার মতো নতুন কোনো মহামারীর উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারী আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেয়া সম্ভব না। তবে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।যুক্তরাজ্যের সাউথ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র গবেষক ড. মাইকেল হেড বলেন, 'একটি মহামারীর আশঙ্কা করা হচ্ছে, ‘তবে এখনো কোন রোগটি মহামারী আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত না বলে আগাম মহামারীর নাম দেয়া হয়েছে ডিজিস-এক্স।’হাম, কলেরা, বার্ড-ফ্লু এবং স্ক্যাবিসের মতো প্রায় ১১টি রোগকে সম্ভাব্য মহামারীর তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে এইচএমভির সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের কপালে।চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানের। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৭ লাখেরও বেশি।হেড বলেন, ‘আগামীর মহামারীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে মারাত্মক ছোঁয়াচে এবং মানুষের মৃত্যুহার পৌঁছাবে সর্বোচ্চে।’চীনের বর্তমান অবস্থাচীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। তবে যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যেকোনো সময়ে দেশটির সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে বলে দাবি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের।দেশটিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশু এবং বৃদ্ধরা। বিশেষ করে আগে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল, তারা এই ভাইরাসের আক্রমণে নাজুক অবস্থায় আছেন।জ্বর, নাকবন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও এই ভাইরাসের তীব্রতায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় রোগের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে সক্ষম বলে অভিমত চিকিৎসকদের।সতর্ক অবস্থানে ভারতএইচএমপিভি ভাইরাস চীন থেকে যাতে করোনার মতো ভারতেও ছড়িয়ে না পরে, তাই আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছে দেশটি। ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ড. অতুল গয়াল জানিয়েছেন, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোনো সমস্যা এখন থেকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। এ ধরনের জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।গয়াল বলেন, ‘আপাতত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে এটিকে সাধারণ ফ্লু ভাইরাস বলেই মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শঙ্কাজনক কোনো বার্তা আমাদের কাছে আসেনি। তবে যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নির্দেশ দেয়া আছে।’প্রতিরোধ ও প্রতিকারপ্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস উপস্থিতি জানান দিলেও এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি কোনো টিকা। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা মোকাবেলায় যেসব সতর্কতা নেয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে এইচএমপিভি থেকে নিরাপদ থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের।করোনা মহামারীতে বিশ্বে মোট ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ কোটিরও বেশি। এ অবস্থায় নতুন এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে জনসাধারণের মনে।
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ থেকে গুন্ডা ঢোকানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, দাবি মমতার
বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডা ও অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ তাদের (ভারতে) অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যভবন নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনার সময় এমন দাবি করেন তিনি। এসব কারণে রাজ্যজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলেও অভিযোগ তার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন প্রকাশিত ওই বৈঠকের ভিডিওতে তাকে এ দাবি করতে শোনা যায়।
পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে অভিযোগ করে ভারতের ক্ষমতাসীন দলটির নেতাদের উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএসএফের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট (সমন্বয়) করে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছেন আপনারা।… ইসলামপুর, সিতাই, চোপড়াসহ অনেক জায়গা দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে বিএসএফ। আমাদের কাছে খবর আছে। আপনারা এর প্রতিবাদ করছেন না।’
‘এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার (সীমান্ত) দিয়ে খুন করে আবার (বাংলাদেশে) চলে যাচ্ছে- এমন লোক পাঠানো হচ্ছে। এটি বিএসএফের অনেক ভেতরের কাজ। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ব্লুপ্রিন্ট (নীলনকশা) আছে। তা না থাকলে এমনটি হতো না।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডকে 'নির্মমতা' বললেন ইউনূস
সীমান্ত তৃণমূলের নয়, বিএসএফের হাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলায় (পশ্চিমবঙ্গে) অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে কেউ যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনামের পরিকল্পনা করে, তাহলে বলব- এটি তৃণমূল কংগ্রেস করছে না; তৃণমূল কংগ্রেসের সেই অধিকার কিংবা সাধ্য নেই।’
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কোনো সমস্যা নেই বলেও এ সময় জানান এই তৃণমূল নেতা।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘আমরা চাই, ওখানেও (বাংলাদেশে) শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক। দুই বাংলার মধ্যে আমাদের কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। চিরকালই আমরা এক ভাষায় কথা বলি, এক ভাষায় পথ চলি।’
‘চিকিৎসার কারণে কেউ আসতেই পারে; মানবিকতার কারণেও কেউ আসতে পারে। কিন্তু (ভারত সরকারকে) আমাদের তা জানাতে হবে।’
মমতা বলেন, ‘আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, বাংলাদেশ নিয়ে যা আপনারা করবেন সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু যদি দেখি, কেউ মদদ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা প্রতিবাদ করব। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আমরা প্রতিবাদপত্র পাঠাব।’
সূত্র: এএনআই
১ সপ্তাহ আগে
ভারতে হোটেল থেকে একই পরিবারের ৫ জনের লাশ উদ্ধার
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তর প্রদেশের একটি হোটেল থেকে চার শিশু ও তাদের মাসহ একই পরিবারের পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজ্যের রাজধানী লখনউতে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ ও ১৬ বছর বয়সী দুই নাবালকও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুদের এক ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে খুনের দায়ে নিহতের হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লখনউ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আগ্রা শহরের বাসিন্দা ওই পরিবার।
১ সপ্তাহ আগে