মধ্যপ্রাচ্য
হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
দক্ষিণ গাজায় হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হুসাম শাহওয়ানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ গাজার একটি মানবিক অঞ্চলে রাতভর ড্রোন হামলা চলাকালে তিনি নিহত হন বলে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
খান ইউনিসের একটি মানবিক অঞ্চলে থাকা অবস্থায় শাহওয়ানকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ২৯
ওই হামাস নেতা ছাড়াও বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিমে আল-আইয়ুন ও আল-লাবাবিদি স্টেশনের আশপাশে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, খান ইউনিসের কেন্দ্রস্থলে একটি ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খান ইউনিস পৌর ভবনের ভেতরে অবস্থিত হামাসের কমান্ড সেন্টারে অবস্থান করা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে (ইসরায়েলি) বিমান বাহিনী।
অপরদিকে, হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খান ইউনিসের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় (শরণার্থী) তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এই হামলায় গাজার পুলিশ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহমুদ সালাহ ও হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা করে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
বৃহস্পতিবার গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের অর্ধের বেশি নারী ও শিশু।
১ সপ্তাহ আগে
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
নতুন বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তিনটি ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বুধবার (২ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
উত্তর গাজার বিচ্ছিন্ন এলাকা জাবালিয়ার একটি বাড়িতে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটেছে। গেল প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে উপকূলীয় অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাবালিয়া। অক্টোবরের শুরুর দিক থেকে সেখানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর এপির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক নারী ও চারটি শিশুসহ জাবালিয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করছে।
আরও পড়ুন: গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
আল-আকসা মার্টায়ারস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরেক ইসরাইলি হামলায় এক নারী ও একটি শিশু নিহত হয়েছে।
একটি শিশুর মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আপনারা কী নতুন বছর উদযাপন করছেন? উপভোগ করুন, যখন আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছি। গেল দেড় বছর ধরে আমাদের ওপর দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, রাতে বুরেইজ এলাকা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা করা হয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে সেই জবাব দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় হামলাটি চালানো হয়েছে খান ইউনিসে। এতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় নাসের হাসপাতাল ও ইউরোপীয় হাসপাতালে তাদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ২০০ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরাইলিকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এছাড়া আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃতদের মধ্যে প্রায় ১০০ ইসরাইলি এখনো গাজায় বন্দি আছেন ও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এরপর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৫ জন নিহত
১ সপ্তাহ আগে
বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী আহত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস দেশ ছেড়েছেন।
হামলার পর সরিয়ে নেওয়া আহত কর্মীর কথা উল্লেখ করে তেদ্রোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা এখন জর্দানে রয়েছি। সেখানে তাকে আরও চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) টেড্রোস ও জাতিসংঘের অন্য কর্মকর্তারা যখন ইয়েমেন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হুথিদের হাতে আটক জাতিসংঘের ১৩ কর্মীর মুক্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিতে দেশটিতে যাওয়া টেড্রোস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সব জায়গায় বেসামরিক নাগরিক ও মানবতাবাদীদের ওপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ইরানি অস্ত্র চোরাচালানে ব্যবহৃত হুথিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বিমান হামলায় হতাহতের কথা জানিয়ে বলেছে, এতে বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থানের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিমাণ এবং হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
২ সপ্তাহ আগে
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ কর্মকর্তা নিহত, আহত ১০
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় দেশটির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তারতুস প্রদেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল রহমান।
স্থানীয় আল-ওয়াতান সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে মন্ত্রী হামলাকারীদের সাবেক আসাদ সরকারের 'অংশ' বলে বর্ণনা করেছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত কর্মকর্তারা নিরাপত্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা দেশটিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
বুধবার, আলেপ্পোতে আলাউয়ি উপাসকদের দ্বারা সম্মানিত একটি মাজারে কথিত হামলার একটি ভিডিও প্রচারিত হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং জবাবদিহির আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা।
বেশ কয়েকটি প্রধানত আলাউয়ি অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে নতুন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় প্রতীক রক্ষায় যথেষ্ট কাজ করছে না।
এদিকে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই ধরনের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে, পতিত সরকারের অবশিষ্টাংশগুলো বিভেদ ছড়াতে সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় এক সপ্তাহে নিহত অন্তত ৩৭০: জাতিসংঘ
২ সপ্তাহ আগে
গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গাজার দারাজ তুফাহ জেলার শাবান আল-রইস ও আল-কারামা স্কুলে এ হামলা চালানো হয়।
স্কুল দুটিতে হামলার দায় স্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ভেতরে কমান্ড সেন্টার পরিচালনা করত হামাস। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি তারা।
হামলার পর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি গাধার গাড়িতে করে এক ব্যক্তির মাথাবিহীন লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হতাহতদের স্থানীয় আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া দুই হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার পর হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বর্তমানে গাজা সিটিতে আশ্রয় নিয়েছে।
৩ সপ্তাহ আগে
ইরানে ভয়েস অব আমেরিকার সাবেক সাংবাদিকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
শত্রু দেশের সরকারের সঙ্গে যোগসাজশের দায়ে মার্কিন বংশোদ্ভূত ইরানি সাংবাদিক রেজা ভালিজাদেহকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
রেজা ভালিজাদেহ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ভয়েস অব আমেরিকার ফার্সি ভাষার সাবেক সাংবাদিক। পরবর্তীতে রেডিও ফারদায়ও কাজ করেছেন তিনি।
ভালিজাদেহর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেইন আঘাসি বলেন, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন মার্কিন সরকারের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে প্রথম রায় দিয়েছে তেহরানের বিপ্লবী আদালত।’
তিনি বলেন, রায় ঘোষণা হলেও মক্কেলের সঙ্গে আমাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ২০ দিনের মধ্যে আপিল করা যাবে।
গত আগস্ট মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভালিজাদেহ জানান, ইরানের ধর্মতন্ত্র রেডিও ফারদাকে শত্রুভাবাপন্ন আউটলেট হিসেবে দেখলেও তিনি সেখানেই ফিরছেন।
সে সময় তিনি লেখেন, ২০২৪ সালের ৬ মার্চ আমি তেহরান ফিরে আসি। তার আগে রেভলুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে বৈঠক হলেও তারা আমার নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি। ফলে ১৩ বছর পর কোনো ধরনের নিশ্চয়তা ছাড়াই আমি দেশে ফিরি।
তেহরানের ফেরার পর প্রথম ছয় মাস ঠিকঠাক চললেও পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইরানে সাময়িক মুক্তি পেলেন নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদী
এর আগে, নভেম্বর মাসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও দেশটির ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়নের প্রতিবাদে রাজধানীর একটি ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন ভয়েস অব আমেরিকার ফার্সি সার্ভিসের সাবেক সাংবাদিক কিয়ানুশ সানজারি।
তার আগে চারজন কারাবন্দির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন ৪২ বছর বয়সী ওই সানজারি। তাদের মুক্তি না দিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন বলে জানায় ইরানি কর্তৃপক্ষ।
২০০৭ সালে রেডিও ফারদার সাবেক কর্মী পারনাজ আজিমা তার অসুস্থ মাকে দেখতে সংক্ষিপ্ত সফরে ইরানে ফেরেন। দেশে নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এরপর সরকার তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পাশাপাশি বারবার তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। আট মাস পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরে তাকে দেশ ছাড়ার অনুমতিও দেওয়া হয়।
পশ্চিমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে ইরানে অস্থিরতা চলছে। সম্প্রতি (২০২২ সালে) মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ-সংঘর্ষ শুরু হয়।
টানা অস্থিরতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে ইরান। বেকারত্ব বর্তমানে দেশটিতে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ইরানের মুদ্রাও (রিয়াল) ডলারের বিপরীতে মূল্য হারিয়ে চলেছে, যা দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
৪ সপ্তাহ আগে
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি- রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন ইতালির
গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো অব্যাহত এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে ইতালির প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
ইতালির রাজধানী রোমে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।
ইতালি সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে গাজায় বৈরিতার অবসান এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতে কাজ করা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি ইতালির দৃঢ় সমর্থনের কথা তুলে ধরেন মেলোনি।
স্থায়ীভাবে গাজা সংকটের অবসানে দ্বি-রাষ্ট্র কাঠামোর ভিত্তিতে একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের জন্য ইতালির সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এটি বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় রাষ্ট্রের নাগরিকই নিরাপত্তার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।’
ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালীকরণে সমর্থনের পাশাপাশি গাজার স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনে ইতালির প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
৪ সপ্তাহ আগে
সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ৯০ শতাংশ ধ্বংস করার দাবি ইসরায়েলের
সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার দাবি করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দেশটির ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় আইডিএফ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাশার আল আসাদের পতনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তারা সিরিয়ার পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করছে। এ ধরনের পরিস্থিতির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কৌশলগত অস্ত্রশস্ত্রসহ সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে (ইসরায়েলি) বিমান বাহিনী ব্যাপক হামলার পরিকল্পনা করেছে।
আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে গত কয়েকদিনে শত শত জঙ্গি বিমান ও বিমান দিয়ে সমন্বিত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এসব হামলায় সিরিয়ার যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভি, রাডার ও রকেটসহ সবচেয়ে কৌশলগত অস্ত্রের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসাদের পতন: সিরীয়দের এখনই আশ্রয় দেবে না ইউরোপের একাধিক দেশ
সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিও ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। হামলায় দামেস্কের উত্তরাঞ্চলের নিকটবর্তী টি৪ বিমানবন্দরটি উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেখানে অবস্থিত এসইউ-২২ ও এসইউ-২৪ যোদ্ধা স্কোয়াড্রনগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ‘ব্লে’ বিমানবন্দরের আরও তিনটি ফাইটার স্কোয়াড্রন এবং নিকটবর্তী একটি অস্ত্র সংরক্ষণাগারও ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার হোমস এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্র ও মজুদাগার লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল।
এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করাই এসব অভিযানের লক্ষ্য বলে বিবৃতিতে জানায় আইডিএফ।
১ মাস আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৫ জন নিহত
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার কেন্দ্রস্থলে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে প্রাণঘাতী এ হামলা করা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জেরুজালেমে সাংবাদিকদের বলেন, লেবাননে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধ অবসানের সম্ভাব্য চুক্তির পথ পরিষ্কার করতে সহায়তা করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলায় আরও অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
নুসেইরাতে প্রাণঘাতী হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল হামাস।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হামাস জঙ্গিরা গাজার বেসামরিক জনগণের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
এই যুদ্ধের কারণে গাজায় মারাত্মক মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অঞ্চলটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় ৪৪,৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ১৭ হাজারেরও বেশি বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। তবে এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দাখিল করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। প্রায় ১০০ জিম্মি এখনও গাজার অভ্যন্তরে রয়েছে, যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১ মাস আগে
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭ শিশুসহ নিহত ২৮
গাজা উপত্যকায় সর্বশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাত শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা।
দাইর আল-বালাহ শহরের আল-আকসা শহিদ হাসপাতাল জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হামলায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়ি ধসে পড়েছে।
এছাড়া অন্য দুটি পৃথক হামলায় আরও ১৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা ত্রাণবাহী গাড়িবহরের নিরাপত্তায় গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন। হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এসব কমিটি গঠন করেছে।
খান ইউনুসের নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী শহর রাফাহর কাছে বিমান হামলায় অন্তত ৮ জন এবং এর আধঘণ্টা পরে খান ইউনিসের কাছে বিমান হামলায় আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা করে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের অর্ধের বেশি নারী ও শিশু।
এছাড়া, যুদ্ধে ১৭ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে এই তথ্যের কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি তারা।
১ মাস আগে