ইউএস-ও-কানাডা
লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানলে মৃত্যু বেড়ে ১৬
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। হতাহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছে লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির চিকিৎসা পর্যবেক্ষকরা। তারা বলেছেন, এখনো হতাহতদের ঘটনার তদন্ত চলছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে করোনারের কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন প্যালিসেডস ফায়ারে এবং ১১ জন ইটন ফায়ারের।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে নিহতের সংখ্যা ছিল ১১ জন ছিল। লাশগুলো খুঁজে পেতে কুকুরের মাধ্যমে তল্লাশি চালানোয় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
লোকজনের কাছ থেকে নিখোঁজদের বিষয়ে তথ্য পেতে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
দমকলকর্মীরা সম্ভাব্য শক্তিশালী বাতাস ফিরে আসার আগে ছড়িয়ে পড়া দাবানল বন্ধ করতে প্রাণপন চেষ্টা করেছিল। কারণ এটি বিশ্বখ্যাত জে পল গেটি যাদুঘর এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে দাবানলের আগুনকে ছড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে নতুন করে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা বাড়ির মালিকদের আরও বিপদে ফেলেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের অদূরে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং অন্যান্য সেলিব্রিটিদের আবাসস্থল ম্যান্ডেভিলি ক্যানিয়নেও আগুন নিয়ন্ত্রণে তীব্র লড়াই করছিল দমকলকর্মীরা। এই এলাকায় হেলিকপ্টারগুলো আগুন নেভাতে নিচে নেমে এসে পানি ফেলেছিল।
পাহাড়ের ঢাল ঘন ধোঁয়ায় আছন্ন হওয়ায় মাটিতে থাকা দমকলকর্মীরা ফুসে ওঠা আগুনকে নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পাইপ ব্যবহার করেছিলেন।
এক ব্রিফিংয়ে ক্যালফায়ার অপারেশনের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান লিটজ বলেন, শনিবার মূল গুরুত্ব থাকবে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের অদূরে গিরিখাত এলাকায় জ্বলতে থাকা আগুন নিয়ন্ত্রণের।
আরও পড়ুন: দাবানলে ভস্মীভূত লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূল
লিটজ বলেন, 'আমাদের সেখানে বেশি পরিমাণে জোর দিতে হবে।’
কাউন্টি সুপারভাইজার লিন্ডসে হোরভাথ বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলস অঞ্চলটি ‘অকল্পনীয় আতঙ্ক ও হৃদয়বিদারক আরেকটি রাত ছিল এবং প্যালিসেডস ফায়ারের উত্তর-পূর্ব সম্প্রসারণের কারণে আরও বেশি অ্যাঞ্জেলসের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।’
হালকা বাতাস আগুনে ঘি ঢালছে। তবে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে দিয়েছে যে, শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাস - দমকলকর্মীদের নেমেসিস - শিগগিরই ফিরে আসতে পারে। এই বাতাসটি মূলত দাবানলকে নরকে রূপ দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে। এটি শহরের আশেপাশের পুরো এলাকাকে মিশিয়ে দিয়েছে। এই এলাকায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
আগুনটি ইন্টারস্টেট ৪০৫ -এর উপর দিয়ে হলিউড হিলস এবং সান ফার্নান্দো ভ্যালির ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১২ হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত, নিহত ১১
১ দিন আগে
দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১২ হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত, নিহত ১১
লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকায় ছড়িয়ে পড়া দাবানলে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ১২ হাজার ভবন। এতে বাস্তুচ্যুতও হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া সান ফ্রান্সিসকোর চেয়েও বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী দাবানলের শিখা।
শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাসের কারণে গত মঙ্গলবার দাবানলটি শুরু হয়ে এটি বৃহস্পতিবার দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পূর্বাভাসকারীরা সতর্কতা জারি করলেও এই সপ্তাহান্তের শেষের দিকে বাতাস আবার বাড়তে পারে।
শহর ও কাউন্টি কর্মকর্তারা শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, তারা প্যালিসেডে আগুন ৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু, আলতাডেনার আগুন মাত্র ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
অল অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয়ের তথ্যমতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এসহ হতাহতের মধ্যে উপকূলে প্যালিসেডস ফায়ারে পাঁচজন এবং ইটন ফায়ার ইনল্যান্ডে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
যদিও সঠিক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। বেসরকারি সংস্থা অ্যাকুওয়েদার ধারণা দিয়েছে যে, ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫ কোটি থেকে ১৫০ কোটি ডলার হতে পারে। যদিও সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও কোনে সরকারি পরিসংখ্যান দেয়নি।
এই দাবানলে বাড়ি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, চার্চ ও মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাতাসের মান এবং বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। সরকার বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপও নিয়েছে। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও লুটপাট বন্ধে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছে। ইতোমধ্যে লুটপাটের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে ভস্মীভূত লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূল
২ দিন আগে
ট্রাম্পকে নিয়ে এবার কানাডা-মেক্সিকোর রসিকতা
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিশ্বনেতারা এক ধরনের রসিকতায় মেতেছেন। ফ্রান্স-জার্মানির পর ট্রাম্পের রাষ্ট্রের সীমারেখা বাড়ানো নিয়ে মুখ খুলেছে কানাডা এবং মেক্সিকো।
কানাডা একীভূত করা তো দূরের কথা উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের দুই অঙ্গরাজ্য- আলাস্কা এবং মিনেসোটা কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন কানাডার অন্তারিও রাজ্যের প্রধান ডগ ফোর্ড।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফোর্ড বলেন, আলাস্কা আর মিনেসোটা কিনে নেওয়া যেমনি বাস্তবতার নিরিখে অবাস্তব, একইভাবে ট্রাম্পের কানাডা একীভূত করার বাসনাও নিতান্তই অলীক।
ট্রাম্পের এ ধরনের প্রস্তাবকে রসিকতা বললেও একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের ওপর কানাডার তীক্ষ্ম নজর থাকবে বলেও জানান এই রাজ্যপ্রধান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
ট্রাম্পের অতিরিক্ত রাজস্ব আরোপের হুমকি প্রসঙ্গে ফোর্ড বলেন, বাণিজ্যিক দিক থেকে কানাডা একমুখীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল না। প্রতিদিন ৪৩ লাখ ব্যারেল তেল কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের বড় একটি যোগান আসে কানাডা থেকে।
বাণিজ্যের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অসহযোগিতামূলক আচারণ করলে সেটি কারও জন্য কল্যাণকর হবে না বলে জানান তিনি।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের জবাবে কানাডার সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, কোনো সময়েই কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হবে না। দুই দেশের অধিবাসীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখারও ওপরও জোর দেন তিনি।
এদিকে ট্রাম্পের গালফ অব মেক্সিকোর নাম বদলে গালফ অব আমেরিকা রাখার প্রস্তাবের জবাবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম উল্টো প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্পকে। যুক্তরাষ্ট্রের নাম বদলে আমেরিকা মেক্সিকানা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
নিজের প্রস্তাবের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে ক্লাউডিয়া বলেন, সতের শতকে আমেরিকান এই ভূমিকে মানুষ আমেরিকা মেক্সিকানা নামেই ডাকতো। এখন থেকে চাইলে পুরোনো সেই নাম আবার চালু করা যায়। শুনতেও এই নাম ভালো লাগে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
৪ দিন আগে
গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়া কিংবা বিক্রি করতে রাজি না হলে অতিরিক্ত রাজস্ব চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের হুমকির কড়া জবাব দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ নয়েল ব্যারট।বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে ব্যারট বলেন, ইউরোপের সীমান্তে কেউ আক্রমণ করলে তা বরদাশত করা হবে না। মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ শক্তিশালী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্য একে অন্যকে রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।বিশ্বের যে দেশই হোক, তার শক্তিমত্তা যতই হোক; ইউরোপের দিকে আঙুল তুললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারট।ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে ব্যারট বলেন, গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশদের সম্পত্তি। স্বায়ত্তশাসিত এ ভূমি দূরবর্তী সীমানা আইনে ইউরোপেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করলে সেটি হবে ইউরোপ আক্রমণের নামান্তর।যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ আক্রমণের মতো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে মনে করেন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকে থাকতে এখন থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।গত মাসে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন দাবি করেন। এর আগেও ২০১৯ সালে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।কিন্তু গতবারের মতো এবারও ডেনিশদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি ট্রাম্প। শপথের আগেই ট্রাম্পের এ ধরনের কার্যক্রম ক্ষেপিয়ে তুলছে ইউরোপকে। কূটনীতিবিদরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প এ ধরণের চিন্তা পোষণ করলে চিড় ধরবে ইউরোপ-আমেরিকার এতদিনের বন্ধুত্বে।
৫ দিন আগে
দাবানলে ভস্মীভূত লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূল
আকস্মিক দাবানলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ৫০ কিলোমিটার উপকূল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
দাবানলে লস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের বড় বড় ভবন। সৈকত শহর সান্তা মনিকা আর মালিবুর মাঝখানের অন্তত ৩ হাজার একর জায়গাজুড়ে বিখ্যাত প্যাসিফিক পালিসেডস। বড় বড় চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত তারকাদের বাসভবন এ এলাকাজুড়ে। দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এই এলাকাটিতেই।
প্রদেশের গভর্নর গ্যাভিস নিউসম এরইমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাতে মহাসড়কে ভীড় করছে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে, ধোঁয়া উঠছে। এ ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।
নগরবাসী জানিয়েছেন, প্রলয়ের গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের গাড়ি নিয়ে পর্যন্ত বের হতে পারেননি। প্রাণে বাঁচতে এক কাপড়ে পালাতে হয়েছে তাদের।
হলিউড অভিনেতা জেমস উড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে জানান, কোনোমতে তিনি পালাতে সক্ষম হয়েছেন।
আগুনের যে তীব্রতা দেখা যাচ্ছে, তাতে বাড়িঘর কিছু টিকে নেই বলে শঙ্কা করেছেন এই অভিনেতা। অনেকেই তাড়াহুড়া করে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। অনেকের হাত-পা পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালালেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছেন না।
আগুন ধীরে ধীরে সান্তা মনিকা ও মালিবো বন্দরে ছড়িয়ে পড়ছে। এরইমধ্যে বাসিন্দাদের সান্তা মনিকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। হেলিকপ্টারে করে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে পানি এনে ছিটানো হচ্ছে প্রতিনয়ত।
তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশ ও উদ্ধারকারী বিমানগুলো নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ায় সরিয়ে রাখা হয়েছে। যারা পালাচ্ছেন তাদের অধিকাংশ এ রাজ্যেই আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত আগুনে ২৫ হাজার মানুষ এবং ১০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বার্তায় জানিয়েছেন, যেকোনো প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাশে পাবে প্রদেশটির গভর্নর। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা বিল অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
পদত্যাগ করেও মার্কিন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খোঁচা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গেল ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সোমবার (৬ জানুয়ারি) লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তার বিরুদ্ধে নতুন করে ট্রল যুদ্ধ শুরু করেছেন ট্রাম্প। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডাকে একীভূত করে ফেলা উচিত। এতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার দরকার পড়বে না কানাডার।‘কানাডা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য। আর প্রধানমন্ত্রী হবেন ‘গভর্নর জাস্টিন ট্রুডো’, ট্রাম্পের তাচ্ছিল্য।মার্কিন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ট্রুডো পদত্যাগ করেছেন, কারণ তিনি জানতেন যে কানাডাকে টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র যে ভর্তুকি দিত, সেটা বাতিল করা হবে। কানাডা সেটা আর পাবে না। দেশটির সঙ্গে কোনো বাণিজ্যি ঘাটতিও মেনে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র।’আগে থেকেই সীমান্তবর্তী দেশ কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট। নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনী প্রচারে প্রতিযোগী দেশগুলোর পণ্যে রাজস্ব বাড়ানোর ওপরও জোর দেন। প্রচারের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রাখেন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর পণ্যে রাজস্ব বৃদ্ধি।এরআগে গেল ১৮ ডিসেম্বর ট্রাম্প বলেন, ‘কানাডাকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।’ কিন্তু ফ্যাক্টচেকাররা দাবি করেন, তার দেওয়া এই তথ্য ভুল। কারণ মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্র সহায়তা ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, অন্তত ২০০১ সাল থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে কোনো একক দেশ হিসেবে কানাডাকে ৩৫ দশমিক এক মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ট্রুডো বলেন, ‘দলীয় আন্তঃকোন্দলের বিষয়টি আমার কাছে এতোই পরিষ্কার যে, আগামী নির্বাচনে লিবারেল মানদণ্ড আমি আর বহন করতে পারবো না।’ট্রুডোকে খোঁচা দিয়ে সামাজিকমাধ্যম ট্রুথস্যোশালে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র একীভূত হয়ে যায়, তাহলে রাশিয়া ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে দুই দেশ অনেক নিরাপদ থাকতে পারবে।’
৬ দিন আগে
ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রুডো
জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় ও নেতৃত্ব নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমাগত অসন্তোষের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গেল ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সোমবার (৬ জানুয়ারি) লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
তবে তার দল থেকে নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন ৫৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। আগামী নির্বাচনে তার দল বড় ধরনের ধসের মুখে পড়তে পারে বলে জনমত জরিপে উঠে আসলে সরে দাঁড়াতে আইনপ্রণেতারা তাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত সংসদ মুলতবি থাকবে। এর অর্থ হচ্ছে, মে মাসের আগেই দেশটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের সময়ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন ট্রুডো। কানাডীয় পণ্যের ওপর বড় ধরনের রাজস্ব আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, এতে দেশটির অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ট্রুডো বলেন, আগামী নির্বাচনে এই দেশ সত্যিকারের নেতা নির্বাচন করবে। কিন্তু আমাকে যদি আন্তঃকোন্দল নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে আমি সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারবো না।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসেন তিনি। এরপর দুবার পুননির্বাচিত হয়ে কানাডার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ট্রুডো। কিন্তু উচ্চমূল্য ও আবাসন ঘাটতির কারণে মানুষের মধ্যে তার নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তাও কমতে থাকে।
জনমতি জরিপে দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিরোধী কনজারভেটিভের কাছে তার দলের বড় পরাজয় ঘটবে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
ট্রুডো বলেন, চারপাশে বিরোধ দূর করে উত্তাপ কমিয়ে আনার বিষয়টি তিনি ভেবেছেন। সেইসঙ্গে এমন সরকারের কথা তিনি ভাবেন, যেটি জটিল বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দেবে।
তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে উত্তরসূরি হিসেবে কে আসছেন, সেই প্রশ্নও এখন সামনে আসছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সাবেক প্রিমিয়ার ক্রিস্টি ক্লার্ক।
৬ দিন আগে
ক্ষমতা ছাড়তে পারেন ট্রুডো
ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দিনকে দিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে তার নিজের দল লিবারেল পার্টি বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। তাদের অভিযোগ, ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা এ প্রধানমন্ত্রী এখন আর দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট সামাল দিতে পারছেন না।
বিগত কয়েক বছর ধরে বড় রকমের শ্রম সংকট চলছে কানাডায়। এর বাইরে কানাডার পণ্য আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিংয়ের এ সময়ে গত বছর ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এরপরেই ট্রুডো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
ডিসেম্বর থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে আসেননি। জনসমক্ষে সেভাবে তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। লিবারেল পার্টির ট্রুডো ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি রিসোর্টে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে ফিরেই হয়তো পদে থাকা না-থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংসদে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির আসন ১৫৩টি। এর মধ্যে ২০ জন সাংসদ সরাসরি ট্রুডোর পদত্যাগ চেয়েছেন। বাকিদের অনেকেই পার্টি মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
এদিকে ট্রুডোর পদত্যাগের গুঞ্জনে ডলার বিপরীতে কানাডীয় মুদ্রার দাম বাড়তে শুরু করেছে। ২০২০ সালে ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা ৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হলেও, বর্তমান অবস্থান করছে ডলারের মূল্যের ওপরে।
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতের সহিংসতার অভিযোগ ট্রুডোর
তবে ট্রুডো ক্ষমতা ছাড়ার পর লিবারেল পার্টির কোন নেতা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অনেকে ক্ষমতার চেয়ার নিয়ে দলীয় কোন্দলের শঙ্কাও করছেন।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চাইলে দল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রুডো নিজ পদ ধরে রাখতে পারেন। এদিকে দেশটির বিরোধী দল জানিয়েছে, সংসদের আগামী অধিবেশনে তারা সরকার পতনের ডাক দেবে। সব মিলিয়ে কানাডা বড় রকমের অস্থিরতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
১ সপ্তাহ আগে
ইসরায়েলকে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দেবে বাইডেন প্রশাসন
বাইডেন প্রশাসন মেয়াদের শেষপ্রান্তে এসে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র হিসেবে দেশটির কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে অস্ত্র বিক্রির জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট কমিটির অনুমোদন লাগবে।
এসব অস্ত্রের চালানের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র ১৫ দিন আগে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কারণে ইসরায়েলকে সামরিক সমর্থন স্থগিত করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন।
এর আগে গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের কাছে ২ হাজার কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সর্বশেষ ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের চালানটিতে এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি শেল এবং বোমা থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র শনিবার(৪ জানুয়ারি) বিবিসিকে জানিয়েছে, 'প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করার এবং ইরান ও এর মদদপুষ্ট সংগঠনগুলোর আগ্রাসন প্রতিহত করার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা প্রদান অব্যাহত রাখব।’
বাইডেন বরাবরই ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সমর্থনকে দৃঢ় বলে বর্ণনা করে আসছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে সহায়তা করে আসছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রধান প্রচলিত অস্ত্রের ৬৯ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করেছে।
২০২৪ সালের মে মাসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছিল, ইসরায়েল দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে একটি বড় স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এমন উদ্বেগের কারণে তারা ২ হাজার পাউন্ড এবং ৫০০ পাউন্ড বোমার একক চালান স্থগিত করেছে। কিন্তু বাইডেন তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান এবং নেতানিয়াহুর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হন। তারা এটিকে ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এরপরই বাইডেন স্থগিতাদেশ আংশিক তুলে নিয়েছেন এবং এর পুনরাবৃত্তি করেননি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি- রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন ইতালির
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাইডেন প্রশাসন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মধ্যে এই পরিকল্পিত চালানটি অন্যতম। এর মাধ্যমে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তার উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নেওয়া চেষ্টা করছেন।
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে এটি সম্ভবত ইসরায়েলের কাছে শেষ পরিকল্পিত অস্ত্র বিক্রি হতে পারে। এরপরই তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচনের সময় ও এর আগে বৈদেশিক সংঘাত বন্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা কমানোর কথা বলেছেন।
নিজেকে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হিসেবে তুলে ধরলেও গাজায় সামরিক অভিযান দ্রুত শেষ করতে মার্কিন মিত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে গোষ্ঠীটির অভূতপূর্ব হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করার জন্য একটি অভিযান শুরু করো। হামাসের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ৪৫ হাজার ৫৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়াও লেবাননভিত্তিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গেও যুদ্ধে জড়িয়েছে। সম্প্রতি একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে উভয় পক্ষ। এছাড়া সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়া নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির দখল নিয়েছে আইডিএফ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেই গোলান মালভূমি পরিদর্শনও করেছেন। সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে দেশটির সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার চেষ্টাও করেছে ইসরায়েলের আইডিএফ। সম্প্রতি সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইরানের মিসাইল প্ল্যান্ট ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েল।
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও অন্যান্য
১ সপ্তাহ আগে
গোপন লেনদেন, ট্রাম্পের মামলার রায় ১০ জানুয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে প্রবেশের মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে ঘুষের মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন বিচারক। তবে ট্রাম্পকে জেলে যেতে হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই বিচারক।
এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক কাজের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন প্রথমবারের মতো ট্রাম্প। ম্যানহাটনের বিচারক জুয়ান এম মার্চেনে এই বিচার কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন। একটি লিখিত রায়ে বলেছেন, তিনি তাকে ‘নিঃশর্ত অব্যাহতি’ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এর অর্থ ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি রেকর্ডে থাকবে, তবে তাকে জেল, জরিমানা বা প্রবেশনের মুখোমুখি হতে হবে না। সাজা ঘোষণার সময় ট্রাম্পকে ভার্চুয়িালি যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিচারক মারচান প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি এবং তার আসন্ন দ্বিতীয় মেয়াদের ভিত্তিতে রায় খারিজ করার ট্রাম্পের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি আইনের সামনে সমতা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে জুরির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধার জনসাধারণের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ না করে ট্রাম্পের শাসন করার ক্ষমতার ভারসাম্য রেখে বিষয়টি শেষ করার চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এই রায়কে রাজনৈতিক আক্রমণ এবং ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের পরিকল্পিত ‘কারচুপিপূর্ণ প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেছেন। এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখলে প্রেসিডেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
ব্র্যাগের অফিস মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তবে আইন বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, ট্রাম্প তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। তবে মামলাটি রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় পড়ায় তিনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে গোপনে অর্থ প্রদানের বিষয়টি গোপন করার পরিকল্পনা থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ট্রাম্প কীভাবে তার প্রাক্তন অ্যাটর্নি মাইকেল কোহেনকে অর্থ প্রদানের জন্য সরবরাহ করেছিলেন সেটিকে কেন্দ্র করেই মামলাটি শুরু হয়েছিল। একটি কথিত সম্পর্কের দাবিকে গোপন থামানোর জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল, যা ট্রাম্প অস্বীকার করেছেন।
প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর উভয় পক্ষই তার আসন্ন প্রেসিডেন্ট হওয়ার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার শাসন ব্যবস্থায় বিঘ্নের কথা উল্লেখ করে মামলাটি খারিজের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, অন্যদিকে প্রসিকিউটররা এখনও সাজা বহাল রাখার পক্ষে।
মার্চান মামলাটি খারিজ করার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বলেছেন, একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে এই জাতীয় দায়মুক্তি দেওয়া আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের দায়মুক্তির রায়কে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করার যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলো প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের আগে এবং সময়ে ঘটেছিল।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা চারটি ফৌজদারি অভিযোগের মধ্যে এটিই একমাত্র মামলা যা চূড়ান্ত বিচার পর্যন্ত গড়িয়েছে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং শ্রেণিবদ্ধ নথি সম্পর্কিত ফেডারেল অভিযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জর্জিয়ার একটি রাজ্য নির্বাচনের মামলা অমীমাংসিত রয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, এই পর্যায়ে নিউইয়র্কের মামলাটি খারিজ করার দিকে পরিচালিত করা উচিত। তবে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর স্বতন্ত্র পর্যায়ে এ জাতীয় সমাধানের কোনো ভিত্তি খুঁজে পাননি বলেও জোর দেন মার্চেন।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের নজর দক্ষিণ এশিয়ায়, বড় সুযোগ বাংলাদেশের
১ সপ্তাহ আগে