ঢাকা
মুন্সীগঞ্জে ট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ৪
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে গজারিয়ার নয়াচর চক-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে ওদুদ বেপারী (৩৬), চরঝাপটা ইউনিয়নের রমজানবেগ গ্রামের বাচ্চু সরকারের ছেলে বাবুল সরকার (৪৮), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাকিব (২৬) ও একই এলাকার নাঈম (২৪)।
নিহতদের স্বজনরা জানান, চাঁদপুর উত্তর উপজেলা থেকে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ট্রলারে চড়ে গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন হতাহতরা। এই সময় বিপরীত দিক থেকে একটি স্পিডবোট আসছিল। নৌযান দুটিতে সব মিলিয়ে ১০/১১ জন আরোহী ছিল। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে স্পিডবোটটি দিক ভুলে ট্রলারে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় অভিযানের সময় মৎস্য কর্মকর্তার ওপর দৃর্বৃত্তের হামলা
ঘটনার পর তিনজনের লাশ উদ্ধার হলেও নাঈম (২৪) নামে একজন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ। পরবর্তীতে শনিবার দুপুর ২টার দিকে নিখোঁজ নাঈমের লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত নাঈম স্পিডবোটের চালক ছিলেন।
উদ্ধার ইউনিট প্রত্যয়ের নারায়ণগঞ্জের কমান্ডার ও বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমরা শুনেছিলাম বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে স্পিডবোটের সঙ্গে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত হই। দুর্ঘটনায় ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি যারা মারা গেছে তারা সবাই ট্রলারের যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ একজনের লাশ শনিবার দুপুর ২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে ঝোপ থেকে উদ্ধার করি আমরা।’
নিহত ওদুদ বেপারীর স্ত্রী ফেরদৌসী জানান, মতলব উত্তর উপজেলার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে একটি ট্রলারের সঙ্গে দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে বলতে পারব।’
২ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে স্পিডবোট-বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহত ২
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালিপুরা ঘাটের অদূরে মেঘনায় নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ওদুদ ওই উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জামালপুর গ্রামের মামুন বেপারির ছেলে এবং নিহত বাবুলের নাম জানা গেলেও তার ঠিকানা এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়া আহত হালিম গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ জামালপুর গ্রামের বাচ্চু প্রধানের ছেলে।
ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওদুদ ও বাবুলকে মৃত
ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত হালিমকে ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আরও লোক নিখোঁজ বা মারা গেছেন বলে শোনা গেলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে- হতাহতদের মধ্যে মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন এবং নৌপথে দস্যুতার সঙ্গে জড়িতরাও রয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে গেছে।’
নিহতদের লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।
২ দিন আগে
নিজ বাসভবন থেকে ওসির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিজ বাসভবন থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তাকে জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার সহকর্মীরা। পরে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
আল-আমিন মুলাদি থানার কাচির চর এলাকার বাসিন্দা। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে ছিল তার সংসার। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা থানায় যোগদান করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন আল-আমিন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তার বাসভবনে জানালার সঙ্গে তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সহকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ সুপারসহ অন্যান্যরা। পরে সিআইডির টিম গিয়ে তার পরিবার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনার আসল কারণ ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ৩ দিনের রিমান্ডে
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) শেখ শরীফুজ্জামান বলেন, ‘ওসি আল-আমিন দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আমরা অফিস করার সময় হঠাৎ জাজিরা থেকে ফোন আসে ওসির লাশ ঝুলে আছে। এরপর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যাই।’
৩ দিন আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে কেয়ারটেকারের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক চিকিৎসকের বাড়ি থেকে ওহাব মাতব্বর (৭০) নামে এক কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলায় নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখার কান্দা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওহাব মাতব্বরের বাড়ি পাশ্ববর্তী তুজারপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এই বাড়িতে কেয়ারটেকারের দ্বায়িত্বে ছিলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. আসিফ ইকবাল জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই ওহাব মাতব্বরের লাশ দ্বিতীয় তলার বাড়ির ছাদে ওঠার দরজার পাশে পড়ে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সংবাদ পেয়ে আমিসহ থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছি। সিআইডির একটি দলও ঘটনাস্থলে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৪ দিন আগে
সাভারে অ্যাম্বুলেন্স-বাস সংঘর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ হয়ে নিহত ৪
সাভারে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে আরিচা মহাসড়কের সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার পুলিশ টাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে নিহত চারজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানায়, সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার পুলিশ টাউনের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। এছাড়াও অপর আরও একটি বাস দুটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সসহ তিনটিতে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।তিনি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কয়েক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
৪ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
মুন্সীগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এনামুল নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) মুক্তারপুর-শ্রীনগর সড়কের মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মোটরসাইকেলের চালক বিল্লাল হোসেন, অটোরিকশা যাত্রী ফিরোজ মিয়া ও আলমগীর হোসেন।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে এনামুল নামে এক কলেজছাত্র নিহত হন। এ সময় অটোরিকশাটি সড়কের পাশের খালে পড়ে গেলে গুরুতর আহত হয় যাত্রীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা পাঠান।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা। তবে এখনও মামলা হয়নি।’
৫ দিন আগে
ফরিদপুরের ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস খাদে, নিহত ৫
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস খাদে পড়লে অন্তত পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেল সড়কে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এর মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলে মারা যান। বাকি দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তারা মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই দুজনই নারী। মাইক্রোবাসের চালকসহ মোট ৯ জন যাত্রী ছিলেন।নিহতরা হলেন—নারায়ণগঞ্জের ভুইয়াপাড়ার সায়েম (৪০), সাদিয়া জহির (৪৫), রানা শরিফ ভূঁইয়া (৬৭) এবং রাইয়ান (১১)। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিলেছে। এই সড়কে একটি রেল ক্রসিং আছে। কিন্তু এটি অনুমোদিত কোনো রেল ক্রসিং নয় বলে সেখানে রেল বিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই।এলাকাবাসী জানায়, মধুমতী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল, অপরদিকে ওই মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিক আসছিল।ফরিদপুর দমকল বাহিনীর জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ‘দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রেনের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাইক্রোবাসটি নিচের খাদে পড়ে যায়। সেটি উৃদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটির ভেতরে কিংবা নিচে চাপাপড়া অবস্থায় কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।’তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এসে তারা জানতে পেরেছেন আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তারা দুজনই নারী। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাইক্রোবাসের চালকও রয়েছেন।’
৬ দিন আগে
ঘন কুয়াশায় ১১ ঘণ্টা বন্ধের পর দুই নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১০ ঘণ্টা ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১১ ঘন্টা বন্ধ থাকার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টায় কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে চ্যানেলের বিকন বাতিসহ নৌচ্যানেল অস্পষ্ট হয়ে যায়।
বাধ্য হয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় মাঝ নদীতে খান জাহান আলী নামে একটি রো রো ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকে পড়ে।
আরও পড়ুন: কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়াো ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল বন্ধ
এছাড়া আরিচা ঘাটে চিত্রা, কৃষাণী ও শাহ আলী নামে তিনটি ফেরি ও কাজিরহাট ঘাটে ধানসিঁড়ি নামে অপর একটি ফেরিকে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে, রাত ১টায় কুয়াশার তীব্রতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসময় মাঝ নদীতে আটকে পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বাইগার নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে মোট ৮টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উভয় ঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে। কুয়াশা কমে গেলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরিচা-কাজিরহাট ও বেলা ১১টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। বহরে অতিরিক্ত চারটি ফেরি যুক্ত করা হয়েছে।
ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিত্বে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস পারাপার করা হবে। পর্যায়ক্রমে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার হবে।
আরও পড়ুন: ৯ ঘণ্টা পর দুই নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
১ সপ্তাহ আগে
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর অ্যাম্বুলেন্স চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর নিজ বাড়ির পাশে মাটিতে পোঁতা অবস্থায় কামাল মৃধা নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ভোজেরডাঙ্গী গ্রামের একটি পেঁয়াজের জমিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কামাল মৃধা (৪২) উপজেলার ভোজেরডাঙ্গী গ্রামের মৃত বিল্লাল মৃধার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর বিকালে বাজারে চা খেতে যাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হন কামাল। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবার।
এরই মধ্যে শনিবার বিকালে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ভোজেরডাঙ্গী মাঠে একটি গ্রামীণ মেঠোপথে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখেন। ওই রক্তের দাগ ধরে পাশের একটি পেঁয়াজের জমিতে গিয়ে মাটি খোড়া দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে ওই মাটি সরিয়ে একটি হাত দেখতে পান তারা। পরে তারা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) আসাদুজ্জামান সাকিল বলেন, ‘ফসলি জমির মাটিতে পোঁতা অবস্থায় এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের গলাকাটা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১ সপ্তাহ আগে
নিখোঁজের চার দিন পর বন্ধুর বাসায় মিলল রিকশাচালকের লাশ
নিখোঁজের চারদিন পর ফরিদপুরে চুনাঘাটা মডেল টাউন এলাকায় বন্ধুর বাসা থেকে রিকশাচালক হালিম শেখের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বাসার ভেতর থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
হালিম শেখ শহরের আলিপুর গোরস্থান এলাকার মৃত আব্দুর রব শেখের ছেলে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হালিমের বন্ধু রনি মোল্যা রিকশা চুরির লোভে বন্ধু হালিমকে হত্যা করে বাড়ির ভেতরে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন।
রনি মোল্যা নরসিংদী জেলার রায়পুরের আব্দুল মতিনের ছেলে। দেড় মাস আগে তিনি চুনাঘাটা মহল্লার ওই ভাড়াবাড়িতে ওঠেন।
নিহতের বোন সাথী আক্তার জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি হালিম। এ ব্যাপারে শুক্রবার কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। নিখোঁজের আগে হালিমকে রনির সঙ্গে স্থানীয়রা দেখেছিল বলে জানান তিনি।
হালিমের পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সকালে মো. মোখলেসুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া রনির বাসায় গিয়ে ভেতর থেকে গেট আটকানো দেখতে পাওয়া যায়। একপর্যায়ে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে হালিমের রিকশাটি তারা দেখতে পান। এরপর ওই ঘরের পেছনে বালি-মাটি দিয়ে কিছু ঢেকে রাখা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় হালিমের লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে ওয়ার্ড যুবদল সভাপতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রিকশার মালিক নূর ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার হালিম তাকে ফোনে জানান, রাতে গ্যারেজে ফিরবেন না, তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন; পরেরদিন ফিরবেন। একপর্যায়ে তারা (মালিক) জানতে পারেন, হালিমের বন্ধু রনি তাকে ভাড়া করে নিয়ে যান, পরে রনির বাড়িতেই তার লাশ পাওয়া গেল।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের ঘাড়ে কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাকে কুপিয়ে হত্যার পরে এখানে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রনিকে গ্রেপ্তার করা হলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
১ সপ্তাহ আগে