বরিশাল
ভোলায় শুরু হয়েছে উপকূলীয় জলচর পাখি গণনা
ভোলায় শুরু হয়েছে বার্ষিক উপকূলীয় জলচর পাখি গণনা। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের উদ্যোগে পাঁচ সদস্যের একটি দল এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। জলচর পাখির সংখ্যা নিরূপণ, তাদের বাসস্থান রক্ষা এবং পাখি সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এ গণনা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ভোলা সদর উপজেলার খেয়াঘাট থেকে ট্রলারে করে এই কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী আট দিন দলটি ভোলা ও আশপাশের প্রায় ৫০টি চর এবং জলাভূমি পরিদর্শন করা হবে। এই অঞ্চলে রয়েছে জলচর পাখির বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাহার, যার মধ্যে কিছু বিরল এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি রয়েছে।বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য ও পাখি পর্যবেক্ষক এম এ মুহিত জিনান জানান, এই গণনা শুধু পাখির সংখ্যা নির্ধারণের জন্য নয়; এটি পাখিদের জীবনযাত্রা ও বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ভূমিকা রাখে।‘আমাদের লক্ষ্য শুধু পাখি গণনা নয়, পাখিদের সুরক্ষা ও তাদের মুক্ত বিচরণ নিশ্চিত করাও,’ তিনি বলেন।১৯৮৭ সালে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবক ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। গণনার মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য ‘ওয়েটল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকাশ করে, যা বিশ্বব্যাপী জলচর পাখির সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই দলে আরও রয়েছেন পাখি গবেষক সায়াম ইউ চৌধুরী, ফয়সাল, নাজিম উদ্দিন খান ও রবিউল ইসলাম। ১৩ জানুয়ারি এই কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর দলটি ঢাকায় ফিরে তাদের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, যা ভবিষ্যতের সংরক্ষণ উদ্যোগে সহায়ক হবে।
১ সপ্তাহ আগে
শশুরবাড়ি যাওয়ার পথে যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী নাসিরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে ফিরে শশুরবাড়ি যাওয়ার পথে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসির বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন। তার বাবার নাম শাহজাহান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নাসির ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে ফিরে শশুর বাড়ি ওয়ার পথে কালমেঘা নূরিয়া এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগ ক্যাডার রাব্বি ও হাসানসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাসিরকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহম্মদ ফারুকসহ দলের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
চৌধুরী মোহম্মদ ফারুকের দাবি, ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত রয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো মেহেদী হাসান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
১ সপ্তাহ আগে
ঘর আলোকিত করল শহীদ শাজাহানের সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত মো. শাজাহানের ঘর আলোকিত করে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে মায়ের কোল ও ঘর আলোকিত করে পৃথিবীর মুখ দেখলো এই ফুটফুটে শিশু ওমর ফারুক।
এদিকে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে শিশু ওমর ফারুককে ঘিরে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে আনন্দ দেখা দিলেও তার ভবিষ্যত নিয়ে হতাশার কথাও জানান শহীদ মো. শাজাহানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। তবে শহীদ পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকালে ভোলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম হয় ওমরের। ওমরের পৃথিবীতে আগমনকে ঘিরে স্বজনদের মধ্যে আনন্দ দেখা দেয়। মায়ের আদর পেলেও ওমরের জন্মদাতা বাবা মো. শাজাহানের শূন্যতা থেকেই যাবে। আন্দোলনে গিয়ে ১৬ জুলাই ঢাকায় শহীদ হন শাজাহান। তখন ওমর ফারুক (চার মাসের) মায়ের গর্ভে।
আরও পড়ুন: শহীদ নাফিজকে বহনকারী ‘রিকশা’ জুলাই বিপ্লব স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে
মেঘনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে স্বপরিবারে ঢাকায় চলে যান ভোলার দৌলতখানের হাজিপুরের মো. শাজাহান। কামরাঙ্গির চরের চান মসজিদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। ফুটপাতে পাপস বিক্রির ব্যবসায় চলতো তার পরিবারের ভরণ-পোষণ। আড়াই বছর আগে একই উপজেলার ফাতেহা বেগমকে জীবনসঙ্গী করেন শাজাহান। চার মাসের গর্ভবর্তী স্ত্রীকে ঘরে রেখে ১৬ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যান শাজাহান। রাজধানী সাইন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি।
শহীদ মো. শাজাহানের স্ত্রী ফাতেহা বেগম জানান, আমার সন্তান তার বাবার মুখ দেখতে পেল না। বাবা বলে ডাকতে পারল না। তার স্বামীর খুব শখ ছিল একটা সন্তানের। চারমাসের সময় পরীক্ষা করে নাম রেখে গেছেন ওমর ফারুক। তার স্বপ্ন ছিল মেয়ে হোক ছেলে হোক মাদরাসায় দিয়ে বড় আলেম বানাবেন। সরকারের কাছে আবেদন তারা যেন পাশে থেকে আলেম বানিয়ে দেয়। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। আমার সন্তানের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। তার দাদা ও দাদী কেউ খবর নেয়নি। আমার স্বামীর প্রাপ্য পাইনি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী স্বামী টাকা বা সহায় সম্পদ রেখে যেতে পারেননি। ঘরবাড়িও নেই। বর্তমানে বাবার পরিবারে থাকেন তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই ট্রাক নথি জব্দ
বরিশালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই ট্রাকভর্তি নথিপত্র জব্দ করছে স্থানীয় জনতা। প্রয়োজনীয় গোপন নথিপত্র সরিয়ে ফেলতে পারে সন্দেহে কাগজপত্রসহ ওই ট্রাকদুটি জব্দ করে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে তারা থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজনকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
কাগাশুরা গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কাগজপত্রভর্তি দুটি ট্রাক আমাদের গ্রামে ঢুকলে তাদের ট্রাকে কী আছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর না দিতে পারায় সন্দেহ হয়। এরপর ট্রাকদুটিকে আটক করে গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাউনিয়া থানা পুলিশের দুটি টিম।
এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক যুগের পুরনো কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলতে দুটি ট্রাকে করে ময়লা খোলা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ভুল করে ড্রাইভার কাগাশুরা গ্রামে ঢুকে যায়। তখন গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে তারা ট্রাকদুটিকে আটক করে।’
সরকারি নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার নিয়ম পালন করা হয়েছে কি না- প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আমি মৌখিকভাবে তাদের পুড়িয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছি। ট্রাকে আমাদের অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আফজাল ও ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।’
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতার সামনে লিখিত দিয়ে ট্রাকদুটি নিয়ে যান শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সবার উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লিখিত দিয়ে তাদের কাগজপত্র বুঝে নিয়ে যান।’
২ সপ্তাহ আগে
শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বরিশালের নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি শুরু করেন। এ সময় সরকারিভাবে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, সব নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
শ্রমিকদের কর্মবিরতির মাঝে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল অব্যহত থাকলেও বরিশালে পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বরিশালের নেতা একিন আলী মাস্টার বলেন, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিতে হবে। সব নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অবিলম্বে এই দাবিগুলো মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
ভোলায় তাবলীগ জামায়াতের কর্মসূচিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা
ভোলায় সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে তাবলীগ জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আমার দেশ পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলার শহরের বরিশাল দালান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিকের নাম মো. ইউনুস শরীফ। হামলায় তার মাথা ফেটে গেছে। এতে চারটি সেলাই লেগেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের সদর রোডে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তাবলীগ জামায়াতের লোকজন। এ সময় শহরের বাংলা স্কুল মোড় থেকে কালিনাথ বাজার মোড় পর্যন্ত পুরো সদর রোড ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কর্মূসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল দালানের সামনে ট্রাকের ওপর মঞ্চ করে বক্তব্য দেন স্থানীয় আলেম-ওলামারা। বক্তব্য চলাকালে হাবিব মেডিকেলের সামনে থেকে মহাজনপট্টি পর্যন্ত এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় তাবলীগ জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচির সংবাদ কভারেজ করতে যান সাংবাদিক ইউনুস শরীফ। সেখানে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত আটকানো নিয়ে কর্তব্যরত এক স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে অন্য স্বেচ্ছাসেবকসহ উপস্থিত মুসল্লীদের মধ্য থেকে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ইউনুসের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্য সাংবাদিকরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি দোকানে মধ্যে নিয়ে যান।
ইউনুস শরীফ বলেন, ‘ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় আটকে থাকা কয়েকজন নারীদের যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ফুটপাতের পথ ছেড়ে দিতে বললে তারা লাঠি ও পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।’
‘এই সমাবেশ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, সন্ত্রাসীদের সমাবেশ। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।’
তিনি বলেন, এটা যদি সন্ত্রাসীদের সমাবেশ না হয়, তা হলে লোহার রড, লাঠি তাদের হাতে থাকবে কেন? আমি তো খারাপ কিছু বলিনি, শুধু বলেছি- ফুটপাত ছেড়ে দেন, নারীদের আসা-যাওয়ার পথ করে দেন।’
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ভোলার সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তবে বিষয়টি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ আখ্যা দিয়ে আয়োজক কমিটির পক্ষে ভোলা জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারাও মাইকে উপস্থিত মুসল্লীদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার কথা বারবার বলছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক ইউনুস শরীফ ভাইয়ের সঙ্গে একজন স্বেচ্ছাসেবকের কথা কাটাকাটি হয়েছে। মঞ্চ থেকে বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এরমধ্যেই সাংবাদিক ভাই টান দিয়ে একজন স্বেচ্ছাসেবকের মাথার পাগড়ি খুলে ফেললে অন্যরাও উত্তেজিত হয়ে যায়। তারপরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।’
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন তাবলীগ জামায়াতের ১৪ জন
তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং হামলায় জড়িতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিকের খোঁজখবর নিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২ সপ্তাহ আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চোখ হারানো সাইদুল পেল জীবিকার মাধ্যম
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে চোখের আলো হারিয়ে অন্ধকারে ডুবে যান পটুয়াখালীর যুবক সাইদুল। তবে, তার জীবনে নতুন করে আশার আলো জ্বালিয়েছে কিছু হৃদয়বান মানুষ। বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত। তুলে দিয়েছেন জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম একটি রিকশা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আখতার উদ্দিন মিলনায়তনে সাইদুলের হাতে রিকশাটি তুলে দেওয়া হয়।
উপহারটি সাইদুলের হাতে তুলে দেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দি ডেইলি স্টারের পটুয়াখালী প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনে একযোগে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সাইদুলের জীবন নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে হৃদয়বানদের নজরে পড়ে। তিনি ওই গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে সাইদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা উপহার দেন।
রিকশাটি পেয়ে সাইদুল বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ।’ আমার এই সময়ে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি শুভকামনা। এখন আমি রিকশাটির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারব। সমাজের হৃদয়বান এসব মানুষের জন্য আজও মানবতা টিকে আছে। এছাড়া আমার দুঃসময়ে স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে দেড় বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চলে গেছে।
তিনি আরও জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে শামিল হন তিনি। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ওই সময় আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও জনতা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকার সময় তার চোখ থেকে স্প্লিন্টার বের করা হয়। পরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আরও এক সপ্তাহ চিকিৎসা নেন তিনি। সেখানে তার চোখে অপারেশন করা হয়। স্প্লিন্টারের আঘাতে তার বাম চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করল জাবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা
৩ সপ্তাহ আগে
‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে বরিশালে নাগরিক কমিটির সমাবেশে হামলা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশালে জাতীয় নাগরিক কমিটির আলোচনা সভায় ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নগরীর বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
সভায় উপস্থিতরা জানান, নাগরিক কমিটির সদস্যদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে এই হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সভার চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। হামলায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় একজন যুগ্ম সদস্য সচিবসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মাহমুদা মিতু, হামজালাল, রুমানা বেগম, জি এম মেহেদী হাসান ও মো. আসিফ।
হামলায় বরিশালের যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক কমিটির নেতারা। এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’ স্লোগান দিতে দিতে একদল লোক মিছিল নিয়ে হেমায়েত উদ্দিন রোড দিয়ে বিবির পুকুর পাড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যায়। তখন কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয় নাগরিক কমিটির সভা শুরু হয়েছে মাত্র। মিছিলটি সেখানে গিয়েই সভার ব্যানার ছিড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় তারা অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করে কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বরিশাল মহানগরের সংগঠক সাজ্জাদুর রহমান শাকিল মৃধা বলেন, পুলিশের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা চলাকালে ‘আওয়ামী দোসর’ আখ্যা দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা বলেন, যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা এসে হামলা-ভাঙচুর করেন। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মিতু বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তবে উপস্থিত লোকজনের বাধার মুখে তখন তা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাঈদ তালুকদার বলেন, মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন ওই সভা থেকে ‘আওয়ামী লীগ সরকার, বারবার দরকার’ বলে স্লোগান দেয়া হচ্ছিল। এমন স্লোগানে আমাদের কর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যান। তখন সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা কর্মীদের শান্ত করি।
সেখানে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি সাঈদ তালুকদারের।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলা
৩ সপ্তাহ আগে
কীর্তনখোলায় স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তাদের লাশ উদ্ধার করেন নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
তিনজনের মধ্যে দুজন যাত্রী ও অন্যজন স্পিডবোটের চালক। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মোট চারজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
নিহতরা হলেন- স্পিডবোট চালক আল আমিন, যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ওরফে ইমন ও মো. রাসেল আমিন। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জালিস মাহমুদ নামে এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফোরম্যানের লাশ উদ্ধার
সজল দাস নামে আরও এক যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি বরিশালের বিমানবন্দর থানার রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা। ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে তিনি চাকরি করতেন।
নৌ পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট–সংলগ্ন নদীতে তিনটি লাশ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
বরিশালের মুলাদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার প্যাদারহাট সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ড. মো. ফরহাদ হোসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) উপসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম জানান, নিহত ফরহাদ হোসেন মুলাদী সদর ইউনিয়নের চর লক্ষীপুর এলাকায় মাওলানা আব্দুল কাদেরের ছেলে।
উপজেলার চরলক্ষীপুর নন্দীরবাজার মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন জানান, শুক্রবার নন্দীর বাজারে একটি মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন উপসচিব ড. ফরহাদ। মাহফিলে অংশ নিতে তিনি ঢাকা থেকে বরিশালে যান। বিকালে মীরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে একটি থ্রি-হুইলারের (আলফা-মাহিন্দ্রা) যাত্রী হয়ে মুলাদী সদরে চরলক্ষীপুরে যাচ্ছিলেন ফরহাদ হোসেন। পথে থ্রি-হুইলারটি প্যাদারহাট পার হয়ে হাওলাদার ব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ করে একটি কুকুর সামনে এসে পড়ে। তখন চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
ওসি বলেন, ‘চালকের যে পাশে ফরহাদ হোসেন বসা ছিলেন মাহিন্দ্রাটি সেই পাশেই উল্টে যায়। এতে ফরহাদ হোসেন মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তবে দুর্ঘটনায় থ্রি-হুইলার চালক ও অন্য যাত্রীরা তেমন আহত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ড. ফরহাদ হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
১ মাস আগে