বৈদেশিক-সম্পর্ক
ভারত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বেড়া দেওয়ার সব প্রোটোকল-চুক্তি মেনে চলছে: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বেড়া নির্মাণসহ সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে দুই সরকার এবং সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সমস্ত ‘প্রোটোকল এবং চুক্তি’ অনুসরণ করেছে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে ভারত।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে সাউথ ব্লকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বার্তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে গভীর উদ্বেগের কথা জানানোর পরদিনই এই বার্তা দিল ভারত।
আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ, চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল এবং পাচারের ঝুঁকিগুলোর কার্যকরভাবে মোকাবিলা করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করার বিষয়ে ভারত তার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে বাতি ও প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপন এবং গবাদি পশু পাচার রোধে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ভারত প্রত্যাশা জানিয়েছে, বাংলাদেশ আগের সমস্ত বোঝাপড়া বাস্তবায়ন করবে এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
রবিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন ‘অভিন্ন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড' থেকে বিরত থাকতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সমঝোতা হয়েছে।
আধা ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের দুটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ ও বিজিবি এ বিষয়ে যোগাযোগ করছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিতে মালয়েশিয়াকে ড. ইউনূসের আহ্বান
সীমান্তে অপরাধ দমনে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী যে সমঝোতা গড়ে তুলেছে তা সমবায় পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা।
হাইকমিশনার বলেন, অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে এবং চোরাচালান ও পাচারের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলায় ভারতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপের কারণে সীমান্তে উত্তেজনা ও অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, যথাযথ অনুমোদন ছাড়া কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতার চেতনা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষুণ্ন করবে।
পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর মধ্যে একটি। সীমান্ত সুরক্ষা সমস্যা থেকে শুরু করে মানুষের চলাচলের মতো ঘটনাগুলো প্রায়শই বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব
৩২ মিনিট আগে
বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিতে মালয়েশিয়াকে ড. ইউনূসের আহ্বান
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের প্রয়োজনে দেশে ফেরত আসার সহজ সুযোগ দিতে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ইস্যু করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা গত বছরের মে মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে কাজে যোগদানের সময়সীমার মধ্যে প্রবেশ করতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর ব্যবস্থা করতে হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন।
হাইকমিশনার বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার একই ধরনের বৈঠক হবে।
গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে, মালয়েশিয়া এই প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করবে যাতে পরবর্তী ব্যাচটি কাজের জন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানান এবং আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে এবং পূর্ণ সদস্য হতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
তিনি হাইকমিশনারকে জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশন ৭৯/১৮২ অনুযায়ী ২০২৫ সালে জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ আসিয়ানের সমর্থন চায়।
প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ পাওয়া মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে আরও মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং মালয়েশিয়ার কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তরে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন: প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র সচিব
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমি আশা করি আপনার বাংলাদেশে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে নতুন ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কুয়ালালামপুরে চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ব্যবস্থায় (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের 'পঞ্চম যৌথ কমিশন' বৈঠক আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্তে উত্তেজনা: নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব
সীমান্ত ইস্যুতে নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছে ভারত।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন অভিন্ন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন 'যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড' থেকে বিরত থাকতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সমঝোতা হয়েছে।
আধা ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের দুটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ ও বিজিবি এ বিষয়ে যোগাযোগ করছে।’
সীমান্তে অপরাধ দমনে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী যে সমঝোতা গড়ে তুলেছে তা সমবায় পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করা হবে: উপদেষ্টা
হাইকমিশনার বলেন, অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে এবং চোরাচালান ও পাচারের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলায় ভারতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপের কারণে সীমান্তে উত্তেজনা ও অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, যথাযথ অনুমোদন ছাড়া কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতার চেতনা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষুণ্ন করবে।
পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর মধ্যে একটি। সীমান্ত সুরক্ষা সমস্যা থেকে শুরু করে মানুষের চলাচলের মতো ঘটনাগুলো প্রায়শই বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন: প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র সচিব
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন: প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র সচিব
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাম্প্রতিক তৎপরতা ও কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার কাছে এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ চেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনুমোদনহীন কার্যক্রমে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে ও সমস্যা তৈরি হচ্ছে জানিয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, ‘এতে প্রতিবেশী দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতার চেতনা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।’
আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি সুনামগঞ্জে এক বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সেই উদহারণ তুলে ধরে সীমান্ত হত্যার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন জসীম উদ্দিন। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ এবং তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সীমান্তে অ-প্রাণঘাতী কৌশল ও হত্যাকাণ্ড বন্ধে বারবার অঙ্গীকার করেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র সচিব। সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ে এমন উসকানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করা হবে: উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভিসা সহজীকরণ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।বশিরউদ্দীন বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুদেদেশের জনসংখ্যার ভলিউম বিবেচনায় বাণিজ্যের পরিমাণ খুব কম। উভয় দেশেরই সুযোগ রয়েছে বাণিজ্যকে বাড়িয়ে নেওয়ার।’বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সাথে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের আরও বেশি ডায়ালগ হওয়া দরকার। নিজেদের মধ্য সম্ভাব্য সহযোগিতা উন্মোচন দুদেশকেই লাভবান হতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।এফপিসিসিআইর সভাপতি বলেন, ‘পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে চায়। ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছেন না।’এসময় তিনি এক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান।বাংলাদেশে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন, শিক্ষা, পর্যটন ও সিরামিক খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিনিধিদল। তারা বলেন, পাকিস্তান সরকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন স্কিম চালু করেছে। এ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে।এসময় তারা বাংলাদেশে ট্রেড এক্সপো আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে এসেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।
১ দিন আগে
পণ্য বিপণনে বাংলাদেশকে হাব হিসেবে গড়ে তুলুন: নরওয়েকে প্রধান উপদেষ্টা
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নরওয়ে থেকে লোক আনতে হবে না। বাংলাদেশের তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখানে আপনারা এশিয়ায় নরওয়েজীয় পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশকে হাব হিসেবে ব্যবহার করুন।’
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ আনতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
রবিবার (১২ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে নরওয়ের টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের প্রথম বিদেশি উদ্যোগ গ্রামীণফোনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে গ্রামীণফোন টেলিনর পরিবারের সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
এ সময় রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্তোরের একটি চিঠি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগে
সীমান্ত অপরাধ দমনে যৌথ চেষ্টার আহ্বান প্রণয় ভার্মার
সীমান্তে অপরাধ দমনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে সমঝোতা রয়েছে, সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবদিকদের এমন কথা বলেন তিনি।
এ সময়ে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে ভারতের অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘এতে দুই দেশের সীমান্তে থাকা প্রতিকূলতাগুলো কার্যকরভাবেই সমাধান হবে।’
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে একটি সমঝোতার কথা উল্লেখ করে এই কূটনীতিক বলেন, ‘দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’
এছাড়া সীমান্তে চোরাচালানের সংকট নিরসনের প্রতিকূলতাগুলোও নিয়েও কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে সীমান্তে যে উত্তেজনা চলছে, তা নিরসনে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বিকাল ৩টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে তাকে।
এরআগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।’
তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্কাবস্থায় আছে। বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
‘উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে বিজিবির যোগাযোগ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা কূটনৈতিকভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সীমান্তে বেড়া দেয়া নিয়ে যে সব অসম সমঝোতা চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিলের বিষয়ে পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী মাসে (ফেব্রুয়ারিতে) বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হবে বলেও উপদেষ্টা জানান।
১ দিন আগে
সীমান্তে উত্তেজনা: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে সীমান্তে কোনো বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে ব্রিফ করতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে তাকে।এরআগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।’তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্কাবস্থায় আছে। বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।‘উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে বিজিবির যোগাযোগ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা কূটনৈতিকভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সীমান্তে বেড়া দেয়া নিয়ে যে সব অসম সমঝোতা চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিলের বিষয়ে পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী মাসে (ফেব্রুয়ারিতে) বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হবে বলেও উপদেষ্টা জানান।
১ দিন আগে
সীমান্তে আমাদের জায়গা কাউকে দেব না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্তে আমাদের জায়গা কাউকে আমরা দেব না বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সীমান্তে আমাদের ব্যাপক শক্তি আছে। আর জনগণই হচ্ছে আমাদের বড় শক্তি। কাজেই সীমান্তে নীতিবহির্ভূত যে উন্নয়ন কাজ তারা করছে, সেটা আমরা করতে দেব না।রবিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা বলেন।উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এসবের মধ্যে একটি ছিল ১৯৭৫ সালের নীতিমালা অনুসারে সীমান্ত লাইন নির্ধারিত হওয়ার পর ১৫০ গজের মধ্যে কেউ কোনো প্রতিরক্ষা কাঠামো আছে, এমন জিনিস কেউ রাখতে পারবে না। এছাড়া শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে একে অপরের থেকে সম্মতি নিতে হবে। কোনো সম্মতি ছাড়া তারা এ কাজটি করতে পারবেন না।’‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটারে এরইমধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বাকি আছে ৮৮৫ কিলোমিটার। বিগত সরকারের আমলের ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কতগুলো অসম কাজ—যেগুলো ভারতের করা ঠিক হয়নি—কিন্তু সেগুলো করতে তখনকার বাংলাদেশ সরকার তাদের সুযোগ দিয়েছিল।’জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এসব সুযোগের মধ্যে ১৬০টি স্থানে তারা একই গিয়ারওয়ালা কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে, তারপরে ৭৮টি স্থানে আরও ঝামেলা রয়েছে। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে একটা, আরেকটা তিনবিঘা করিডরের ওখানে, আরেকটা নওগাঁর পত্নিতলার ওখানে, আরেকটা লালমনিরহাট সীমান্ত। সম্প্রতি এসব স্থানে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’‘এরইমধ্যে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিজিবি শক্ত অবস্থান নেওয়ায় তারা এই জায়গাগুলোতে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে—কিছু কিছু জায়গায় আগের সরকার লিখিত দিয়ে গেছে যে এটা তারা (ভারত) করতে পারবেন—যেগুলো তাদের দেওয়া উচিত হয়নি। এরমধ্যে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, তিনবিঘা করিডরের ওখানে।’উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে যে বেরুবাড়ী চুক্তি হয়েছিল, তখন ওটা দিয়ে দিয়েছি, আমাদের পার্লামেন্টেও সেটা প্রস্তুত ছিল। আর ভারত আমাদের এই প্যাসেজটা (সরু পথ) দেওয়ার কথা ছিল, ওখানে যাওয়ার করিডরটা। ওটা সারাজীবনের জন্য আমাদেরই থাকবে। আমরা দিয়ে দিলেও তারা জায়গাটা আমাদের দেয়নি। আগে তারা এক ঘণ্টা খুলতো, একটা ঘণ্টা বন্ধ করতো, তারপরে ছয়ঘণ্টা খুলতো, ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকতো, রাতে পুরোটাই বন্ধ থাকত।’‘২০১০ সালের চুক্তি করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল, এটা পুরোটা সমসময় খোলা থাকবে, আমরা ব্যবহার করতে পারবো। কিন্তু এটির বদলে একটি বিরাট ঝামেলা করা হয়েছে। সেটা হচ্ছে, দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা শূন্যরেখা থেকে যে ১৫০ গজ দূরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কথা, সেটা তারা করতে পারবে। এজন্য এখানে বড় ধরনের একটা সমস্যা হয়েছে,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।‘আর বিজিবির সাথে আমাদের জনগণ শক্ত অবস্থান নেওয়ায় অন্যান্য জায়গা থেকে তারা কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এ জন্য আমি বিজিবি ও বাংলাদেশের জনগণকে অনেকানেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানাই, তারা কাজটি ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।’বর্তমানে সীমান্তে ভারতীয়দের কাজ বন্ধ রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘তিন বিঘা করিডর, নওগাঁর পত্নিতলা, লালমনিরহাট সীমান্ত—যে কয়েকটি জায়গায় তারা কাজ শুরু করেছিল, সবগুলোই বন্ধ রয়েছে।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গেল পাঁচই আগস্টের পর তারা ওখানে কিছু করেনি, যে কারণে আমরা ভেবেছিলাম তারা আর কিছু করবে না। ভেবেছি, তারা এতদিন যে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে, সেটা আর নেবে না।’‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের একটা বৈঠক আছে, সেখানে আলোচনা হবে, ফেব্রুয়ারিতে যাতে এটা বন্ধ করা যায়।’তাদের এই কাজগুলো করতে দেবেন কিনা; জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের এই কাজগুলো আমরা করতে দেব না। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তিনবিঘা করিডরের ভেতরে যে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা, তা ওদের পুরো পেটের মধ্যে। চারদিকে ওরা, মাঝখানে আমরা। কেবল আমাদের সরু একটা পথ আছে। কৌশলে এ বিষয়গুলো দেখতে হবে।’অসম চুক্তিগুলে বাদ দেওয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ জন্যই ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা হবে। আর আমরা একটি চিঠি দেব, যাতে অসম চুক্তিগুলো বাদ দেওয়া যায়।’এতে সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যা একটি শব্দ, সমাধানও একটি শব্দ।’সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা গ্রামে মাঝে সোনাই নদীতে ভারতীয়রা নাইটভিশন ক্যামেরা বসিয়েছে। সুরক্ষা বেড়া দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের জানানো হয়েছে কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরার ক্ষেত্রে নদীর মাঝপথে সীমান্ত, ওদের পাড়ে একটা ঝামেলা করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক দূরে কাঁটাতারের স্থাপনের সুযোগ থাকলেও তারা করেনি। আবার কোথাও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নাইটভিশন ক্যামেরা বসিয়েছে। যদিও তাদের এলাকায় বসিয়েছে, কিন্তু সেটা উচিত হয়নি। কিন্তু এখন তো বলা যায় না, সব দেশেরই কিছু কিছু জায়গায় তারা নজরদারি করে, আমরাও করি।’সীমান্তে আমাদের ব্যাপক শক্তি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ হচ্ছে আমাদের বড় শক্তি।’বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে কঠোর হবে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের জায়গা আমরা দেব না। আমাদের জায়গা দেব না, এখানে কঠোর থাকবো না মানে কী? তারা বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আমরা ছলেবলে কৌশলে সেই সমস্যার সমাধান করবো।’
১ দিন আগে
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যোগ দিলেন ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত’ ট্রেসি অ্যান
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় এসেছেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টেরিম হিসেবে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যোগ দিয়েছেন তিনি।
মূলত, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থীকে সিনেটের শুনানিতে অংশ নিতে হয়। সেই শুনানি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ডেভিড মিলের ঢাকায় আসা হচ্ছে না। সে কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে ঢাকায় এসেছেন ট্রেসি অ্যান।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ট্রেসি অ্যানকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশে আমাদের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। কূটনীতিতে ব্যাপক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কসোভোতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে ঢাকা মিশনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন।’
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, ট্রেসি অ্যান সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে নিকটপ্রাচ্য বিষয়ক ব্যুরোতে ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তার আগে তিনি ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টেরিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লাটভিয়ার রিগায় যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডরও ছিলেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল অব প্রফেশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের ডিন এবং ন্যাশনাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স ট্রেনিং সেন্টারের উপ-পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রেসি অ্যান।
২ দিন আগে