রংপুর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শহিদুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি গোপনে রংপুরে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
আহত শহিদুল ইসলাম (৪০) ওই উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কাশিরডাঙ্গা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর উপপিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের চার থেকে পাঁচজনের একটি দল ভারতের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ময়নাতলী গ্রামে গরু আনতে যায়।
এ সময় ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় শহিদুল গরু নিয়ে ফেরার পথে ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে তার পায়ে গুলি লাগে। পরে সঙ্গীরা তাকে রাতেই রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে গোপনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আহত গরু ব্যবসায়ী (ডাঙ্গোয়াল) ছিলেন। এ ঘটনায় রবিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে মীররাপা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
৯ ঘণ্টা আগে
মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা রেকর্ড ৭.৩
পঞ্চগড়ে এক অংকে নেমেছে তাপমাত্রা। ঘনকুয়াশার পাশপপাশি বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। একারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ে দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
হিমালয়ের হিমেল বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। বর্তমানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে র্সূয উঠলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় ঠান্ডা বেড়েছে।
শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এখানে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে।
শীতের কারণে অসহায় ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাজকর্ম কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। অসচ্ছল দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, চাশ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ জেলার লাখ লাখ শ্রমিক ওতাদের পরিবারের লোকজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাজকর্ম করতে না পেরে এবং গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শহরের অটোচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে গাড়ি চালানো যায় না। রাস্তাঘাটে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় রোজগার কমেছে। শীত আসলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দিনমজুর লুৎফর মিয়া বলেন, শীতের সময় কাজ পাই না। কাজ না পেলে সংসার চালানো কষ্ট হয়। আয় না হলে তো খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।
চা শ্রমিক আলেয়া খাতুন জানান, সকাল বেল ঘনকুয়াশায় চা গাছ ভিজে যায়। সকাল সকাল পাতা তুলতে খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা লাগে। হাত পা অবশ হয়ে যায়।
পঞ্চগড় এলাকার জিপু ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই তাপমাত্রা নিচে নেমে এসেছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার পাশাপাশি বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
৩ দিন আগে
বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় স্ত্রীকে ‘বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা’
নীলফামারীতে বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে শহরের কাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ (রবিবার) সকালে নিহতের স্বামী রানাকে আটক করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মুক্তা কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ১৬ দিন আগে রানার সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। রানা প্রায়ই তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতেন। শনিবার রাতে ঘুমাতে গেলে রানা বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুক্তাকে হত্যা করেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বোন লাভলীকে রানা বলেন— তোর ভাবি মুক্তাকে মেরে ফেলেছি। মুক্তার বাপের বাড়িতে খবর দে লাশ নিয়ে যাক। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই লাভলী পুলিশকে খবর দিয়ে রানাকে তাদের হাতে তুলে দেন।
মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ‘১৬ দিন আগে রানার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতন শুরু করে। শনিবার রাতেও মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘রানার আগেও বিয়ে ছিল। মুক্তাকে বিয়ের সময় সে আগের বিয়ের কথা গোপন করে।’
আরও পড়ুন: শশুরবাড়ি যাওয়ার পথে যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
‘আগের সংসারে রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তাই তারা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে রানা নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। নিহতের পরিবার মামলা করলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
১ সপ্তাহ আগে
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দিনে ও রাতের তাপমাত্রা কমলেও শুক্রবার সকাল থেকে রোদ উঠলেও বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে দুস্থ অসহায় দরিদ্র দিনমজুর পরিবারগুলো দুর্ভোগে পড়েছে বেশি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে পঞ্চগড়ের জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। গরম কাপরের অভাব ও আয় কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকাল ৬ টায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া সকাল ৯ টায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এসময় বাতাসের আদ্রতা ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২-১৩ কিলোমিটার ছিল।
১ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে মেঘলা আকাশে হারিয়েছে সূর্য, কুয়াশার রাজত্ব!
শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের তীব্রতা একটুও কমেনি। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে শীতকষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত দু'দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এর আগে বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, কারণ দিনের বেলা সূর্যের কোনো উত্তাপ নেই এবং হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা আরও তীব্র অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
এদিকে শীত নিবারনে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তা বিতরণ চলমান।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। এই মাসের মধ্যে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: হিমেল বাতাসের দাপটে নওগাঁয় থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন
১ সপ্তাহ আগে
সেনাবাহিনীর গাড়িবহরের কামানের ধাক্কায় প্রাণ গেল পথচারীর
দিনাজপুরের খানসামায় সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে সংযুক্ত কামানের ধাক্কায় ইমান আলী নামে এর বৃদ্ধ পথচারী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে খানসামা পৌর শহরের থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমান আলী খানসামার পূর্ব বাশুলী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, শীতকালীন মহড়ায় অংশ নিতে দিনাজপুরের পাবর্তীপুর খোলাহাটি ক্যান্টমেন্ট থেকে গাড়িবহর নিয়ে পঞ্চগড়ে যাচ্ছিল সেনাবাহিনীর একটি দল। পথিমধ্যে টাওয়ার গানের (কামান টেনে নেওয়ার বিশেষ ট্রাক) পেছনে থাকা কামানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন ইমান আলী। এ সময় টাওয়ার গানে সংযুক্ত কামানের চাকায় পৃষ্ট হয়ে নিহত হন তিনি।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদের হক বলেন, ‘ওই বৃদ্ধ অসুস্থ ছিলেন। ওষুধ কিনতে এসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।’
পরে সেনা কর্মকর্তারা নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জ্ঞাপনসহ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১ সপ্তাহ আগে
লালমনিরহাটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি
ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। গত দুই দিন জুড়ে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট কালীগঞ্জে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে রংপুর আবহাওয়া অফিস।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র শীতের কারণে মানুষ অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। অপরিদকে তীব্র শীতের কারণে জেলা উপজেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েকদিন থেকে দুপুরের পরে আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই কোনো উত্তাপ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
কালীগঞ্জে কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীত একটু বেশি অনুভব হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা ভেদ করে মাঝে মধ্যে দেখা মিলছে সূর্যের।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুপফা বলেন, ‘জেলার হতদরিদ্র মানুষের জন্য বর্তমান সর্বমোট ৩ হাজার ৯০০ কম্বল বরাদ্দ রয়েছে, আটটি ইউনিয়নের জন্য ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ কার্যক্রম চলমান।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীত, বিপাকে হতদরিদ্ররা
১ সপ্তাহ আগে
তীব্র শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে শীতে কষ্টে পড়েছে মানুষসহ পশুপাখিরাও। কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন পার করছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে যাতায়াত করছে। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুনের কুণ্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না।
দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে তাপমাত্রার পারদ কমতে থাকে। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। ইতোমধ্যে শীত নিবারণে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন, যা বিতরণ চলছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের খলিলগঞ্জ এলাকার নুরবানু বেগম বলেন, ‘খুব ঠান্ডা, বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। তার পরেও আমরা কাজের সন্ধানে বাইরে যাচ্ছি। কি আর বলি, পেট তো আর ঠান্ডা বোঝে না।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ১ মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে। আগামীতে আরও তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
১ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে নারীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে সাহেরা বেওয়া নামে এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চাদনী মধ্য বজরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহেরা বেওয়া ওই এলাকার মৃত কায়ছার আলীর স্ত্রী। তিনি প্যারালাইসিসের রোগী ছিলেন, স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারেতেন না।
প্রতিবেশিরা জানান, সাহেরা বড় ছেলে ভ্যানচালক মোখলেছার রহমানের বাড়িতে থাকতেন। শনিবার রাতে তাকে ঘরে একলা রেখে বাড়ির সবাই ওয়াজ মাহফিলে যান। এ সময় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে সাহেরা ঘরে আটকা পড়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান। গ্রামে লোকজন কম থাকায় ও ওয়াজ মাহফিলের শব্দের কারণে কেউ কিছু বুঝতে পারেনি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্বাস আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ততক্ষণে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের লাশ উদ্ধার
প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণার কথাও জানান ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
২ সপ্তাহ আগে
লালমনিরহাটে গোডাউনের দেয়াল ধসে শ্রমিকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে গোডাউনে দেয়াল ভেঙে মাথায় পড়ে লোড ও আনলোড শ্রমিক আব্দুল হামিদের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে পাটগ্রাম উপজেলায় জগতবের ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত আব্দুল হামিদ পাটগ্রাম পৌর শহরের কালিরথান চাত্রারপাড় এলাকার মৃত এন্তাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার রাতে কিছু শ্রমিক গোডাউনের ভেতরে ভুট্টার বস্তা লোড ও আনলোড করার সময় হঠাৎ গোডাউনের একটি দেয়াল বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে। পাশেই থাকা কয়েকজন শ্রমিক দৌড়ে প্রাণ বাঁচালেও, আব্দুল হামিদ দেয়ালের কাছাকাছি থাকায় তার কিছু করার সুযোগ ছিল না। শেষ পর্যন্ত দেয়ালটি তার ওপরে পড়ে ও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা নির্মানাধীন দোকানের দেয়াল ধসে ২ শ্রমিক নিহত
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২ সপ্তাহ আগে