বিএনপি
চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা ফখরুলের
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি নেতা জানান, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চীনা রাষ্ট্রদূতের বারিধারার বাসায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউকে খসরু
এতে আরও বলা হয়, উভয় পক্ষ পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২১ আগস্ট গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অতীতের মতো এবারও বাংলাদেশ ও জনগণের প্রতি চীনের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি আশ্বাস দেন যে, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবে চীন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বন্ধ করায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রশংসা করল বিএনপি
৭ মিনিট আগে
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বন্ধ করায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রশংসা করল বিএনপি
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কয়েকটি শূন্যরেখায় ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রশংসা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এই প্রশংসা করেন।
রিজভী বলেন, পলাতক ও পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে ভারতের কাছে 'বিক্রি করে দিয়েছেন।' তিনি প্রতিবেশী দেশের কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন।
লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে জাতীয়তাবাদী রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই। ভারত কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই সীমান্তে জোরপূর্বক কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে, বিজিবি ও জনগণ প্রথমবারের মতো তা প্রতিহত করেছে।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার প্রভুরা বিশ্বাস করতেন তারা সহজেই বাংলাদেশের জনগণকে বশীভূত করতে পারবেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দিল্লির সাউথ ব্লক কখনোই বাংলাদেশের মানুষের দেশপ্রেমের গভীরতা ও তীব্রতা বিবেচনা করেনি।
তিনি বলেন, ‘তারা ভেবেছিল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হবে। কিন্তু ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা বুঝতে পারেনি যে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও গাবতলী থেকে লাখ লাখ মানুষ জেগে উঠে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারে।’
রিজভী বলেন, ভারত ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই স্বাধীন দেশের সীমান্তের প্রায় ১৬০টি স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে, কারণ শেখ হাসিনা তাদের সেই সুযোগ দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত ইতোমধ্যে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি বেড়া দিয়েছে, মাত্র ৮৮৫ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া বাদ রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন, চুক্তি ও আলোচনা অনুযায়ী সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, কিন্তু তারা (ভারত) এসব চুক্তি ও বিধিবিধানের কোনোটিরই তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাট সীমান্তসহ বিভিন্ন স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চলছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
রিজভী বলেন, ভারতের এমন অন্যায় পদক্ষেপকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণও এবার বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার শাসনামলে এ ধরনের দৃষ্টান্ত হতে দেননি। ‘ফ্যাসিবাদ, নির্মমতা, নৃশংসতার মাধ্যমে তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতের সেবক হিসেবে দেশের স্বার্থ চরিতার্থে কাজ করেছেন।’
তিনি স্মরণ করেন, শেখ হাসিনা প্রায়শই বলতেন তার দলের অনেক সদস্যকে কেনা যায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না। তিনি বলেন, 'আপনাকে (হাসিনা) আগে কেনা যাবে। ভারত আপনাকে প্রথম কিনেছে... এজন্য আপনারা ভারতকে নিজের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গৌরবকে পদদলিত করে অসম কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেশ কয়েকটি শূন্যরেখা এলাকায় ভারতের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
সীমান্ত সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ ধরনের নির্মাণ রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে লালমনিরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁও ও দহগ্রামসহ পাঁচটি স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউকে খসরু
৪ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চলছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন দ্য ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এমন তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে ‘
‘হাসপাতালে ভর্তির পরেই খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি করানো হয়েছে। এতে তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে,’ বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
আরও পড়ুন: লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তার চিকিৎসা চলছে।
লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
৬ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউকে খসরু
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারকে বিএনপি বলেছে, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ইইউ দূতের বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে যে আলোচনাগুলো হওয়া দরকার, সেগুলোই হয়েছে। কবে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ভাবনা কী, অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে ভাবনাগুলো কী কী— সেগুলো বৈঠকে আলোচনায় এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি রোডম্যাপ সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, এ বছরের ভেতরেই নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
‘অন্য কোনো ভাবনার দিকে না গিয়ে সরাসরি জাতীয় নির্বাচনের দিকে গিয়ে, দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখতে হবে। অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দেশ বেশি দিন চলতে পারে না।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক সরকারের রাজনৈতিক ওয়েট থাকে না। তাদের মবিলাইজেশন প্রসেস থাকে না, জনগণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকে না। জনগণের কাছ থেকে কোনো ফিডব্যাকও তারা পায় না। এ কারণেই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যত তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব, সেদিকে আমরা জোর দিয়েছি।’
সংস্কারের বিষয়ে খসরু বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে যেটি আলোচনা হয়েছে, সেটি হলো— যেসব বিষয়ে আমরা ঐক্যমতে যেতে পারব, সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সেগুলোর ব্যাপারে সময় নেওয়ার কোনো কারণ নেই। আর যেগুলোর বিষয়ে ঐক্যমত হবে না, সেগুলো আগামী নির্বাচনে প্রতিটি দল জনগণের কাছে নিয়ে যাবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে সংসদে এসব বিষয় তোলা হবে, তর্ক-বিতর্ক হবে এবং সেগুলো অনুমোদন করা হবে।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান আছে তা অব্যাহত থাকবে কিনা?— উত্তরে বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বিএনপির অর্থনৈতিক সফলতা নিয়ে লক্ষ্যের কথা আমরা বলেছি। আগামী দিনে দেশের অর্থনীতিকে এই খাদ থেকে তু্লে আনার জন্য বিএনপি ইতোমধ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া এই সরকারের সময় যদি এমন কোনো কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয় যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক, সেটি অবশ্যই আমরা সমর্থন করব।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়ি প্রবেশ করে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাদের সাক্ষাৎ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশের নির্বাচনি রোডম্যাপ, প্রয়োজনীয় সংস্কার, অর্থনীতি ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
১ দিন আগে
বিএনপির সঙ্গে দুরুত্ব নয়, সুসম্পর্ক রয়েছে জামায়াতের: ডা. তাহের
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো ধরনের দুরুত্ব নেই, বরং সুসম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের রাজনীতি হবে ইতিবাচক এবং সব দলই ইতিবাচক হবেন— এটা আমরা আশা করি। সুতরাং বিএনপি যে ঐক্যের কথা বলেছে, তাতে জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। আমি মনে করি, উনারা সঠিক কথা বলেছেন।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘এখন যারা রাজনীতি করছে, অর্থাৎ ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছি, যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বৈষম্য দূর করতে পারবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি আমরা এখন যে পদ্ধতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি, তার চাইতে তুলনামূলক ভালো বলে মনে করি। বিশ্বের প্রায় ৬২-র অধিক দেশে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে এবং এই পদ্ধতিকে আমরা সফল হিসেবে দেখছি। এই পদ্ধতির নির্বাচনের বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের মতকে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।’
‘আমরা দেখেছি ৫০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত ব্যাক্তির কাছে ৪৯ হাজার ভোটার পাওয়া ব্যক্তির মূল্য থাকে না। কারণ ওই ফলাফল তখন শূন্য হয়ে যায়। পিআর পদ্ধতিতে সারা দেশে যে ভোট পায় সেই ভোটের হার নির্ধারণ করে প্রতিনিধিত্ব আসে।’
এই রাজনীতিক বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে যে দলের ভোটের হার বেশি থাকবে, তাদের প্রতিনিধিত্ব বেশি আসবে। একইসঙ্গে আরেকটি প্রশ্ন আসছে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ নিয়ে। সেটাও সকলে একমত হলে বিবেচনায় আনা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
বাংলাদেশের তিন দিকে প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে ভারত। জামায়াতে ইসলামী যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহেল পররাষ্ট্রনীতি কী ধরনের হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি এবং সেটি খুবই পরিস্কার। সমতা, অধিকার ও আমাদের নিজস্বতার স্বীকৃতির ভিত্তিতে আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। আমরা মনে করি প্রত্যেক দেশ তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমে পরিচালিত হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও আমাদের নীতি একই রকম।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘মানুষ যেন দেখে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগের প্রথা আর নেই; মিথ্যাচার, লুটপাট, অত্যাচার ও দখলের রাজনীতি নেই। আমরা জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখাব। এক মহান বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা ঘরে ঘরে একটি ইতিবাচক সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে চাই।’
জামায়াত কারও ওপর কোনো মত চাপিয়ে দেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদেশে নারীদের সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হবে। অমুসলিমরা নিরাপদে তাদের সম্পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।’
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে ডা. তাহের বলেন, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে, ইতিহাস কোনো জালেমকে ক্ষমা করে না, ফ্যাসিবাদ ফিরে আসে না। আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছি আর আল্লাহ তাকে দেশত্যাগ করিয়েছেন।
কর্মী সম্মলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, চাঁদপুর জেলা আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সাবেক আমির মাওলানা আব্দুর রহিম পাটোয়ারী, নায়েবে আমির অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাও. আবুল হোসাইন।
সভাপতিত্ব করেন শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম।
২ দিন আগে
কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সশস্ত্র ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের ছেলেরা উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সাফল্য এনে দিয়েছে। এখানে আমাদের কোনো বিভেদ নেই। দুর্ভাগ্যক্রমে দেশের কিছু মানুষ আজকে বিভিন্নভাবে এই ঐক্যে কিছু ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি সে চেষ্টা সফল হবে না। আমরা অবশ্যই সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে নতুন করে নির্মাণ করার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। হঠকারিতা করে, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে, ভুল পদক্ষেপ নিয়ে সেই সম্ভাবনাকে বিনষ্ট না করি— সেটা আমাদের সবসময় লক্ষ রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। আমরা সেটাকে একসঙ্গে লড়তে (মোকাবিলা করতে) চাই। সবাই মিলে এই সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই। সবাই এক সাথে হয়ে যদি দানবকে, ফ্যাসিস্টকে সরাতে পারি, তাহলে আমরা কেন পারব না একটা নতুন সম্ভাবনার রাষ্ট্র নির্মাণ করতে?’
আরও পড়ুন: জামায়াতের কিছু বক্তব্যে কষ্ট লাগে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি সবসময় রাষ্ট্রীয় সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ আছে তারা একটু বোঝানোর চেষ্টা করেন আমরা সংস্কারের আগেই নির্বাচন চাই বা নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছি। বিষয়টা তেমন না। আমরা যেটা বলছি, নির্বাচন কেন দ্রুত চাই? এই কারণে দ্রুত চাই যে, নির্বাচনটা হলে আমাদের শক্তি আরও বাড়বে। সরকার থাকবে, সংসদ থাকবে। যে সংকটগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঁচ মাস পরে এসে অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন আমাদের অর্জন কী? অর্জন হচ্ছে আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে নিঃসংকোচে, নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদে বড় বিজয়।’
গণআন্দোলন সফল করতে এবি পার্টিও বড় ভূমিকা রেখেছে বলে স্বীকার করেন তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম খুব কমই সফল হয়। সশস্ত্র ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের ছেলেরা উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সেই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমরা একটা ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আজকে একটা পরিবেশ এসেছে। যে পরিবেশে আমরা আবার বাংলাদেশকে নতুন করে নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি, কথা বলছি। আমরা যেন এই পরিবেশটা, এই স্বপ্নটাকে নষ্ট করে না দেই।’
‘আমাদের এখন যেটা প্রয়োজন, সমস্ত প্রভোকেশনের (উসকানির) পরও আমরা যেন আমাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে তরুণদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। এখানে আমাদের কোনো বিভেদ নেই।’
২ দিন আগে
ক্রীড়াঙ্গনে ‘অরাজনৈতিক ঐক্য’ দরকার: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ ক্রীড়াঙ্গনকেও দলীয়করণ করেছিল বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের নতুন যে যাত্রা শুরু হয়েছে, সেখানে ক্রীড়াঙ্গনে যেটা দরকার সেটা হচ্ছে একটা অরাজনৈতিক ঐক্য এবং মেধার চর্চা। সেই সুযোগে সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড় বেরিয়ে আসে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে মিরপুর পল্লবীর সিটি ক্লাব ফুটবল মাঠে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এ উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট কায়দায় বাংলাদেশ শাসন করে সব প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিয়েছে, ক্রীড়াঙ্গন তার একটা বড় উদাহরণ। এই ক্রীড়াঙ্গনকে কোনো দিন এর আগে কখনোই দলীয়করণ করা হয়নি। তারা এটাকেও দলীয়করণ করেছিল। যার ফলে আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, যেসব ভালো ও ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়রা ছিল তারা বাংলাদেশে সুযোগ পায়নি।’
খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মন হয় উদার, মাদক নির্মূলসহ সামাজিক কাজে তাদের ভূমিকা অনেক বড়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যও এটি— মাদকপথ পরিহার করে যুব ও তরুণ সমাজ খেলাধুলায় মনোযোগী হবে।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের কিছু বক্তব্যে কষ্ট লাগে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি যেটুকু বুঝতে পারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুণ, যুবকদেরকে রাজনীতির সাথে ক্রীড়াঙ্গনে, খেলাধুলায় পরিচালনা করা। তিনি যে বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন সেখানে ‘সত্যিকার অর্থেই একটা অগ্রসর, সমৃদ্ধ একটা বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চান। সেখানে তরুণদের ভূমিকাকেই সবচেয়ে বড় মনে করেন।’
ক্রীড়াঙ্গনে জিয়া পরিবারের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে আরাফাত রহমান কোকোর বড় ভূমিকা ছিল। দেশের ক্রিকেটে যে উৎকর্ষতা সাধিত হয়েছে তার ভিত্তি কোকোর হাত ধরেই হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও টুর্নামেন্ট প্রধান আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
২ দিন আগে
জামায়াতের কিছু বক্তব্যে কষ্ট লাগে: নজরুল ইসলাম খান
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির তেমন কোনো দূরত্ব নেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তবে জামায়াতের কর্মকাণ্ড ও কিছু বক্তব্যে বিএনপি মর্মাহত বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্বের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এমন কোনো দূরত্বের কিছু নাই। তারাও (জামায়াত) গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়। তারাও মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি। কিন্তু যদি কেউ কখনও বলে যে তারাই শুধু দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবেই। কথাটা ঠিক না। আমরা সবাই দেশপ্রেমিক।’
‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তারপর যদি বলেন, শুধু আপনি দেশপ্রেমিক, আপনার আরেক বন্ধু দেশপ্রেমিক, তাহলে আমাকে বাদ দিলেন না আপনি! এটা তো কষ্ট লাগার কথা। আমরা আশা করব, এরকম কথা কেউ না বলুক।’
জামায়াতের সাথে বিএনপি বৈঠক করবে কিনা জানতে চাইলে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম না, আমরা জোটে ছিলাম। যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের আর জামায়াতের সব কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিল। আমরা আশা করব, আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকব, তারাও থাকবে।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডনে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল, উনি এয়ারপোর্ট থেকে সোজা সেখানেই ভর্তি হয়েছেন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। আল্লাহর মেহেরবানিতে তার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে। আমরা সবাই দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।’
গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমানও অংশ নেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে সমমনা জোটের আরও কয়েক নেতা এই বৈঠকে অংশ নেন।
২ দিন আগে
খালেদার চিকিৎসায় সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিল বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য বিনা ভাড়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছে। আর লন্ডনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় ব্রিটিশ সরকারকেও ধন্যবাদ জানাই।’
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা মামলায় আদালতে দেওয়া বিবরণ সম্বলিত 'রাজবন্দীর জবানবন্দি' নামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মুক্তি পাওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লন্ডনে যান এবং হাজার হাজার মানুষ তাকে বিদায় জানায়। লন্ডন যাওয়ার পথে তিনি কোনো বাধার সম্মুখীন হননি বলেও জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৭ বছর পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন
হিথ্রো বিমানবন্দরে বড় ছেলে তারেক রহমান তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান নিয়ে মাকে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ হযরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছার এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের শেষ দিকে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই তার চিকিৎসকরা বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
তার অবস্থার তীব্রতা সত্ত্বেও, দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের একদিন পর ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের আদেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং তার কিডনি, ফুসফুস, হার্ট এবং চোখের জটিলতাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল
৪ দিন আগে