অন্যান্য
কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ঋণ পরিশোধ করতে হবে: মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হলে আল্লাহভীরু লোকদের হাতেই দেশের নেতৃত্ব তুলে দিতে হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মাদারীপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জেলা মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরওয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশকে গুম-খুনের রাজ্যে পরিণত করেছিল। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আলেমদেরকে জেলে পুরে হত্যা করেছে। তারা গোটা দেশকে বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছিল।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘এই দুঃশাসন থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন সময় আন্দোলন ও সংগ্রাম হয়েছে। অবশেষে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করেছে।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের কিছু বক্তব্যে কষ্ট লাগে: নজরুল ইসলাম খান
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা যে স্বপ্ন নিয়ে জীবনের বিনিময় দেশকে মুক্ত করেছে আমাদেরকে সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলে আইনের শাসন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত দেড় যুগ একটি বর্বর জাহিলি যুগ পার করে এসেছি। সে যুগে আমাদের অধিকার ছিল না, গণতন্ত্র ছিল না। ধর্মীয় অধিকার ছিল না। আইনের শাসন ছিল না। অর্থনৈতিক অধিকার ছিল না। আমাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও খাবার ছিল না। নিরন্ন মানুষের আহাজারি এবং বস্ত্রহীন মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল।’
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শেখ পরিবারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিম্মি হয়ে জাহিলিয়াতের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ ও তার বীর সাথীরা ফ্যাসিবাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে বিজয়ী করেছে। প্রয়োজন হলে আরও লক্ষ আবু সাঈদ রক্ত দিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নব্য ফ্যাসিবাদের মোকাবিলা করবে।
পরওয়ার আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল, কিন্তু করতে পারেনি। শেখ হাসিনা নিজেই নিঃশেষ হয়ে গেছে।
মাদারীপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ হামিদুর রহমান আযাদ, জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে দুরুত্ব নয়, সুসম্পর্ক রয়েছে জামায়াতের: ডা. তাহের
৩৫ মিনিট আগে
তরুণ প্রজন্মের প্রতি ঐক্যের ডাক সারজিসের
নতুন বাংলাদেশ গড়তে দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, আগামীর নতুন বাংলাদেশে আমরা তরুণ প্রজন্ম যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তাহলে কোনো অপশক্তি আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সরকারি স্কুল-সংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, ‘আজকে যখন আমরা চিন্তা করছি—অভ্যুত্থানে যে গতিকে সামনে রেখে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি, যে স্বপ্নগুলো আমরা এখনও ধারণ করি, বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্নগুলো দেখি, সে স্বপ্নগুলো একটি ঘোষণাপত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কোন কথাগুলো তাতে থাকা প্রয়োজন, তা যেন কয়েকজনের কথায় না হয়; সেগুলো যেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার ও থানার প্রতিটি শ্রেণির মানুষের কথা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে, হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনাকে দেশছাড়া করেছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ্যভাবে এ দেশের ফ্যাসিস্টবিরোধী সব দলের, মতের, ধর্মের, বয়সের ও শ্রেণির মানুষ একসাথে লড়াই করেছি। তাই এটা আমাদের দ্বায়বদ্ধতা। এ দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে গিয়ে সেই জেলার সাধারণ মানুষের কথা শোনা এবং সে অনুযায়ী আগামীর বাংলাদেশের কাজগুলো করা আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।’
এই সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের যে জায়গাগুলোতে এখনো দালালি ও চাঁদাবাজি হয়, হোক সেটা কেউ পোশাক পরে করুক, কেউ সাধারণ পোশাকে করুক, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।’
‘আমার এই ভোলার সহযোদ্ধা ভাইরা আমাদের বলেছেন, যারা আমার জসিম ভাইসহ অসংখ্য ভাইকে রক্তাক্ত করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওই সময়ের যে এসপি, তার সঙ্গে থাকা অফিসার, কনস্টেবলরা আমার ভাইদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, তাদের শাস্তি যেন শুধু বদলি না হয়। এই অভ্যুত্থানে যারা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, তাদের যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘যে ভোলায় গ্যাস উৎপাদন হয়, সেখানকার মানুষ কেন গ্যাস পাবে না? যে ভোলা থেকে একজন রোগী লঞ্চ স্পিডবোটে ফেরিতে যেতে গিয়ে মরতে হয়, সেখানে কেন মেডিকেল কলেজ হবে না?’
‘৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে যদি পদ্মা সেতু হয়, ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে পদ্মা সেতুর পাশে একইসঙ্গে রেল যোগাযোগ হয়, তাহলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে কেন বরিশাল থেকে ভোলা একটি সংযোগ সেতু হবে না?’
ভোলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ জেলার গ্যাস সিন্ডিকেট করে শুধুমাত্র ব্যবসা করার জন্য রক্তচোষার মতো কেউ যাতে নিয়ে যেতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
পথসভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখপাত্র শারমিন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল ফয়সাল, ভোলা জেলা সমন্বয়কদের মধ্যে মো. ইসরাফিল হোসেন জাবির, ইসরাত জাহান আলভিসহ জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, সকালে সারজিস আলম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সহানুভূতি জানান। এরপর তারা জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। পরে ভোলা বাংলা স্কুল মোড় সদর রোড ও নতুন বাজার এলাকায় ঘোষণাপত্রে ৭ দফা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
৩ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমীরের বৈঠক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এ বৈঠকে নির্বাচন, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, বর্ধিত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পাঁচটি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
এই ছয়টি কমিশন হলো— ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এ সময় জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বলেছেন, তা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রূপা হককে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময়সীমা রয়েছে; ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে।
৫ দিন আগে
জুলাই ঘোষণার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে: প্রেস সচিব
জুলাই বিপ্লব নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি ঘোষণা প্রণয়নের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অস্থায়ী সরকার শিগগিরই এটি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। আশা করি, আপনারা এই বিষয়ে আরও অগ্রগতি দেখতে পাবেন।’তিনি আরও জানান, ‘জুলাই ঘোষণার অগ্রগতির বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে অনেক ফোন কল এসেছে।ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও বক্তব্য রাখেন। গত ৩০ ডিসেম্বর অস্থায়ী সরকার জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জুলাই বিপ্লবের একটি ঘোষণা প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরুর কথা ঘোষণা করেছিল।প্রেস উইং জানিয়েছে, এই ঘোষণার লক্ষ্য হলো জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্যকে দৃঢ় করা, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিকে প্রতিফলিত করবে।
১ সপ্তাহ আগে
যশোরে নির্বাচনি প্রস্তুতি জামায়াতের, প্রার্থী চূড়ান্ত!
জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ না হলেও যশোরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। আসন্ন নির্বাচনে লড়তে রাজনৈতিক কৌশল ও কর্মপন্থা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে জেলার ৬টি আসনে প্রার্থী তালিকা করেছে দলটি। তবে এটি প্রাথমিক তালিকা, পরে পরিস্থিতি বুঝে প্রার্থী তালিকায় রদবদল হতে পারে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর জেলা পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দলটির সাংগঠনিক তৎপরতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। অবশ্য দলটির নেতারা বলেছেন, প্রার্থীদের যে তালিকা করা হয়েছে, তা প্রাথমিক। চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে সেটি পরিবর্তনও হতে পারে। জোটগত নির্বাচনের সম্ভাব্যতা তৈরি হলে শরিকদের বিষয়টিও বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জামায়াতের যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। জেলার ছয়টি আসনের সবকটিতেই আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই হয়ে গেছে।’
নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জামায়াত যাদের নির্ধারণ করেছেন, তারা হলেন— যশোর-১ (শার্শা) আসনে মাওলানা আজিজুর রহমান। তিনি এরআগেও নির্বাচন করেছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনের কাছে মাত্র পাঁচ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। দিনবদল হওয়ায় ফের আজিজুর রহমানের ওপর ভরসা করছে জামায়াত।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের প্রার্থী মাওলানা আরশাদুল আলম। তিনি ঝিকরগাছা গাজীর দরগাহ মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির
জেলার ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত যশোর-৩। জেলা সদরের এ আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী সরকারি এমএম কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের। আসনে দলের প্রয়াত নেতা মাস্টার নুরুন্নবীকে প্রথমে প্রার্থী ভাবা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর আব্দুল কাদেরকেই প্রার্থী করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে আব্দুল কাদেরের পরিচিতিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) আসনের প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রসুল নিজে। যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক। তিনি একজন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সুবক্তা হিসেবে দলীয় পরিসরের বাইরেও তার পরিচিতি আছে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের প্রার্থী অধ্যাপক মোক্তার আলী। তিনি ১৯৯৬ সালেও এই আসন থেকে দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু সেই বছর তিনি ভালো ফলাফল করতে পারেননি। অধ্যাপক মোক্তার আলী কেশবপুর কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক।
অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন সামাজিক কর্মসূচিসহ নানা অনুষ্ঠানেও। আমরা এসব প্রার্থীকে সম্ভাব্য বলছি। শেষ পর্যন্ত তাদের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ বা বেশি জনপ্রিয় কোনো নেতাকেও প্রার্থী করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য’
দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে জেলার নেতারা বলেছেন, ‘ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে একটা নির্বাচনী ঐক্য করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দল। সেক্ষেত্রে জোট হলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে জামায়াত সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত।’
দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
এর পরপরই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সেই কার্যালয় পুনরুদ্ধার করেন। এখন সেখানেই দলীয় কার্যক্রম চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই যশোরে সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা করছে জামায়াত। এদিকে, সদর থেকে শুরু করে জেলার সর্বত্রই দলটি যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাতে জামায়াত নির্বাচনী রাজনীতি করছে বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এরইমধ্যে জেলা সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। উপজেলা, ইউনিয়ন ও তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতেও কার্যালয় খোলা হয়েছে। মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কার্যালয় প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরব থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জামায়াত, তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও দায়িত্বশীলরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ছোট ছোট গ্রুপে মানুষকে উপস্থিত করে আলোচনা করছেন। বিভিন্ন দিবসে বা আয়োজনে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবায় নানা সহায়তা দিচ্ছেন। যোগ দিচ্ছেন বিয়ে, বৌ-ভাত, আকিকা, খাতনাসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও। জামায়াতের নারী সদস্যরাও এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যশোরে একটি কর্মী সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন। রাজনীতি সচেতনদের ধারণা, সম্মেলনটি ছিল জামায়াতের নির্বাচনী শো-ডাউন। কারণ, সম্মেলনটিকে কেন্দ্র করে জেলা জামায়াত কয়েকদিন থেকেই স্থানীয় রাজনীতির পুরো ফোকাস দলের দিকে রাখতে নানা কার্যক্রমও পরিচালনা করে। যশোর ঈদগাহে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনটি কার্যত জনসভায় রূপ নেয়। সেদিন ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের কপালে নাই: জামায়াত আমীর
১ সপ্তাহ আগে
আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের কপালে নাই: জামায়াত আমীর
বাংলাদেশের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আর ফিরে আসার সুযোগ নাই জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কেউ কেউ প্রশ্ন করে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে কি না। যারা এদেশের মানুষকে ভালোবাসে না, সম্মান দেয় না, দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি আমানত- এ কথা যারা বিশ্বাস করে না, তাদের কপালে নির্বাচন নাই।’
তিনি বলেছেন, ‘এরা তিনটি নির্বাচন করেছে জুলুম করে। যারা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, তাদের আবার কিসের নির্বাচন?’
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোর নবাব সিরাজ-উদ দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অতি জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন দিয়ে যে যার জায়গায় ফিরে যান। জনগণ যাদের পছন্দ করবে, তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দফায় দফায় যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে। কমবেশি সবাই এদেশের মানুষদের কষ্ট দিয়েছে। গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।’
জামায়াত আমীর বলেন, ‘আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু না। আমরা পিন্ডির (রাওয়ালপিন্ডি বা পাকিস্তান) হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারো হাতে যাওয়ার জন্য না।’
‘যুদ্ধ এখনও শেষে হয়নি। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’
পরে বিকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ পৌনে ২ কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করেছে। এজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আগে শেষ করতে হবে, যাতে কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে সংস্কার হারিয়ে না যায়।’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমীর বলেন, ‘জামায়াত সংখ্যানুপাতিক সংসদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে যোগ্য সংসদ তৈরি হবে। নাচ, গান, হাসি, ঠাট্টা আর মূর্খের সংসদ হবে না।’
আগামীতে একটি আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন এই নেতা।
১ সপ্তাহ আগে
ছাত্রশিবিরের সভাপতি নির্বাচিত জাহিদুল, সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সালের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। আর সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত হয়েছেন নুরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে এই কমিটি গঠন করা হয়।
নির্বাচন অধিবেশন বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রশিবিরের সহকারি নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের সমাপনি সেশনে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করেন। নাম ঘোষণার পর নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান ছাত্রশিবিরের প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন:ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা ইসলামী ছাত্রশিবিরের
এর আগে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আর ছাত্রশিবিরের সংবিধান অনুযায়ী নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি ২০২৪ সেশনের জন্য কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে নুরুল ইসলামকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনয়ন দেন।
নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি এর পূর্বে যথাক্রমে সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচআরএম বিভাগে এমবিএ অধ্যয়ন করছেন।
নব মনোনীত সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক, কেন্দ্রীয় প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচআরএম বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
আরও পড়ুন: বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসে ক্যাম্পাসগুলোকে অস্ত্রাগারে পরিণত করেছিল: ডা. শফিকুর রহমান
১ সপ্তাহ আগে
কুকুরের লাশই প্রমাণ করে সচিবালয়ের আগুন একটি ষড়যন্ত্র: সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘সচিবালয়ের আগুন শুধুমাত্র আমাদের দুই সহযোদ্ধা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের রুমে লাগানো হয়েছে। সেখানে কুকুরের লাশই প্রমাণ করে এটি ষড়যন্ত্র।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের হলরুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘ঠাকুরগাঁও রাইজিং’ প্রোগ্রামে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, ‘সচিবালয়ের আমলারাই খুনি হাসিনাকে বসিয়ে রেখেছিল। গণ অভ্যুত্থানের আগে কিছু আমলা নামক দাস ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় খুনি হাসিনার পক্ষে স্লোগান দিয়েছে। খুনি হাসিনার পোষ্য আমলারা আজও সচিবালয়ে চাকরি করছে। তারা চাকরি করলে সচিবালয় কীভাবে নিরাপদ থাকবে? হয় সাদা নয়তো কালা। তাদের চেয়ারে বসিয়ে রাখলে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পাওয়া সম্ভব না। সে কারণে এখন অপকর্ম হচ্ছে, দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানকে পুঁজি করে মামলা-বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে মানুষকে জিম্মি করা হচ্ছে। মামলায় নাম দেওয়ার সময় টাকা, আবার মামলা থেকে নাম কাটার সময়ও টাকা নেওয়া হচ্ছে। বড় বড় ব্যবসায়ীদের বাসায় ডেকে নিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এসবের জন্য এত মানুষ শহিদ হয়নি।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
জাতীয় নাগরিক কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, একটি রাজনৈতিক শক্তি। সকলে অনুভব করে নতুন কিছু দরকার। বাংলাদেশের লিডারশিপগুলোকে (নেতৃত্ব) ধ্বংস করা হয়েছে। আগামীতে ডিমান্ড (চাহিদা) অনুযায়ী দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে নাগরিক কমিটি। এসব নেতৃত্ব আগীমার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।’
উপযুক্ত সংস্কার শেষ হওয়ার পরে নির্বাচন উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘গণ অভ্যুত্থানের আগে যদি বলা হতো- দুই-তিন বছর সংস্কারের জন্য সময় দিতে হবে, তাহলে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, একজন সাধারণ মানুষকেও দ্বিমত করতে পাওয়া যেত না। আবার নির্বাচনের সময়কে দীর্ঘ করে দেশকে নাজুক পরিস্থিতিতেও নিয়ে যাওয়া যাবে না।’
‘গণঅভ্যুত্থানের এখনও ৫ মাসও পার হয়নি। তাদের (সরকারকে) স্ট্যান্ডার্ড সংস্কারের সময় ও সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে। তা না হলে এই সুযোগ খুনি হাসিনা কাজে লাগিয়ে পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে।’
২ সপ্তাহ আগে
‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ১২ দলীয় জোটের দেশবিরোধী অপতৎপরতা, সাবেক কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমাদের ছাত্রসমাজ, রাজনৈতিক সমাজ আজ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। সময় এসেছে জুলাইয়ের চাইতেও কঠিন ও শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের শত্রু নই, কিন্তু আপনারা যদি জনগনের পালস বুঝতে ব্যর্থ হন, তাহলে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগ্রামী চেতনার কোথায় যেন চিড় ধরেছে, বিভ্রান্তি তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনার পতনের পর যে অন্তবর্তীকালীন সরকার তৈরি হয়েছে, সে সরকারকে আমরা দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলাম, এখনও তাদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু সে সরকার এখন একের পর এক ভুল করে চলেছে, আর তাদের এই ভুল জাতীয় ঐক্যে ফাটল তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
১২ দলীয় জোট প্রধান বলেন, ‘জুলাই অভ্যুথান-পরবর্তী যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা যদি আমরা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে জাতীয় ঐক্যবিরোধী শত্রুরাই সবচাইতে বেশি খুশি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বর্ডারের (সীমান্ত) চারপাশে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে, তা মোকাবিলা করার জন্য আরও সুদৃঢ় ঐক্য তৈরি করতে হবে।’
২ সপ্তাহ আগে
আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির
বিগত দিনে একটানা সাড়ে ১৫ বছর যারা শাসন করেছেন তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আবহমান কাল থেকে আমাদের এই দেশটি সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির। নানা ধর্মের মানুষ আমরা মিলেমিশে বসবাস করি। এমন একটি দেশ দুনিয়ায় কমই আছে। দেশের মানুষের হাতে কাজ তুলে দেওয়ার পরিবর্তে দেশের মানুষের রিযিক তারা তুলে নিয়েছে। লাখো বেকারের মিছিলে জনগণ ছিল পিষ্ঠ। এর জন্য সরকার দায়ী।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল মোড়ে অনুষ্ঠিত জামায়াতের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াত এই পথসভার আয়োজন করে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা ছাত্রদের হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তারা দেশের মানুষের হাড় ভাঙা পরিশ্রমে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করেছে।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, অনেকে জিজ্ঞেস করেন তারা আবার নির্বাচনে আসবে কি? আমি বলি- যারা গণহত্যা করেছে, গদিতে থাকার জন্য দেশের মানুষের কেনা অস্ত্র দিয়ে দেশের মানুষের বুকে গুলি ছুড়েছে- তারা কী রাজনীতি করার অধিকার রাখে? ‘স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তারা এই সমাজকে, দেশকে অস্থির করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমীর
জামায়াতা প্রধান বলেন, আমরা এ দেশকে ভালবাসি, এদেশকে গড়তে চাই। সমাজে আমাদের মা বোনেরা ইজ্জতের সাথে ঘরে-বাইরে সমস্ত জায়গায় চলতে পারবে। যোগ্যতা অনুযায়ী যুবকরা কাজ পাবে।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের দরজায় যেয়ে মানুষকে কাঁদতে হবে না। বরং আদালত দায়িত্ব নিয়ে মানুষকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেবে। ন্যায়বিচারের দিক থেকে একটি দেশ এবং জাতি গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমির মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভা পরিচালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের: জামায়াত আমির
২ সপ্তাহ আগে