অর্থনীতি
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্স-ডিএস৩০তে সূচক কমল ৪.১৬ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ৪.১৬ পয়েন্টে কমেছে।
এদিন সকালে ঢাকা পুঁজিবাজারের তিনটি সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স ও ডিএস৩০তে সূচক কমেছে এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে।
রবিবার ডিএসইসির প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স শূন্য দশমিক০১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯৪ দশমিক ৪২ পয়েন্টে নেমেছে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট হয়েছে। আর ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু-চিপ সূচক ২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২১ দশমিক ৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইএক্সে সূচক বাড়ল ২৮.৪ পয়েন্ট
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৮৭২টি লেনদেনের মাধ্যমে কেনাবেচা হয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। প্রথম ঘণ্টায় বাজারে ব্যাপক বিক্রয় চাপ ছিল এবং ১০১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিময় হয়।
এই সময়ে মোট ৩৭২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেন করে। এর মধ্যে ডিএসইতে ১৪২টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৪টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
আরও পড়ুন: রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের ৮০ শতাংশ ফেরত এসেছে: গভর্নর
১ দিন আগে
রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের ৮০ শতাংশ ফেরত এসেছে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের ৮০ শতাংশ ফেরত আনা হয়েছে। বাকি অর্থ আদায়ে মামলা চলছে। মামলায় জিতে বাকি অর্থও ফেরানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মনসুর এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। যারা দেশ থেকে টাকা পাচার করেছে। সেসব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশিরাও সহযোগিতা করছেন বলে জানান মনসুর।
গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (এফবিআই) অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। বিদেশি আইনজীবীও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩০০ কোটি ডলার। রপ্তানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার। প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স বছরে ৬০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে উঠে এসেছে দুবাই। এটাকে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে গভর্নর জানান, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট (হস্তক্ষেপ) করার চেষ্টা করছে।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার কোটি ডলার হয়েছে। তবে গত ৮ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৬৭ কোটি ডলার।
এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, 'চার মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে, তাই ভয়ের কিছু নেই।'
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে অর্জনের পাশাপাশি ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করলেন গভর্নর
২ দিন আগে
ডিএসইএক্সে সূচক বাড়ল ২৮.৪ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)মঙ্গলবার কার্যদিবস শুরুর প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইর তিনটি সূচক- ডিএসইএক্স, ডিএসইএস এবং ডিএস৩০ সপ্তাহের প্রথম সময়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল।
ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২৮ দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২২৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৭০ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে স্থির হয়। এছাড়া ডিএস৩০ ব্লু-চিপ সূচক ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৭ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন কার্যক্রম শক্তিশালী ছিল।৪৩ হাজার ৫৩৯টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৬ কোটি ৩৪ লাখ শেয়ার এবং ইউনিট বিনিময় হয়েছিল। বিনিময় করা অর্থের পরিমাণ ছিল ১৪৩ কোটি ১ লাখ টাকা, যা শুরুর সময়ে শক্তিশালী বিক্রয় চাপের ইঙ্গিত দেয়।
এদিন মোট ৩৭১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯৪টির, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দর।
আরও পড়ুন: ৬ ব্যাংকের নিরীক্ষায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
৬ দিন আগে
৬ ব্যাংকের নিরীক্ষায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশের ৬টি ব্যাংকের সম্পদের গুনমান মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং (ইওয়াই) ও কেপিএমজিকে নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
নিরীক্ষার জন্য বাছাই ব্যাংকগুলো হলো-
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইওয়াই গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং কেপিএমজি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের নীরিক্ষা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেন, ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) পদে ফিরতে পারবেন কিনা, তা নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
নিরীক্ষায় যদি প্রমাণিত হয় এমডিরা আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নন, তাহলে তারা আবার তাদের ভূমিকায় ফিরে যেতে পারেন। অন্যথায় তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানান শিখা।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে অর্জনের পাশাপাশি ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করলেন গভর্নর
উল্লেখ্য, ৬টি ব্যাংকের মধ্যে চারটিই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংস্কার প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সহায়তাকারী এডিবি সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। তারা ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগত মান পর্যালোচনার সুপারিশ করায় এই উচ্চ পর্যায়ের নিরীক্ষা করা হয়।
এরই মধ্যে ৬টি ব্যাংকের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিরীক্ষা দলকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ কর্মকর্তা এবং এডিবির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বৈঠকে স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক পরিদর্শনে বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের আশঙ্কাজনক নমুনা পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে টাকার মূল্য কমেছে ১২.৭২ শতাংশ
১ সপ্তাহ আগে
২০২৪ সালে টাকার মূল্য কমেছে ১২.৭২ শতাংশ
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১২ টাকা বৃদ্ধির ফলে বছরজুড়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকার মূল্য কমেছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রতি ১ ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা, যা একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে ১২২ টাকা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ডলারের মূল্য ১২ টাকা বেড়েছে এবং টাকার মূল্যমান ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ টানা তিন বছর ধরে ডলার সংকটে ভুগছে। এর ফলে দেশে ডলারের দাম বেড়েছে এবং টাকার মান আরও কমেছে।
এদিকে ব্যাংকগুলোও ক্রয়-বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রে ডলারের দাম ২ টাকা বাড়িয়েছে। পরে টাকার মান আরও দুই টাকা কমে যায়। ব্যাংকগুলো এখন থেকে আমদানি, ঋণ পরিশোধসহ অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা দরে গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রি করবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোর ডলারের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপের ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে। এতে আমদানি করা পণ্যের দামও বাড়বে, কারণ তাদের আমদানি ব্যয় মেটাতে আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে।
মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব তুলে ধরে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, দুই টাকার অবমূল্যায়ন মানে জিনিসপত্রের দাম অনিবার্যভাবে বাড়বে। এর সঙ্গে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর আরও চাপ পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ সপ্তাহ আগে
আর্থিক খাতে অর্জনের পাশাপাশি ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করলেন গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশ আর্থিক খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে অনেক ঘাটতি রয়েছে, যা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আত্মমূল্যায়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত অনেক এগিয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে এটাও বলতে হবে যে, আমাদের অর্জন সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত কতদূর এগিয়ে যেতে পারত বা পুরো আর্থিক খাত কতদূর এগোতে পারত, সেক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতাও রয়েছে।’
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ খাতের ব্যর্থতার জন্য কোনো একক গোষ্ঠী বা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। তিনি বলেন, 'আমরা সবাই হয়তো এটা (এই আর্থিক খাত) নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভিন্নভাবে কাজ করেছি। আমরা সবাই হয়তো সততার সঙ্গে কাজ করেছি। হয়তো বিচ্যুতি ঘটেছে বা হয়নি। আমাদের এই আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে।’
ড. মনসুর বলেন, এসএমইর মতো কিছু অপ্রচলিত খাত এবং জলবায়ু অর্থায়ন ও সবুজ অর্থায়নের মতো নতুন খাতে অর্থায়নে ব্যাংকগুলো তেমন আগ্রহী নয়। ‘অনেক খাতের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেই টাকা হস্তান্তর হচ্ছে না। যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তারা এসব খাত নিয়ে খুব একটা উৎসাহী নন বা ঝুঁকি নিতে রাজি নন। এখানে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’
অপ্রচলিত ও নতুন খাতে অর্থায়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মনসুর জলবায়ু অর্থায়ন, সবুজ অর্থায়ন, আর্থিক খাতের উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মতো ব্যাংকিং খাতের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে বিআইবিএমের প্রতি আহ্বান জানান।
ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআইবিএম এ খাতে মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতের উন্নয়নে এ ধরনের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ছাড়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর নাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে বিআইবিএমের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক ১১% বললেও প্রকৃত চিত্র ২৫%: ড. আহসান এইচ মনসুর
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাসরুর আরেফিন, আয়োজক কমিটির সভাপতি ড. শাহ মো. আহসান হাবিব এবং সদস্য সচিব ড. মো. তাজুল ইসলাম।
বিআইবিএম দেশের ব্যাংকিং খাতের সম্মিলিতভাবে ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স বিষয়ক জাতীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা, পরামর্শ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বছরের পর বছর ধরে, ইনস্টিটিউট তার ফোকাস প্রসারিত করেছে এবং এখন ব্যাংকিং খাতের মধ্যম ও জ্যেষ্ঠ স্তরের নির্বাহীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে, যা খাতের মধ্যে নেতৃত্ব এবং পরিচালনার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হতে চলেছেন আহসান এইচ মনসুর
২ সপ্তাহ আগে
পদ্মা ব্যাংককে একীভূত না করার সিদ্ধান্ত এক্সিম ব্যাংকের
ঋণ অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক পিএলসিকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি (এক্সিম ব্যাংক)।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করতে উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে সময় একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালাও জারি করা হয়।
গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ১৮ মার্চ একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে এক্সিম ব্যাংক।
২ সপ্তাহ আগে
বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১.১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা অনুমোদন
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে ৫০০ ও ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুটি বাজেট সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। এ বাজেট সহায়তা চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তাও অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অনুকূলে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তার অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংক। সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমগুলো সফলভাবে অর্জন করায় ‘সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট’ এর আওতায় বিশ্বব্যাংক এ বাজেট সহায়তা দেয়।
এছাড়া, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে ‘স্ট্রেংদেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স প্রোগ্রাম, সাব-প্রোগ্রাম ১’ শীর্ষক কর্মসূচির জন্য ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণচুক্তি সই হয়। এ কর্মসূচিটি প্রণয়ন করে অর্থ-বিভাগ।
৩ সপ্তাহ আগে
নভেম্বরে দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫.৬৩ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় থেকে এসেছে ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের বছরের নভেম্বরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস, অর্থাৎ জুলাই থেকে নভেম্বরে মোট ১ হাজার ৯৯০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় তা পৌঁনে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি আয়ের মধ্যে কৃষি খাতে ১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া হোম টেক্সটাইল রপ্তানি ২০.৭৪ শতাংশ এবং প্রাণিজ পণ্যে রপ্তানি সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে, ১২৫.৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে প্রধান রপ্তানি খাতগুলোর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে কমেছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরে ইপিবির নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও রপ্তানি খাতে নভেম্বর মাসে ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং জুলাই-নভেম্বর সময়ে ১১ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
১ মাস আগে
টিসিবির ওএমএস কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক
নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এবার চলমান ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহর ও এর আশপাশের এলাকার পোশাককর্মী পরিবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক পরিবারকে ওএমএস কর্মসূচিতে যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে তারা। ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতের শ্রমিকদেরও এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাজার স্থিতিশীল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় সরকারের বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে এই সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সারা দেশে ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের জন্য ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর সরকারের মনোযোগের ওপর আলোকপাত করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে, পাশাপাশি বেসরকারি খাতও সরবরাহ চেইনে অবদান রাখছে। এটি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে দাম স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সক্রিয় বাজার মনিটরিংয়ের কারণে ইতোমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন আমদানি বা উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে খুচরা মূল্যের ব্যবধান কমানো জরুরি।
তবে ওএমএস কার্যক্রমে নতুন করে ১০ লাখ পরিবার যুক্ত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ১ কোটি পরিবারের জন্য টিসিবি কার্ডের যে কার্যক্রম, তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর করতে পারেনি সরকার। তাই সেখান থেকেই এই ১০ লাখ পরিবারের জন্য সংস্থান করা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের ডিওর ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ ঢাকার পাশের কারখানার পোশাকশ্রমিকদের মাঝে টিসিবির নির্ধারিত পণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ মাস আগে