নির্বাচন
নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সরকারের ৯ দিনের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয় দিনের জন্য বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামবে। এর মধ্যে নির্বাচনের আগে পাঁচ দিন, নির্বাচনের দিন এক দিন এবং নির্বাচনের পরে তিন দিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তবে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়সীমা সমন্বয় করা হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী এখন মাঠে আছে ৩০ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় প্রায় এক লক্ষ সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিজিবি থাকবে প্রায় ৩৫ হাজার, নৌবাহিনী পাঁচ হাজার, কোস্টগার্ড চার হাজার, র্যাব প্রায় আট হাজার এবং আনসার বাহিনীর সদস্য থাকবে সাড়ে পাঁচ লাখের মতো। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আনসার এবার বড় ভূমিকা পালন করবে। তাদের জন্য অস্ত্র এবং বডিক্যামও সরবরাহ করা হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সন্দেহের সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে হবে—এ নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই।’
সরকার পরিবর্তন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে যে সরকার পতন হয়েছে, তা কোনো তিনজনের কারণে হয়নি। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন—কীভাবে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজনরা পালিয়েছে। এটি একজন বা দুজনের কারণে হয়নি, হয়েছে জনগণের ইচ্ছার কারণে।’
মতবিনিময় শেষে তিনি পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্স ও কোস্টগার্ড স্টেশন পরিদর্শন করেন। পরে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
৩ দিন আগে
সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
গণভোট প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সরকার থেকে গণভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি এখানে সংলাপে ছিলাম। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, কোন লাইনে বলেছেন, আমি জানি না। যেহেতু শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
‘আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারবো। এখন মতামত দেওয়া যথার্থ হবে না।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একইদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ইসির মতামত কী, চ্যালেঞ্জ হবে কিনা, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা প্রশ্নে সিইসি জানান, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করলে যেমন কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে, তেমনি কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হতে পারে। তবে এতে ব্যয় অনেক কমবে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন করলে ৮০০ কোটি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই একসঙ্গে গণভোট আয়োজন করলে ব্যয় ৩০০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমিত থাকবে।
ইসি এখন পর্যন্ত হিসাব করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আনুমানিক ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
৫ দিন আগে
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করাসহ ৭ দাবি হিন্দু মহাজোটের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ, নির্বিঘ্ন ভোটের পরিশে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট’।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এসব দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
সিইসি এসব দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন বলে বৈঠকের পরে বলেছেন হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে।
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে কমিশন একমত হয়েছেন, জানিয়েছেন আগে থেকে এ নিয়ে কাজ করছেন। সিইসি সৌহার্দ্য পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন-শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনার সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন, আমরাও কথা দিয়েছি নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।
‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিবেশে পরিস্থিতি যেন না হয় সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘সিইসি নিশ্চয়তা দিয়েছেন এবার কেউ আপনাদের অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বৈঠকে নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তানিশ্চিতে ৭টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিজেদের উদ্বেগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন অবস্থায় থাকি; দুর্গা পূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনও হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার হয়েছে। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
নির্বাচন কমিশন এবার কঠোরভাবে অপরাধীদের দমনের আশ্বাস দিয়েছেন তুলে ধরে মহাজোটের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবের সাথে ইসির ভাবনার পুরোপুরি মিলে গেছে বলা হয়েছে। সিইসি আশ্বস্ত করেছেন, এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিরাপত্তা নিয়ে বাসায় ফিরবেন।
‘এর ব্যত্যয় ঘটলে শক্তভাবে ব্যবস্থা নেবে ইসি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের ভয় ভীতি প্রদর্শন ও স্থাপনায় আঘাত হানলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত ভাবে ব্যবস্থা নেবে।’
প্রত্যেকটা সময় কিছু হলে হিন্দুরা সব সময় ‘বলির পাঠা’ হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবি হলো– ভোটের ১০ দিন আগে ও ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ও আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।
১২ দিন আগে
১০ নভেম্বরের পর ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করা যাবে না
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটারের ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোটারদের বাসস্থান পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটার ঠিকানা স্থানান্তরের আবেদনের সময়সীমা ঘোষণা করে ইসি।
ইসির অফিস আদেশ অনুযায়ী, আবেদনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর। এর পর ভোটার তালিকায় ঠিকানা পরিবর্তন (রিলোকেশন) সংক্রান্ত কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
এ ছাড়া নিবন্ধন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
১৪ দিন আগে
গণভোট নিয়ে যাই সিদ্ধান্ত হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে অনুষ্ঠিত হবে। কোন শক্তি তা পেছাতে পারবে না।
শুক্রবার বিকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মত মন্তব্য করছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, সেটাই প্রধান উপদেষ্টা করবেন।
তিনি আরও জানান, ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতন ও গণঅভ্যুত্থানে পুরুষ ও নারীরা একসাথে রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এখন নারীরাও পিছিয়ে নেই এবং সব ক্ষেত্রেই তারা প্রতিনিধিত্ব করছে।
তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত হলো ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’।
সকালে নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমির সভাপতিত্বে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলার জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক ইসমাঈল হোসেন।
১৮ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩০ অক্টোবর শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসির বৈঠক
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ৩১ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ইসির জারি করা চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে সভায় অন্য কমিশনাররাও উপস্থিত থাকবেন।
সভায় অংশগ্রহণের জন্য সরকারের ৩১ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবরা; এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবরা।
এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত থাকবেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর ও সংস্থার প্রধানরা—বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, ডাক অধিদপ্তর ও চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তার প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কর্মকর্তাকে বৈঠকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২০ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি।
ধারাবাহিক এই সংলাপের শুরু হয় গেল সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে। ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের পর ওই দিনই শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করে কমিশন। এরপর ৬ অক্টোবর বিভিন্ন গণমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠক করে ইসি।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গেও বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।
২৩ দিন আগে
ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ সোমবার: ইসি সচিব
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ছয় দিন পেরোলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল সেটাও করা হয়েছে। কাল (সোমবার) সকালে ব্রিফ করে দেব।’
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কবে শেষ হবে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘দল নিবন্ধনের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে মাঠ পর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য আসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এ সপ্তাহের ভেতরে করে দেব। কারণ, আমাদেরও একটা দায় আছে। আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি কোনো জবাব দেননি ইসি সচিব। তিনি বলেন, ‘প্রতীকের বিষয়টি আমরা পরে জানাব।’
ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সবকিছু ১০০ শতাংশ করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু জায়গায় অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়), কিছু বিষয় আগেই কমপ্লিট (সম্পন্ন) করেছি, কিছু বিষয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু হয়তো অপেক্ষা করতে হবে।’
‘সবকিছুই নিক্তিতে মেপে সময় অনুযায়ী, দিনক্ষণ-তারিখ অনুযায়ী করা সম্ভব নয়। এই অ্যাডজাস্টমেন্ট আমাদের রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো কারণ বা পরিস্থিতি আমার মনে হয় না হয়েছে।’
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণে নির্বাচন ভবনের দক্ষিণ পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসি মামলা করবে কিনা জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। এটা বাইরে ফেটেছে। ইসিকে যদি মামলা করতে হয়, করব।’
কমনওয়েলথের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশনের (ইএসএস) প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘তারা নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন, প্রযুক্তির অপব্যবহার, নির্বাচনকালীন সময়ে নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ জানান, কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রথা অনুযায়ী মহাসচিবের পক্ষ থেকে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন পাঠানো হয়েছে। তারা বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন। প্রধান উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক মিশনের উপস্থিতির বিষয়ে সব অংশীজনের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন আছে কি না তা নিশ্চিত করা। তারা বর্তমান পরিবেশ এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতেও এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বলি, কমনওয়েলথের সব সদস্য রাষ্ট্রে গণতন্ত্র একটি চলমান যাত্রা। নির্বাচনের পরেও কমনওয়েলথ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারত্ব বজায় রেখে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
২৩ দিন আগে
পলাতকদের নির্বাচনের পথ বন্ধ, ফিরছে ‘না ভোট’
বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এবং একক প্রার্থী থাকলে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ রাখার প্রস্তাবসহ গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনী ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে আদালত ঘোষিত পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, নির্বাচনে অনিয়ম ধরা পড়লে, অর্থাৎ কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম শনাক্ত হলেও পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা পুলিশের মতোই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারসম্পর্কিত যেসব বিধান ছিল, সেগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে সংজ্ঞা, সেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবেন না, এটিও যুক্ত করা হয়েছে।
পলাতক আসামি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘পলাতক হচ্ছে, আদালত যখন পলাতক ঘোষণা করে। যেদিন আদালত আপনাকে আসতে বলছে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, আসছেন না। আদালত পলাতক ঘোষণা করে। বিচার চলাকালীন সময়ে পলাতক হয়।’
প্রার্থীদের হলফনামায় এফিডেভিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আয়ের উৎসের বিবরণ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তি, বিবরণ নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে। এটা আমরা ওয়েবসাইটে পাবলিক করে দেব, এতে সবাই জানবে কার কী সম্পত্তি।
জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আরপিওতে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের প্রতীকে ভোট করা যেত। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনী জোট হলে, জোটের অংশ হলেও দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। যাতে ভোটাররা ক্লিয়ার আইডিয়া (পরিষ্কার ধারণা) পায়— উনি কোন দলের।’
এবার ভোটে প্রার্থীদের জামানত বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান করা হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
২০১৪ সালের প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, “‘না ভোট’-এর বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না ভোট’ হবে। ২০১৪ সালের ভুয়া সাজানো নির্বাচন যেন না হয়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্তদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এর আগে, আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিও সংশোধনীর খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সরকার খসড়ায় অনুমোদন দেওয়ার ফলে এখন অধ্যাদেশ আকারে আইনটি জারি করবেন রাষ্ট্রপতি।
প্রস্তাবিত আরপিওর ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কোনো আসনে যদি একক প্রার্থী থাকেন, তাহলে সেই প্রার্থী ও ‘না ভোট’-এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
যদি ‘না ভোট’-এর সংখ্যা প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে ওই আসনে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরবর্তী নির্বাচনে আর ‘না ভোট’ থাকবে না। কিন্তু, আবারও একক প্রার্থী থাকলে, তখন তাকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, বা ব্যালট বাক্স অবৈধভাবে সরিয়ে নেওয়া, ধ্বংস, হারানো বা এমনভাবে বিকৃত করা হয় যে ফলাফল নির্ধারণ সম্ভব নয়— সে সব ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন।
বর্তমান আরপিও অনুযায়ী, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা না নিয়ে ভোট বন্ধ করতে পারতেন না।
২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ওই ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছিল।
২৬ দিন আগে
ভোটের সময় ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আট দিনব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ইসি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির চার কমিশনার, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এসব কথা বলেন।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘মূলত পাঁচ দিনের ডেপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম করা হয়। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছে, এটা যেন আট দিন করা হয়। নির্বাচনের আগে তিন দিন নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে চার দিন। আমাদের ইনিশিয়াল প্রোগ্রামিং ছিল পাঁচ দিন। এখন প্রস্তাবনাটা আসছে, এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সদস্য মাঠে থাকবে। প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আনসার-ভিডিপি থেকে আসবেন প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ সদস্য।’
এ ছাড়াও নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আইজিপি মহোদয় জানিয়েছেন যে, দেড় লাখ পুলিশ এই ইলেকশনে কাজ করবেন এবং সবচেয়ে বড় বাহিনীটা আসবে আনসার ভিডিপি থেকে। হোম সেক্রেটারি বলেছেন—বডি ওর্ন ক্যামেরা, ড্রোনের ব্যবস্থা থাকবে। কাজেই ভিজিলেন্সটা অনেক বেশিই হবে।’
সেনাবাহিনী ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে থাকবে, নাকি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে আরপিওটা সংশোধন হয়ে আসুক। দুটো মতামতই আছে, কিন্তু তাদের কন্টিনিউয়েশনের পক্ষেই আলোচনা হচ্ছে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার যেটা আছে...তার সঙ্গে আরপিও’র সাংঘর্ষিক যেন না হয়, সে জিনিসটা আমরা লক্ষ্য করব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, বৈঠকে কোনো শঙ্কার কথা আসেনি।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অনেক কিছু নির্বাচনে বাজেটের উপর নির্ভর করবে। বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি লেফট্যানেন্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, নৌ-বাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিমান বাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি এয়ার ভাইস মার্শাল রুশাদ দিন আসাদ, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, এনএসআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সরোয়ার ফরিদ, ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপি অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, র্যাব হেডকোয়ার্টার মহাপরিচালক এ কে এম শহীদুর রহমান, এসবি’র অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) জি এম আজিজুর রহমান, সিআইডি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ।
২৯ দিন আগে
এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণে পথে বাধা সৃষ্টি করবে না, প্রত্যাশা সিইসির
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এছাড়া নির্বাচনের সময় ফ্যাক্টচেক না করে কোনো সংবাদ পরিবেশন না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা এবং নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই প্রত্যাশার কথা জানান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, এবার লুকিয়ে, রাতের আঁধারে কোনো ভোট হবে না।
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে এসসিপির ধারণা আছে। তাই গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে এনসিপি বাধা সৃষ্টি করবে না বলেই প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, ‘যারা এনসিপির নেতৃত্বে আছেন, তারা ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান চলাকালে সম্মুখ সারিতে থেকে আন্দোলন করেছেন। তারা গণতন্ত্রায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না— সেটা আমি বিশ্বাস করি।’
সিইসি বলেন, কোনো দল যখন নিবন্ধন পায়, আমাদের যে নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা, সেখান থেকে তাকে প্রতীক নিতে হয়। যেহেতু শাপলা আমাদের তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। এখন পর্যন্ত তালিকার বাইরে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি।
নতুন করে প্রতীক যোগ করতে অসুবিধা আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ‘কোনো অসুবিধা নেই’ বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের সময় ভোট বা নির্বাচন কমিশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বিষয় নিয়ে ফ্যাক্টচেক করে সংবাদ পরিবেশন করতে দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতি এসময় আহ্বান জানান সিইসি।
নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৩৭ দিন আগে