পরিবেশ
টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওরে মানতে হবে ১৯ নির্দেশনা
টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওর সুরক্ষায় আদেশ জারি করেছে সরকার। ‘বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩’-এর অধীনে দেওয়া ক্ষমতাবলে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওর দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি জলাভূমি এবং অন্যতম সংবেদনশীল জলজ বাস্তুতন্ত্র। অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও নৌচলাচল, অবৈধ বালু উত্তোলন, নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার, জলজ বন ধ্বংস, অতিরিক্ত বালাইনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার এবং বর্জ্য নিঃসরণসহ পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ‘টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওর সুরক্ষা আদেশ’ জারি করা হয়েছে।
টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওর জন্য প্রতিপালনীয় ১৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আদেশে। সেগুলো হচ্ছে—
১. হাওর অঞ্চলে পাখি অথবা পরিযায়ী পাখি শিকার, পরিযায়ী পাখিসমৃদ্ধ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালন, গাছ কাটা এবং হাওরের জলজ বনের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
২. হাওরের জলজ গাছের (হিজল, করচ ইত্যাদি) ডাল কেটে ঘের নির্মাণ বা মাছের আশ্রয়ের কাঁটা হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
৩. পর্যটক বা হাউসবোট অভয়াশ্রম বা সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষিত এলাকাসহ জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর বা হাওর অধিদপ্তরের চিহ্নিত হাওরের সংবেদনশীল এলাকায় (যেমন: পাখি বা মাছসহ জলজ প্রাণীর আবাসস্থল, প্রজনন কেন্দ্র বা বন্য প্রাণীর চলাচলের স্থান) প্রবেশ করতে পারবে না।
৪. সরকারের অনুমতি ছাড়া বর্ণিত হাওর এবং এর ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন কর যাবে না।
৫. পরিবশগত ও সামাজিক প্রভাব নিরূপণ সাপেক্ষে সরকারের অনুমতি ছাড়া হাওরের জলস্রোতের স্বাভবিক প্রবাহ বিঘ্নিত করা যাবে না।
৬. হাওর এলাকায় ভূমি এবং পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট বা পরিবর্তন করতে পারে, এমন কাজ করা যাবে না।
৭. শিক্ষা সফর ও বিদেশি পর্যটক পরিবহনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৮. অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কোনো হাউসবোট বা নৌযান যাত্রী সংখ্যার অধিক যাত্রী পরিবহন ও মাছ ধরার যন্ত্র কিংবা সরঞ্জাম বহন করতে পারবে না। নির্ধারিত রুট (পথ) ছাড়া নৌযান চলাচল ও নোঙ্গর করতে পারবে না।
৯. দুযোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পর্যটক পরিবহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। আকস্মিক ঝড়, প্রবল বৃষ্টিপাত বা বজ্রপাতের আশঙ্কাকালীন পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. টুর অপারেটর ও পর্যটকদের স্থানীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
১১. হাউসবোটে ও নৌযানে উচ্চস্বরে গান-বাজনাসহ কোনো পার্টির আয়োজন করা যাবে না।
১২. হাউসবোট ও নৌযানের মালিক এবং টুর অপারেটররা তাদের পরিচালিত টুরে শব্দ দূষণকরী অর্থাৎ উচ্চ আওয়াজ সৃষ্টিকারী ইঞ্জিন বা জেনারেটর ব্যবহারকে নিশ্চিতভাবে পরিহার করবে।
১৩. হাউসবোটে ও নৌযানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহন করতে পারবে না।
১৪. নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বা বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে হাওরে মাছ শিকার করা নিষিদ্ধ।
১৫. যথাযথ কর্তৃপক্ষে অনুমতি ছাড়া হাওরে বালু, পাথর বা মাটি ইজারা প্রদান ও উত্তোলন নিষিদ্ধ।
১৬. শুষ্ক মৌসুমে হাওরের কোনো জলাধারের পানি সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ করা যাবে না।
১৭. টুর অপারেটররা ১০০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের নৌযান বা হাউসবোট পরিচালনা করতে পারবে না।
১৮. হাওর এলাকা-সংশ্লিষ্ট বসতবাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তরল ও কঠিন বর্জ্য হাওরে নির্গমন করা যাবে না।
১৯. হাওর অঞ্চলে পাকা সড়ক নির্মাণ পরিহার করতে হবে। তবে, জরুরি বা বিশেষ প্রয়োজনবোধে সড়ক নির্মাণের প্রয়োজন হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে এবং সরকার অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ ধরনের নির্মাণ কাজ শুরুর আগে অবশ্যই পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন এবং সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে।
এসব সুরক্ষা আদেশ প্রতিপালন করা বাধ্যতামূলক; আদেশের লঙ্ঘন ‘বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
৮ দিন আগে
লাহোরের বাতাস আজ ‘বিপজ্জনক’, ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসে দূষণের মাত্রা প্রায়ই বেশি থাকতে দেখা যায়। প্রতিনিয়তই শহরটির বাতাসের মানের অবনতি হয়েই চলেছে। এরই মধ্যে আজ শহরটির বাতাস ‘বিপজ্জনক’ হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে লাহোর।
আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, লাহোরের বাতাসের মান সাধারণত শীতকাল, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে খারাপ হয়ে যায়। এ সময় পাঞ্জাব প্রদেশের কৃষকেরা ফসল কাটার পর জমিতে বাকি থাকা খড়কুটো পুড়িয়ে ফেলেন, যার ধোঁয়া সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে দূষিত কণাগুলো বাতাসে আরও দীর্ঘ সময় আটকে থাকে।
এদিকে, বৃষ্টির প্রভাব শেষ হতে না হতেই রাজধানী ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আজও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৫৫। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার নবম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের ভিড় তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দেখা গেলেও ঢাকার বাতাসে কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। বরং গতকালের চেয়ে শহরটির বাতাসের মানে লক্ষণীয় অবনতি হয়েছে।
গতকাল সকালে একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও আজ তা সবার জন্যই ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা। শহরদুটির স্কোর যথাক্রমে ২০৩ ও ১৭১।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
২৫ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে কেমন ছিল ঢাকার বাতাসের মান
আজ শনিবার, সাপ্তাহিক ছুটির ২য় দিন। সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যে ঢাকার বাতাসে বেশ ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা গেলেও দূষণের মাত্রা বাড়তে দেখা গেছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি; ঢাকার বাতাস ‘হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৪২। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী বলা যায়, এই মাত্রার মানের বাতাস হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই সপ্তাহে ঢাকার বায়ুদুষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, গত শনিবার (৪ অক্টোবর ) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিতেই ছিল ঢাকার বাতাস। পরের দিনও একই সময়ে ঢাকার বাতাস ৬৬ স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি পর্যায়েই ছিল।
সোমবারও (৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ ছিল। একিউআই স্কোর আগের দুইদিনের মতোই ৬৬ ছিল।
আরও পড়ুন: বায়ুদুষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’
তবে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা যায়। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এদিনও বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭ তে। এই স্কোরের বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার খুব কাছাকাছি।
পরদিন বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে আরও অবনতি ঘটে শহরটির বাতাসের মানে। একিউআই স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ১৩২ এ, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার খুবই কাছাকাছি।
এরপর বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি অব্যাহত থাকে। আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৬৫ স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালেও দূষণের মাত্রা বেশিই লক্ষ্য করা গেছে। এদিনও ১৬৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেনীতেই অবস্থান করছিল। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিল ঢাকা।
তবে আজ সামান্য উন্নতি হয়েছে। ১৪২ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। সাধারণত নিচে নামা নেতিবাচক হলেও এই অবনমন স্বস্তির। কারণ দূষণ থেকে যতটাসম্ভব দূরে থাকা যায়, ততই ভালো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
এদিকে, আজ পাকিস্তানের লাহোর শহর উঠে এসেছে তালিকার প্রথম স্থানে, যার একিউআই স্কোর ২১৩। ১৭৪ ও ১৬১ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কাতারের দোহা।
দূষণের স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৩৯ দিন আগে
বায়ুদুষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা প্রায় বেশি থাকে, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি এরমধ্যে অন্যতম। আজও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতভরের বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর ১৬০ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল লাহোর। ১৫৩ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানেই রয়েছে দিল্লি। দুটি শহরের বাতাসই বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
তবে রাতভরের বৃষ্টির আজ ঢাকার বাতাসে লক্ষণীয় উন্নতি ঘটেছে। যদিও বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকালে রাস্তাঘাটে জমা হাঁটু-সমান পানি পেরিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ।
অবশ্য বৃষ্টির কারণে আজ রাজধানীবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হলেও, নিশ্বাস নিতে পারছেন স্বাস্থ্যকর বাতাসে। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, শহরটির বাতাসের মান আজ ‘ভালো’।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর ৪৪ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৮৪তম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৫০। এই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ঢাকা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৪৮ দিন আগে
ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকালে রাস্তাঘাটে জমা হাঁটু-সমান পানি পেরিয়ে, মাথায় ছাতা নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে কর্মব্যস্ত মানুষদের। তবে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগের সঙ্গে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—আজ ঢাকার বাতাসে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির বাতাসের মান আজ ‘ভালো’।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ২২। এই স্কোর ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়।
তাই বৃষ্টির কারণে আজ রাজধানীবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হলেও, নিশ্বাস নিতে পারছেন তারা স্বাস্থ্যকর বাতাসে। টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রাও বেড়েছিল।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ১৭২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল ঢাকা। তবে বৃষ্টির প্রভাবে আজ স্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে তালিকার ১০৫তম স্থানে নেমে এসেছে নগরী।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোনো শহরের বাতাসই আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ নয়
সেদিক থেকে আজ বৃষ্টি ইতিবাচক হলেও, জলাবদ্ধতার কারণে ঢাকার মানুষদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ১৬৮। অন্যদিকে ১৬৩ ও ১৪০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৫৮ দিন আগে
জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিল ও জলাশয় সংরক্ষণ করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা
প্রাকৃতিক জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা এখন সময়ের দাবি। স্থানীয় জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ ছাড়া এসব সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজন করা হবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই বিল ও জলাশয় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কাতুরিয়া বিল পরিদর্শনের পূর্বে নলগাঁওয়ে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন, কাতুরিয়া বিল শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নয়, এটি স্থানীয় জনগণের জীবিকা, খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। এই জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ অত্যাবশ্যক।
পড়ুন: লালমনিরহাটে দুই মসজিদ কমিটির দ্বন্দ্ব, মসজিদে তালা দেওয়ায় সড়কে জুম্মার নামাজ আদায়
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বিল ভরাট করা যাবে না। কৃষিজমি ভরাট হলে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। একইসঙ্গে শিল্পদূষণ থেকে বিলকে রক্ষা করার ওপরও তিনি জোর দেন।
এ সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় পরিবেশবিষয়ক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা বেলাই বিল পরিদর্শন করেন এবং এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন।
৫৯ দিন আগে
বিশ্বের কোনো শহরের বাতাসই আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ নয়
বাতাসের মান মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার ওপরে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব ফেলে। কোনো শহরের বাতাসের দূষণের মাত্রা বেশি থাকলে সেখানকার মানুষের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে বাতাস এত গুরুত্বপূর্ণ।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাতাসের মানসহ তালিকা প্রকাশ করে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই তালিকায় ১২৭টি দেশ থাকলেও কোনো শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছিল না। তবে ১০টি দেশের বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ছিল। এর মধ্যে এই সময়ে তালিকার শীর্ষে ছিল ফিলিপাইনের মানামা। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৪৫।
এদিকে, আজ ফের পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে। শহরটির একিউআই স্কোর ১৩২। এই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লাহোর। ১৩১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা।
অন্যদিকে, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরেই এই পর্যায়ে রয়েছে শহরটির বাতাস। একিউআই স্কোর ছিল ৮২। স্বাস্থ্যকর না হলেও এই মানের বাতাসকে অস্বাস্থ্যকরও বলা চলেনা।
আরও পড়ুন: লাহোরের বাতাসের মানে লক্ষনীয় উন্নতি, ঢাকাতেও কমেছে দূষণ
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৭০ দিন আগে
লাহোরের বাতাসের মানে লক্ষনীয় উন্নতি, ঢাকাতেও কমেছে দূষণ
দুদিন আগে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে থাকলেও আজ পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসে মানে লক্ষনীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির প্রায় ‘ভালো’ হয়ে ওঠার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাহোরের বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫১। এই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়।
অথচ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ১৭৯ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল লাহোর। এর আগে অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই লাহোরের বাতাসের মানে পর্যায়ক্রমিক উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছিল। প্রায়ই ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল শহরটির বাতাস।
এদিকে, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। তবে আজ সকালে হালকা বৃষ্টির প্রভাবে দূষণের মাত্রা কিছুটা কম। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ৭৩। এই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ২৫তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ লাহোর, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকার বাতাসের মানে তুলনামূলক উন্নতি দেখা যায়। যদিও অনেক সময় টানা বৃষ্টি সত্ত্বেও অবনতি দেখা যায়। ব্যতিক্রম থাকলেও বৃষ্টি হলে দূষণ কিছুটা কমে এবং আজও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
একই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ। শহরটির একিউআই স্কোর ১৬৪। অন্যদিকে, ১৫৪ ও ১৩৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৭২ দিন আগে
বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ লাহোর, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসে উন্নতি লক্ষ করা গেছে, এমনকি শহরটির বাতাস কখনো কখনো স্বাস্থ্যকরও হয়ে উঠেছে। তবে আজকের চিত্র পুরোপুরি উল্টো। শুধু অবনতি ঘটেছে তা নয়, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার একেবারে শীর্ষে উঠে এসেছে লাহোর।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৭৯। আইকিইএয়ারের মতে, এই মানের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
গতকাল একই সময়ে লাহোরের একিউআই স্কোর ছিল ৮৯। এক দিনের ব্যবধানে শহরটিতে লক্ষণীয়ভাবে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। গতকাল ‘মাঝারি’ থাকলেও লাহোরের বাসিন্দাদের আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে নিশ্বাস নিতে হচ্ছে।
এদিকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও গতকালের তুলনায় আজ ঢাকার বাতাসের মানে তেমন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮২। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ষোড়শ স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। আজ একই সময়ে ৮৬ স্কোর নিয়ে তালিকার ২৩তম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালের তুলনায় দূষণের মাত্রা সামান্য বেড়েছে, তবে আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
একই সময়ে আজ বিশে্বর শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার। শহর দুটির একিউআই স্কোর ১৭০ ও ১৫৩।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৭৪ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
আজ বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় রাজধানী ঢাকা আজ অনেক বেশি ব্যস্ত। সকাল থেকে চোখে পড়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট, নানা গন্তব্যে মানুষের ছুটে চলা আর চারিদিকে ধুলাবালি। এতে গতকালের তুলনায় আজ ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
আজ (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮২। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ষোড়শ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৬০। ওই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ৩৯তম স্থানে ছিল শহরটি।
বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, গতকালের মতো আজও ঢাকার ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও বেড়েছে দূষণের পরিমাণ। শহরটির বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠা থেকে খুব বেশি দূরে নেই।
একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লির বাতাসের মানও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। দিল্লির একিউআই স্কোর ৯৬ এবং লাহোরের একিউআই স্কোর ছিল ৮৯।
আরও পড়ুন: আজ বিশ্বের কোনো শহরই ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে না
এদিকে, এই ময়ে আজ তালিকার শীর্ষে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা। শহরটির বাসিন্দাদের আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিতে হচ্ছে। কারণ কিনশাসার একিউআই স্কোর আজ ১৫৫। এ ছাড়া, ১৪৯ ও ১৪৪ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ ও উগান্ডার কাম্পালা।
চীনের বেইজিং আজও চতুর্থ স্থানেই রয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় দূষণ বেড়েছে। গতকাল এই সময়ে শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১০২, আজ সকালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩৪।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৭৫ দিন আগে