অন্যান্য
এলপি গ্যাসে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমাল সরকার
এলপি গ্যাস উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করেছে সরকার।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়, বর্তমানে এলপি গ্যাস বাসাবাড়িতে রান্নার জ্বালানি, অটোগ্যাস স্টেশনে যানবাহনের জ্বালানি এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর বর্তমানে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর সরবরাহকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের অপ্রতুল হওয়ার কারণে পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রকার শিল্প কারখানায় এলপি গ্যাসের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে আগুন, ৩১ জন উদ্ধার
এতে উল্লেখ করা হয়, এলপি গ্যাসের উৎপাদন ও ব্যবহার সহজলভ্য করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূলরক শুল্ক আইন অনুযায়ী উৎপাদন পর্যায়ে এলপি গ্যাসে সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দিয়েছে।
এই আদেশ ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে: বিইআরসি
২ ঘণ্টা আগে
এইচএমপিভি: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্দেশনা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এই নির্দেশনা জারি করেছে।বেবিচক বলছে, সাধারণ যাত্রী, বিমানবন্দরে কর্তব্যরত কর্মীসহ এয়ারলাইনসগুলো ক্রুদের এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাত্রী কিংবা কর্মীদের মধ্যে কারও জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে তা অবিলম্বে বিমানবন্দর হেলথ সার্ভিস টিমকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এয়ার লাইনসগুলোর জন্য জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস ছড়িয়েছে এমন সন্দেহভাজন দেশগুলো থেকে আসা ফ্লাইটের জন্য যাত্রার স্থানে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফ্লাইটে কোনো যাত্রী বা ক্রুর মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে তা অবিলম্বে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য ইউনিটকে জানাতে হবে। ক্রু ও যাত্রীদের জন্য নির্দেশনা প্রচার করতে হবে।উপসর্গযুক্ত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বিমানবন্দর হেলথ সার্ভিস টিমকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা দিতেও তাদের বলা হয়েছে।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এইচএমপিভির উপসর্গ সাধারণ শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতার মতো, যা দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করলে সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব। রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে জানাতে প্রয়োজনে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ টিমের সাথে ০১৭৯৯৪৩০০৩৩ অথবা কল সেন্টার ১৩৬০০ নম্বরে যে কোনো সময় যোগাযোগ করা যাবে।এ বিষয়ে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ‘হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সব অংশীদারকে এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। যাত্রী, কর্মী এবং দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
৫০ মিনিট আগে
৫০ পুলিশ সুপারসহ ৭৪ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশের পুলিশ সুপার পদের ৫০ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদের ২৪ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।এক প্রজ্ঞাপনে ১৯ ও আরেক প্রজ্ঞাপনে ৩১ জন পুলিশ সুপার এবং পৃথক আরেক প্রজ্ঞাপনে ২৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়।বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের ডিএমপি, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, সিআইডি, এসবি, র্যাব, সিএমপি, পিবিআই, এপিবিএন, আরএমপি এবং বিএমপিসহ বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।বদলির আদেশ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ, পরামর্শ চাইলন জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি এই সাক্ষাৎ করেন।
এসময় অধ্যাপক কামরুল আহসান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন বিষয়ে কী কী অগ্রগতি ঘটেছে সেসব বিবরণ প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
উপাচার্য কামরুল আহসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহুল প্রতীক্ষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়ে টিএসসিতে 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার ছিঁড়লেন মেহজাবিন
ঘোষণা অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে।
ইতোমধ্যে গত ১০ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন জাবি উপাচার্য।
অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ১৯৭১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র ৯ বার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৩৩ বছর ধরে প্ল্যাটফরমটি নিষ্ক্রিয়। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এছাড়া তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং প্রথম বর্ষের ভর্তি ফর্ম ফি কমানো হয়েছে বলেও অধ্যাপক কামরুল আহসান জানান।
জাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতে গত জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাগত অগ্রগতিতেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যদি চায়, তাহলে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা চান, তাহলে জাকসু নির্বাচন আয়োজন করুন। নির্বাচনটি আপনাদের নেতৃত্বে আয়োজন করুন।’
এসময় অধ্যাপক কামরুল আহসান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ লাখ টাকা দিয়েছে।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও অধ্যাপক সোহেল আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রবসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: জাবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ৩ জানুয়ারি, পরীক্ষা হবে সাত ইউনিটে
২ ঘণ্টা আগে
ফের সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের অবস্থান
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে আব্দুল গনি রোডে সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেটের বিপরীতে অবস্থান নেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছেন। দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পেলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
এর আগে প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা বলেন, ‘তখন স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যান আমাদের একটি প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন সচিব। এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অব্যাহতি পাওয়া একজন এসআই বলেন, ‘২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফল হওয়ার কথা না।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হওয়ার কথা, তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।’
পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে ৮৫৭ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। এর মধ্যে ৮২৩ জন এসআই সদস্য চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয় গেটে পুলিশ-শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ অবস্থায় ১৯ জন বিভিন্ন কারণে ট্রেনিং থেকে চলে যান। গত বছরের ৪ নভেম্বর এ এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ করে পাসিং আউট নিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কয়েক দফায় ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন তারা। তবে পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে যদি শৃঙ্খলাজনিত কারণে কাউকে বের করে দেওয়া হয়, তাকে আর নেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গেল ৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের পুলিশ অ্যাকাডেমি বলে নয়, পৃথিবীর সব জায়গায় একই নিয়ম। আমাদের রাজশাহী সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমি পুরো এশিয়ার মধ্যে খুবই নাম করা। তাদের শৃঙ্খলাজনিত কারণে বের করা হয়েছে। এটা যে সত্য তার বড় প্রমাণ হচ্ছে তারা সচিবালয় এসে বিশৃঙ্খলা করছেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের মানুষের কল্যাণেই ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও স্বাস্থ্যকর জায়াগায় নিতে হবে: প্রেস সচিব
বাংলাদেশের ট্যাক্স-জিডিপির যে অনুপাত ছিল সেটি ২০২১ সালের পর থেকে নেমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, করোনার পর থেকে এটি এমন জায়গায় এসেছে যে গত ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সেখানে সংগ্রহ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি।’
‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বিশ্বে বাংলাদেশের ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও (অনুপাত) নিচের দিকে। অনুপাতের হার এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে যে সেটি টেকসই নয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের ভালো থাকার জন্য ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও একটা জায়গায় আমাদের নিতেই হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাটের অনেক ফারাক ছিল। কোথাও ৩ শতাংশ আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪ শতাংশের একটু বেশি, পুরোটাকেই আমরা চাইছি সরলীকরণ করে ১৫ শতাংশ করতে। সরলীকরণ করার লাভ হচ্ছে, এতে লিকেজ (ফাঁক) কমে আসে। এই লিকেজ কমানো আমাদের খুবই দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করছে, খরচ কত কমানো যায়।’
‘আগে বিদেশ সফরে ২৫০-৩০০ জনের বহর যেত, আর এখন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে গেলে ৪০-৫০ জন যায়। তার মধ্যে নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকই বেশি যাচ্ছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে দেখবেন সব জায়গায় কী পরিমাণ অপচয় করা হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল করা হলো কত টাকা খরচ করে। তার ওই পাড়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিশ্রামের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা দিয়ে সেভেন স্টার হোটেল করা হয়েছে, এটা কার টাকায়? এদেশের জনগণের ভ্যাটের টাকায়। জনগণের টাকা কীভাবে লুটপাট আর অপচয় হয়েছে তার কিছু নমুনা আপনারা এখন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখছেন।’
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমরা চাইছি, দেশের ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও এমন একটা হেলদি (স্বাস্থ্যকর) জায়গায় যাক যাতে ইকোনমিক গ্রোথ (অর্থনীতির উন্নয়ন) হয়। ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও কমে যাওয়া মানে হচ্ছে, আপনি ঋণ শোধ করতে পারবেন না। সেই জায়গা থেকে বিচার করে এটা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে এই টাকা ব্যয় হবে।’
জনগণের ওপর করের বোঝা কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয় আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটা টাক্স ফোর্স কাজ করছে। এছাড়া কীভাবে টাকাগুলো আনা যায়। এটা হচ্ছে আমাদের প্রথম প্রায়রিটি (অগ্রাধিকার)।’
‘চুরি তো আনলিমিটেড হয়েছে, সেই চুরিটাকে আগে ট্রেস (শনাক্ত) করা দরকার। কোথায় কোথায় টাকা রেখেছে। আপনারা আজকেও দেখেছেন যে, এই যে ৬০ কাঠার জমির ওপর পূর্বাচলে যে জমিগুলো নিয়েছে সেটার ওপর আজকে একটা মামলা হয়েছে। যেহেতু আমরা সরকার তাই আমদের দেখতে হয় টাকাগুলো কীভাবে নিয়ে গেছে। সেই জন্য যা যা করা দরকার আমরা সেই কাজটা করব। আপনারা দেখেছেন আমরা অ্যান্টি করাপশনকে (দুর্নীতি দমন) উন্নত করেছি, সেন্ট্রাল ব্যাংকে (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) আমরা মেইনটেন করেছি, মানি লন্ডরিং টিমকে উন্নত করেছি।’
ভ্যাট–ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা মনে করছি তা খুবই মিনিমাম হবে, ম্যাসিভ প্রভাব পড়বে না। এখানে অজনপ্রিয় হওয়ার কোনো প্রশ্নই দেখছি না। বরং সরকার দেশের অর্থনীতির অবস্থা যাতে ঠিক থাকে সেই দিকে লক্ষ রাখছে। আমি মনে করি, বিষয়টির প্রেক্ষাপট ও কেন করা হয়েছে তা মানুষকে বোঝানো সাংবাদিক ও সবার কর্তব্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক জনপ্রিয় (পপুলিস্ট) কথা বলতে পারি, কিন্তু জনপ্রিয় হওয়ার চেয়ে আমার মনে হয় বাস্তবতাটা কী? যে ধরনের ভঙ্গুর একটি অর্থনীতি রেখে গেছে, আপনি দেখেন কোথায় কোথায় অপচয় হয়েছে, ইয়ত্তা নেই।’
ভ্যাট–ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পেছনের যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটা না হলে টাকার মান কমে যাবে। এখন ১২৫ টাকায় ডলার কিনছেন, কিন্তু একটা সময় আসবে ১৯০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে।’
২১ ঘণ্টা আগে
তেল মারা বন্ধ করেন: সরকারি কর্মচারীদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তেল মারা বন্ধ করেন, ভবিষ্যতে কে আসবে সেটা পরে দেখা যাবে। আপনারা কঠোর হোন, এখনই হচ্ছে আপনাদের সবচেয়ে বড় সুযোগ। কোনো অবস্থাতেই কাউকে ছাড় দেবেন না।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কুসুমপুর মাঠে বেসরকারি ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি অংশ হিসেবে ৩০টি পাওয়ার টিলার, ৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনীতি করেন আপত্তি নেই, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটলে বা ভঙ্গ করলে কোনো অবস্থায়ই কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
শ্রীনগর থানা থেকে আসামি যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সে যেই হোক, যদি আমার ভাইও হয় তাকেও ছাড় নেই; আগে ১৪ শিকের ভেতর ঢোকান।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এমপি হোক বা যে যা-ই হোক, সেই সময় হবেন। এখন আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারে তাদের কোনো হাত নেই।’
রাজনীতিবিদদের দেশের কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. মারুফ, সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি অফিসার আবু সাঈদ শুভ্র প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার ও ঢাকা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম হায়াতুজ্জমান খান, পরিচালক রাশেদুর রহমান শাহীন, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার প্রমুখ।
২১ ঘণ্টা আগে
কেরানীগঞ্জের অস্থায়ী আদালতে হবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার
ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বদলে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংশ্লিষ্ট অস্থায়ী আদালতে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকার বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে অবস্থিত অস্থায়ী আদালতের পরিবর্কেতে রানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংশ্লিষ্ট অস্থায়ী আদালতে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়কে নামেন শিক্ষার্থীরা। তখন মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাসও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের মাঠ দীর্ঘদিন ধরে সিটি করপোরেশন দখল করে রেখেছিল। আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই বিপ্লবের পর এই মাঠ আমাদেরই থেকে যাবে।’
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সংস্কার কাজ শেষে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠকে ‘বকশীবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ’ হিসেবে উদ্বোধন করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মাঠটি সিটি করপোরেশন দখল করছে—অভিযোগ তুলে উদ্বোধনের আগেই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
২৩ ঘণ্টা আগে
সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ৬০ দিন
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দ্বিতীয়বারের মতো আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে আরও ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ব্ধ সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
তাদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তারাও একই ক্ষমতা পেয়েছেন।
এই ক্ষমতা প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর গাড়িবহরের কামানের ধাক্কায় প্রাণ গেল পথচারীর
এর আগে গেল বছরের ১৬ নভেম্বর সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ৬০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের।
১ দিন আগে
পাঁচ দেশের দূতাবাস থেকে পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
পাঁচটি দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস-হাইকমিশনে কর্মরত ৫ কর্মকর্তাকে পদ ও কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৫ কর্মকর্তা হলেন, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (প্রেস) তৈয়ব আলী, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কন্স্যুলেট জেনারেল অফিস অব বাংলাদেশ-এর প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান, সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) আসাদুজ্জামান খান এবং জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) ইমরানুল হাসান।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়াধীন প্রেস উইংগুলোতে কর্মরত এসব কর্মকর্তাকে তাদের বর্তমান পদ ও কর্মস্থল হতে প্রত্যাহার করে পরবর্তী পদায়নের জন্য আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এরআগে গেল ২৪ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লি এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে দুই সাংবাদিককে প্রেস মিনিস্টার নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের যুক্তরাজ্য মিশনে নিয়োগ পেয়েছেন বিবিসি ঢাকা ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আকবর হোসেন মজুমদার। আর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিয়োগ পেয়েছেন ফয়সাল মাহমুদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের দুই বছরের চুক্তিতে ওই পদে নিয়োগ দিয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ দিন আগে