অন্যান্য
যুদ্ধ বন্ধে এক টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্যতা বিশ্ব রাজনীতিতে সর্বজনবিদিত। এই সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এক দিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব—নির্বাচনী প্রচারণায় এমন কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। শপথের পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকেও ট্রাম্পও বলেন, পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের আয়োজন চলছে।
তবে কখন এই বৈঠক হবে, সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। ফ্লোরিডায় মার-আ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি (পুতিন) বসতে চেয়েছেন, আমরা আয়োজন করছি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা দেশগুলো ঠেকাতে পারবে না: পুতিন
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত এবং আগ্রহীও বটে পুতিন। আলোচনার টেবিলে বসতে কোনো ধরণের শর্ত আরোপ করা হবে না। এটি হবে নিঃশর্ত এবং পরিচ্ছন্ন আলোচনা।’
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ জানুয়ারি শপথের পর পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প। সেখানে মস্কো-কিয়েভ সংঘাত নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করা হবে।
সমস্যা সমাধানে পুতিন আগ্রহী জানিয়ে পেশকভ বলেন, দুপক্ষের সদিচ্ছাই এ আলোচনা হবে। পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলমান সমস্যা নিরসনের পথ বের হয়ে আসবে।
এর আগে চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, শপথের ৬ মাসের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভকে শান্তি চুক্তিতে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কিলোগ বলেন, ১০০ দিনের একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব হবে।
যদিও কোন প্রক্রিয়ায় যুদ্ধ বন্ধ হবে—তেমন কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি ট্রাম্প। এদিকে পুতিনের ভাষ্য, রাশিয়ার দখল করা ভূমি থেকে ইউক্রেন নিজেদের বাহিনী সরিয়ে নিলে ও ন্যাটো যুদ্ধে প্রভাব খাটানো বন্ধ করলে ত্বরিৎ গতিতে সমাধান সম্ভব।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ‘প্রস্তুত’ পুতিন
২ দিন আগে
গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্স-জার্মানির
ডেনমার্কের কাছ থেকে গায়ের জোরে গ্রিনল্যান্ড কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর এবার নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে ইউরোপের দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও জার্মানি। ইউরোপীয় মাটিতে কোনো আঘাত এলে তা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। জার্মানি ও ফ্রান্সকে বলা হয় ইউরোপের চালিকাশক্তি।
গ্রিনল্যান্ড হস্তান্তর করা না হলে ডেনমার্কের ওপর অতিরিক্ত রাজস্ব চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট। এবার গায়ের জোরে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি কেড়ে নিতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
গ্রিনল্যান্ড দখল করতে কোনো সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা হবে না; এমন নিশ্চয়তা দেবেন কিনা, প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আমি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। ৬০০ বছর ধরে এটি ডেনমার্কের অংশ হয়ে আছে। ৫৭ হাজার জনসংখ্যার দেশ গ্রিনল্যান্ডে আছে স্বায়ত্তশাসন। ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চেয়ে আসছেন দ্বীপদেশটির প্রধানমন্ত্রী।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজ বলেন, ছোট কিংবা বড়—প্রতিটি দেশের সীমান্তের ক্ষেত্রে অলঙ্ঘনীয় নীতি রয়েছে। সেটা মেনে চলতে হবে।
এদিকে ট্রাম্পের হুমকির ঘটনায় কড়া জবাব দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ নয়েল ব্যারট। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ব্যারট বলেন, ইউরোপের সীমান্তে কেউ আক্রমণ করলে তা বরদাশত করা হবে না। মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ শক্তিশালী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্য একে অন্যের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিশ্বের যে দেশই হোক, তার শক্তিমত্তা যতই হোক; ইউরোপের দিকে আঙুল তুললে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারট।
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশদের সম্পত্তি। স্বায়ত্তশাসিত এ ভূমি দূরবর্তী সীমানা আইনে ইউরোপেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করলে সেটি হবে ইউরোপ আক্রমণের নামান্তর।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ আক্রমণের মতো সিদ্ধান্ত নিবে না বলে মনে করেন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকে থাকতে এখন থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাকে গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর দিকে ঠেলে দেবে সেটা তিনি ভাবতেও পারেন না বলে জানিয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন।
গ্রিনল্যান্ডে অনেকেই ডেনমার্ক থেকে স্বাধীন হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ডেনিশ রাজা এখনও দ্বীপটিতে জনপ্রিয়। এক স্থানীয় অধিবাসী বলেন, ‘তিনি (রাজা) জনপ্রিয়। সুতরাং, তিনি স্পষ্টতই ডেনিশ-গ্রিনল্যান্ড সম্পর্ক রক্ষায় সহায়ক হতে পারবেন।’
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাসমুসেন বলেন, আমরা পুরোপুরি স্বীকার করি যে, গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আদৌ নেই।
রাসমুসেন অবশ্য সাংবাদিকদেরকে এও বলেছেন যে, চীন ও রাশিয়ার তৎপরতার কারণে আর্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়াটা বাস্তব। আমি মনে করি না যে আমরা পররাষ্ট্রনীতির সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ নিশ্চিত করতে আমরা কীভাবে আরও সহযোগিতা করতে পারি তা নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমরা প্রস্তুত।
৪ দিন আগে
কার্টারের শেষকৃত্যে একসঙ্গে দেখা যাবে মার্কিন পাঁচ প্রেসিডেন্টকে
সবকিছু ঠিক থাকলে আমেরিকার ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যাবে দেশটির সাবেক এবং বর্তমান পাঁচ প্রেসিডেন্টকে। ওয়াশিংটনে জিমি কার্টারের চলমান শেষকৃত্যে বৃহস্পতিবার শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমেরিকার এই শতবর্ষী প্রেসিডেন্টের মরদেহ রাখা হবে ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে। কার্টারের উদ্দেশ্য শেষকৃত্যের মূল ভাষণটি দিবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মৃত্যুর আগে এমনটাই ইচ্ছা ছিল জিমি কার্টারের।
তবে বাইডেন প্রথম সারিতে থাকলেও মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে। শপথের ১১ দিন আগে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও দেখা যাবে শেষকৃত্যে। একই অনুষ্ঠানে বাইডেন আর ট্রাম্প- সেখানে বাইডেনের প্রতি ট্রাম্পের আচারণ কেমন হবে তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
এছাড়াও শেষকৃত্যে থাকার কথা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিনটনের। পাঁচজনকে একসঙ্গে এক মঞ্চে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিরল ঘটনা- এমনটাই বলছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাসে ভিসাপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের নতুন পদ্ধতি চালু
এর আগে ২০১৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচডব্লিউ বুশের শেষকৃত্যে হাজির হয়েছিলেন ট্রাম্প। সে সময়ে বারাক ওবামার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেও হিলারি ক্লিনটন এবং বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে কোনো ধরনের করমর্দন বা বাক্যালাপ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিগত কয়েক বছরে মার্কিন রাজনীতিতে সহনশীলতা এসে ঠেকেছে তলানিতে। একে অন্যের মুখ দেখাদেখি না করার এ রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়তো রাতারাতি বদলাবে না; তবে মানবতাবাদী হিসেবে বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য কিছুক্ষণের জন্য হলেও একই মঞ্চে নিয়ে আসবে রিপাবলিকান আর ডেমোক্রেটদের।
১ সপ্তাহ আগে
২০২৪ সালে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ২.১ শতাংশ: এফএও
খাদ্যশস্য ও চিনির দাম কমার কারণে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম আগের বছরের গড়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সংস্থাটির প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের পুরো বছরের জন্য এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স দাঁড়িয়েছে ১২২ পয়েন্ট, যা ২০২৩ সালের গড় মূল্যের চেয়ে ২ দশমিক ৬ পয়েন্ট কম।
যদিও ২০২৪ সালের সূচকটিতে দুগ্ধ, মাংস এবং উদ্ভিজ্জ তেলের দামের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি স্থির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল তবুও এই বৃদ্ধি ধারাবাহিকতা এবং চিনির দামের পতনকে পুরোপুরি ভারসাম্যের জন্য অপর্যাপ্ত ছিল। ২০২৪ সালের জন্য এফএও ধারাবাহিক মূল্য সূচক ২০২৩ সালের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। এতে, এফএও চিনির মূল্য সূচক বছরে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
এফএওর মতে, ২০২৪ সালে খাদ্যশস্যের দাম কমেছিল মূলত গম এবং মোটা শস্যের দাম কম হওয়ার কারণে হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের জন্য এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স গড়ে ১২৭ পয়েন্ট ছিল। যা মাসভিত্তিক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তবে বছরভিত্তিক তা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত
কাজাখস্তানে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আকতাউয়ের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে লাগা আগুন নেভাতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের পরিচালিত বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু, গ্রোজনিতে ঘন কুয়াশার কারণে কাজাখস্তানের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তবে আজারবাইজান এয়ারলাইন্স এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।
স্থানীয় কাজাখ গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটিতে ১০৫ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও এপি
২ সপ্তাহ আগে
ভানুয়াতুতে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
ভানুয়াতুর রাজধানী পোর্ট ভিলা থেকে ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ৪৩ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। এর উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৭১১ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ১৬ দশমিক শূন্য ৩০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
এদিকে ভূমিকম্পের কারণে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
ফিজি, টোঙ্গা এবং ভানুয়াতুর মতো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের উপর অবস্থিত, ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অঞ্চলগুলোর একটি বৃত্তচাপ যেখানে মহাদেশীয় প্লেটগুলো সংঘর্ষ হয়, ঘন ঘন ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার গোরোনটালো প্রদেশে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
৩ সপ্তাহ আগে
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেইসঙ্গে ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ শেরপাস-ফাইন্যান্স ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটিদের প্রথম যৌথ সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিংস মহাসচিব বলেন, ‘সঠিক অর্থায়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির বিকাশ, শিল্পায়নে সহায়তা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলা ও বৈষম্য হ্রাসের মতো বিষয়ে মৌলিক ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, ‘আর্থিক ন্যায়বিচার প্রদানে জি-২০-র মতো প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানকেই আজকের অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোকে ন্যায্যভাবে তাদের শাসন ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। আর এসব প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বৈশ্বিক ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে, বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে রক্ষা করতে হবে।’
বক্তব্য প্রদানকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও বৈশ্বিক ঋণ সংকটের মতো গুরুতর বিষয়গুলো মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
১ ডিসেম্বর জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর ফলে প্রথম কোনো আফ্রিকার দেশ বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির এই প্রভাবশালী গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়ার তৃতিত্ব অর্জন করল।
১ মাস আগে
১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বিশ্বে প্রথম আইন পাস করে ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
সাইবার বুলিং, আসক্তি ও ক্ষতিকর কনটেন্টের সংস্পর্শসহ তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরূপ প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই সপ্তাহের শুরুতে সংসদে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সামাজিক যোগযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠোরভাবে বয়স যাচাইকরণ ব্যবস্থা প্রবর্তনে বাধ্য করতেই এ আইন করা হয়েছে।
১৬ বছরের কম বয়সিরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বা প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে না-তা এই এসব নিয়মের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
নতুন নিয়মগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ২০২৫ সাল শুরু না হওয়া পর্যন্ত সময় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
নতুন আইনে বয়স যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে প্ল্যাটফর্মগুলোকে এক বছর সময় দেওয়া হবে।
২০২৫ সাল থেকে ১৬ বছরের কম বয়সি ব্যবহারকারীদের শনাক্ত এবং ব্লক করতে সক্ষমতাসম্পন্ন সিস্টেমগুলো স্থাপন করতে আইনত বাধ্য হবে সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলো। এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে, তাদের বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে। এটির পুনরাবৃত্তি হলে সর্বোচ্চ ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আইননের ফলে উন্নত বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির বিকাশ করতে হবে। এতে
সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলোর উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
কিছু প্ল্যাটফর্ম এরই মধ্যে ব্যবহারকারীদের বয়স নির্ভুলভাবে নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি স্থাপনে কাজ শুরু করেছে।
তবে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গোপনীয়তা ও তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ নতুন আইনটিকে দেশের যুবকদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আইনটির লক্ষ্য ডিজিটাল যুগে শিশুদের সুস্থ চিন্তাভাবনা ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার ও হতাশা, উদ্বেগ ও ঘুমের সমস্যাসহ বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তাদের অনলাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত উদ্বেগ বা হতাশার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
সাইবার বুলিং এবং সামাজিকভাবে নানা তুলনার চাপগুলোকে এই চ্যালেঞ্জগুলোর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই যুগান্তকারী আইন পাস করে অস্ট্রেলিয়া বাকি বিশ্বের জন্য একটি নজির স্থাপন করেছে। অন্যান্য দেশগুলোকে তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং এই প্রভাবগুলো কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে উৎসাহ দেবে।
১ মাস আগে
এশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন প্রসঙ্গে রাশিয়ার পাল্টা হুমকি
এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেলে, মাঝারি পাল্লার ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে রাশিয়াও।
সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়া এশিয়ায় মধ্যমপাল্লার ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা দেশগুলো ঠেকাতে পারবে না: পুতিন
রিয়াকভ বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সিস্টেমের উপস্থিতি আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে। এর মধ্যে সামরিক ও সামরিক-প্রযুক্তিগত প্রতিক্রিয়া সংগঠিত করার বিষয়ও থাকবে।’
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ইউরোপীয় ঘাঁটিগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রও মোতায়েন করা হয়েছে, সেগুলোও রাশিয়ার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সোমবার ঘোষণা করেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী পশ্চিম রাশিয়ার তিনটি অঞ্চলে ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়’ রাতভর ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়েছে।
জেনারেল স্টাফ এক ফেসবুক বিবৃতিতে জানান, কালুগা অঞ্চলের একটি তেলের ডিপোতে আক্রমণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্রায়ানস্ক ও কুরস্ক অঞ্চলের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের ক্ষতির পরিমাণ এখনও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৬টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি মস্কোর
১ মাস আগে
সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিধস-বন্যায় নিহত ১৬
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পার্বত্য গ্রামগুলোতে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় চাপা পড়ে এবং বন্যায় ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার কর্তৃপক্ষ জানায় এখনও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার ও শনিবারের ভারী বৃষ্টির পর মাটির স্তূপ, পাথর ও গাছপালা পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে এবং নদীগুলোর পানি বাঁধ ভেঙে উত্তরের সুমাত্রা প্রদেশের চারটি পার্বত্য জেলা প্লাবিত হয়। এতে বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান জাস্প্রি এম. নাদেক জানান, পুলিশ, সেনা ও উদ্ধারকর্মীরা সেমাংগাত গুনং, কোরো জেলার একটি রিসোর্ট এলাকায় ধ্বংসাবশেষে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। লাশ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে এক্সকাভেটর ও কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন তারা।
তিনি বলেন, রবিবার রাতে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাড়ি এবং একটি কটেজ থেকে উদ্ধারকর্মীরা ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছেন। আহত নয়জন লোক কোনোভাবে সরে যেতে সক্ষম হয়েছেন। সোমবারও উদ্ধারকর্মীরা দুই শিশুসহ চারজন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ করছেন।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান পুপুত মাশুরি জানান, রবিবার উদ্ধারকর্মীরা একটি নদী থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০টি বাড়ি ভেসে গেছে এবং দক্ষিণ তাপানুলি জেলার গ্রামগুলোর প্রায় ১৫০টি বাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এছাড়া ১৩০ হেক্টরের (৩২১ একর) বেশি কৃষিজমি এবং বাগান ধ্বংস করেছে।
রবিবার আকস্মিক বন্যায় দেলি সেরদাং জেলায় চারজন মারা গেছে এবং সোমবার উদ্ধারকর্মীরা ভেসে যাওয়া দু'জনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
পাদাং লওয়াস জেলার পাহাড়ি গ্রামে হারাং জুলুতে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুস্তারি এ সব তথ্য জানান।
শনিবার রাতের দিকে উদ্ধারকর্মীরা একটি গ্রাম থেকে একই পরিবারের চার সদস্যের লাশ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে দুটি শিশু ছিল। এছাড়া তিনজন আহত মানুষকে উদ্ধার করেন।
প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধস হয়। এই দ্বীপপুঞ্জে হাজার হাজার মানুষ পাহাড়ি এলাকায় অথবা উর্বর বন্যার তীরবর্তী অঞ্চলে বাস করতে বাধ্য হয়।
১ মাস আগে